তারিখ লোড হচ্ছে...

সিরাজগঞ্জ চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার দুর্গম চরে মরণ নেশা ইয়াবার ছোবল! মিলন প্রকাশ্যে বিক্রি করছে ইয়াবা!

মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:

সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার ঘোরজান ও শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়ন এখন মরণ নেশা ইয়াবার ছোবল ধ্বংসের দিকে যুবসমাজ!

সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার ঘোরজান ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ নরুল ও আছিয়া খাতুন ওরফে(আছি পাগলীর) ছেলে মিলন এখন মরণ নেশা ইয়াবার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে,এমন তথ্যের ভিত্তিতে সবুজ বাংলাদেশ একটি টিম অনুসন্ধান চালায়।

অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে থলের বেড়াল,ঘোরজান ইউনিয়নের প্রভাবশালী শিকদার পরিবারের আমির শিকদারের মেয়ের জামাই মিলনের মরণ নেশা ইয়াবার সাম্রাজ্য গড়ে তোলার তথ্য প্রমাণ।

চৌহালী উপজেলার ঘোরজান ও শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়ন লাগোয়া দুটো দুর্গম যমুনা চরের বুকের বেশ কয়েকটি গ্রামের মরণ নেশা ইয়াবা ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়ার মূল নায়ক ইয়াবা সম্রাট মিলন।

ইয়াবা সম্রাট মিলনের মরণ নেশা ইয়াবার ছোবলে সোনাতনী ইউনিয়নের বানতিয়ার,ছোট চামতারা,বড় চামতারা,শ্রীপুর এবং বাঙালাসহ ঘোরজান ইউনিয়নের কৈরট,চরধীতপুর,বড় ঘোরজান, হাট ঘোরজান বালিয়াকান্দী,মুরাদপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের যুবসমাজ এখন মরণ নেশা ইয়াবা আসক্ত।

অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রায় ৫/৬ বছর যাবত নির্ভয়ে সফলতা সঙ্গে ইয়াবার বড় বড় চালান শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী খেয়াঘাট হয়ে নৌকা যোগে নিয়ে আসে দুর্গম চরাঞ্চলের বড় ঘোরজান মিলনের নিজ বাড়ীতে এরপর,নিজ বাড়ী খুব সাবধানতার সঙ্গে রেখে দেয় ইয়াবার পেকেট গুলো এরপর বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে ইয়াবা সেবনকারীদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিজের ইয়াবা সম্রাট মিলনের একাধিক বিশ্বস্ত ডেলিভারিম্যান ও রয়েছে।

এবিষয়ে,এলাকার একাধিক সচেতন ব্যক্তিবর্গ সবুজ বাংলাদেশকে জানান,এই ইয়াবা সম্রাট মিলনের কারণে আমাদের দুর্গম চরাঞ্চলের যুবসমাজ আজ মরণ নেশা ইয়াবায় আসক্ত। গন্ধবিহীন ইয়াবা নামের গোলাপি রংয়ের গোলাকার ছোট ট্যাবলেট এখন সমাজের উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত পর্যায়ের তরুণ,যুবক এবং কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছেও প্রিয় নেশায় পরিগণিত হয়েছে। ইয়াবাসেবিদের কাছে এটি বাবা নামেও পরিচিতি পেয়েছে। মরণনেশা ইয়াবার বিষে অনেক শিক্ষার্থীর স্বপ্নময় জীবন নীল হয়ে যাচ্ছে।

মরণ নেশা ইয়াবার ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়ার ফলে ধর্ষণ,যৌন হয়রানি, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনা ঘটছে। অধিক মুনাফা ও সহজে আমদানি করতে পারাই ইয়াবা সম্রাট মিলন মাদক ব্যবসা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে রূপ নিয়েছে।এভাবে সব এলাকায় মাদকের ভয়াবহতা রূপ নিয়েছে।

বিপর্যস্ত চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে তাৎক্ষণিক প্রশাসনের উপস্থিতি নজিরবিহীন! দুর্গম চরঞ্চলে কোনো অপরাধ হলে যমুনা নদীর নৌপথে পাড়ি দিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই অপরাধীরা পালিয়ে যায়।প্রশাসনের চাপ না থাকায় নীরবে দুর্গম চরঞ্চলে মরণ নেশা ইয়াবার সম্রাজ্য গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে ইয়াবা সম্রাট মিলন।

মাদক বিরোধী কোন অভিযান পরিচালনা করার ও প্রশাসনের তেমন কোন কার্যকরী পদক্ষেপ চোখে পড়েনা।

এবিষয়ে,ঘোরজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রমজান আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সবুজ বাংলাদেশকে বলেন, এর আগে আমরা এলাকার লোকজন মিলে মিলন কে পুলিশের দিয়েছিলাম,জেল খেটে এসেছে কিছু দিন,ওর নামে মাদক মামলা ও রয়েছে, তিনি আরো বলেন মিলন এখন এলাকায় তেমন একটা থেকে না,যদি এলাকায় পাওয়া যায় তাহলে আবার পুলিশে দেওয়া হবে।

এবিষয়ে চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাথে কথা হলে তিনি বলেন,মিলেনর নামে আগের কোন মামলা থানায় নেই। তবে, কোর্টে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। ইয়াবা সম্রাট মিলনের ইয়াবার ব্যবসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সবুজ বাংলাদেশ কে বলেন,যখন কাজ করবো তখন জানাবো আপনাকে।

শাহজাদপুরে সন্ত্রাসী হামলায় আনোয়ার নামের এক যুবক মৃত্যু শয্যায়

ইসরাফিল শেখ:(সিরাজগঞ্জ) শাহজাদপুর:

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ব্রয়লার মুরগি ফার্মের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিবাদ জানালে সন্ত্রাসী হামলায় এক যুবক মৃত্যুশয্যায়। শাহজাদপুর পৌর এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডে
আইগবাড়ী পাড়কোলা গত ইং ২০/১১/২০২৪ তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা ৫ ঘটিকার সময় আসামীরা সন্ত্রাসী হামলা করেন।

বাড়ী সংলগ্ন ও পাশাপাশি আসামীদের বাড়ীর ১ তলা বিল্ডিংয়ের ছাদের উপর আসামীরা ব্রয়লার মুরগীর ফার্ম করায়, উক্ত ফার্মের দুর্গন্ধে আশেপাশের বায়ু দূষিত হওয়ায় এবং দুর্গন্ধে বসবাসের অযোগ্য হইয়া পড়ায়, সে বিষয়ে কথা বলতে গেলে মোঃ আনোয়ার হোসেন, পিতা- আব্দুস সালাম শেখ সাং- আইগবাড়ী পাড়কোলা, থানা- শাহজাদপুর, জেলা- সিরাজগঞ্জ। লাঠি দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে
লক্ষ্য করিয়া বারি মারিলে, উক্ত বারি লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়া বাম চোখে লাগিয়া চোখে রক্তজমাট বেধে চোখের কোনা ফুলিয়া দৃষ্টিশক্তি আংশিক নষ্ট হইয়া যায়। শহীদ মুনছুর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শহিদ মুনছুর আলী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি থাকাবস্থায় তাহার অবস্থার অবনতী ঘটিলে উক্ত হাসপাতাল তাহাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করিলে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়, সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষ উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানা এজাহার দায়ের করেন মোঃ শহিদুল সরকার (৪৫), পিতা-মৃত আফসার আলী সরকার, সাং- মাদলা পশ্চিমপাড়া, খানা-শাহজাদপুর, জেলা- সিরাজগঞ্জ।

আসামীরা হলেন:
১। মোঃ আব্দুল মালেক (৫৫), পিতা- মৃত নওশের আলী ২। মোঃ সুমন হোসেন (৩৫) ৩। মোঃ ছানোয়ার হোসেন (৩৮), উভয় পিতা-মোঃ আব্দুল মালেক ৪। মোছাঃ ছানু খাতুন (৫০), স্বামী-মোঃ আব্দুল মালেক ৫। মোহায় রাবেয়া খাতুন (৩০), স্বামী-মোঃ ছানোয়ার হোসেন ৬। মোছাঃ আয়শা খাতুন (৩০), স্বামী-মোঃ সুমন হোসেন ৭। মোছাঃ আম্বিয়া খাতুন (৪২), স্বামী-মোঃ ভোলা ওরফে রুবেল, সাং- আইগবাড়ী পাড়কোলা, খানা- শাহজাদপুর, জেলা- সিরাজগঞ্জরা।

আসামীরা লাঠি, লোহার রড, হাতুরী ও বাঠাম ইত্যাদি মারাত্বক অস্ত্র সন্ত্রে সজ্জিত হইয়া বেআইনী জনতায় বিবাদির বাড়ীর মধ্যে ঢুকিয়া অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ পারিতে থাকিলে ও বিবাদিগনকে বেধরক মারধর করেন সন্ত্রাসী কাদায়।

আহত ব্যক্তিরা হলেন:
১। মোছাঃ জোস্না খাতুন, স্বামী- আব্দুস সালাম শেখ ২। মোছাঃ চাম্পা খাতুন, স্বামী-মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাং- পাড়কোলা ৩। মোঃ নাছির সরকার, পিতা-মৃত আফছার সরকার, সাং- মাদলা ৪। মোঃ হাছান শেখ, পিতা- আব্দুস ছালাম শেখ ৫। মোছাঃ রোকেয়া খাতুন, স্বামী-মোঃ হাছান শেখ ৬। মোঃ নজরুল ইসলাম, পিতা-মৃত মেছের প্রাং, সাং- আইগবাড়ী পাড়কোলা, থানা- শাহজাদপুর, জেলা- সিরাজগঞ্জ।
বিবাদিগনকে সন্ত্রাসীরা মারধর করে ফোলা জখম করেন। আহত ব্যক্তিরা শাহজাদপুর পিপিডি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।উক্ত ঘটনায় মারাত্মক আহত আনোয়ার হোসেন যে কোন মুহুর্তে মৃত্যুবরণ করিতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,উভয়পক্ষ অভিযোগ দাখিল করেছেন। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম