কথা পরিষ্কার, এখানে কোনো জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠার সম্ভাবনা নেই: সালাহউদ্দিন

স্টাফ রিপোর্টার:

গণপরিষদ এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের দেওয়া মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি নাহিদের বক্তব্যকে নাকচ করে দিয়ে বলেন, “আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। এখানে (একসঙ্গে গণপরিষদ ও সংসদ নির্বাচন) কোনো জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠার সম্ভাবনা নেই। একটি বড় রাজনৈতিক দলের সদস্য হিসেবে আমি স্পষ্ট বলতে চাই, জাতীয় সংসদ নির্বাচনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার।”

শনিবার (৮ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টনের একটি হোটেলে খেলাফত মজলিসের ইফতার মাহফিলে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্যদিকে, বার্তা সংস্থা রয়টার্সে গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম বলেছিলেন, গণপরিষদ নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে। তার মতে, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা সম্ভব হবে, যা প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিকে দেশকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।

নাহিদের সেই মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গতকাল দেখলাম, আমাদের রাজনীতিতে আসা নতুন বন্ধুরা একটা নতুন প্রস্তাব করেছেন। কিন্তু রাজনীতির একটা অভিধান আছে, যেটাকে আমরা পলিটিক্যাল গ্রামার বা ডিকশনারি বলি। সেখানে ওই রকম কোনো শব্দাবলি নেই। যেমন- একই সঙ্গে গণপরিষদ এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে, যদি জাতীয় ঐকমত্য হয়। এরকম একটা কথা রয়টার্সকে বলা হয়েছে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গণপরিষদ হচ্ছে শুধু রাষ্ট্রের সংবিধান প্রণয়নের জন্য একটি ফোরাম। সেই ক্ষেত্রে যেকোনো জাতীয় সংসদের এখতিয়ারই হচ্ছে এ-টু-জেড সংবিধান সংশোধন করার এখতিয়ার। সেখানে আমরা শুনলাম, সংবিধানের ব্যাপক সংশোধনী। এখানে সেটাকে আমরা নতুন সংবিধান বলতে পারি। এটাকে যদি আপনাদের মন চায়, নতুন সংবিধান বলতে পারেন, আমাদের কোনো অসুবিধা নেই। আমরা মনে করি, বিভিন্ন রকমের শব্দাবলি এবং যেগুলো রাজনৈতিক অভিধানে নেই, সেগুলোর অসংলগ্ন অপ্রয়োজনীয় আচরণ যেন না করি।

বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে খেলাফত মজলিস এই আয়োজিত ইফতার মাহফিলে মেহমান হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াস সদস্য মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাইফুল হক, জাতীয় নাগরিক পাটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান আদিব, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ, জাগপা’র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত আবদুল কাইয়ুম, বাংলাদেশ ন্যাপের গোলাম মোস্ফা ভূইয়া, খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আনওয়ারুল ইসলাম চাঁন, আমজনতা দলের চেয়ারম্যান কর্ণেল মিয়া মশিউজ্জামান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মাহদী, জাসদের শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নেজামে ইসলাম পার্টির সহ-সভাপতি আবদুল মাজেদ আতহারী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন, ট্রেজারার অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রেজা, নিউ নেশন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ডিজি এম আবদুল্লাহ, বিএফইউজে নির্বাহী সদস্য শাহীন হাসনাত, লে. কর্ণেল চৌধুরী হাসান সোহরাওয়ার্দী।

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: নোমান

মোঃ জুয়েলঃ

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান।

 

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দৈনিক দিনকাল পত্রিকা প্রকাশনা বন্ধের প্রতিবাদ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের (জিসপ) উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

নোমান বলেন, সরকারের পতনের আন্দোলনে সভা সমাবেশ মিছিল হবে। সরকার পতনের আন্দোলন চলমান, পতন না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। এসময় খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দৈনিক দিনকাল পত্রিকার প্রকাশনা চালুর দাবি করেন।

 

মানববন্ধনে আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপি নির্বাচন করে বার বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে। বিএনপি নির্বাচনে যাবে নির্বাচন করবে। কিন্তু কোনো সভানেত্রীর অধীনে নির্বাচন হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে কিনা সেটা তাদের বিষয়।

দুদু বলেন, সবকিছুর প্রতিবন্ধকতা বর্তমান সরকার। সরকারের পতন ছাড়া কোনো কিছু মেরামত করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ আজকে পঙ্গু রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আন্দোলন সংগ্রামের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান তিনি।

 

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, বর্তমান সরকারের কিছু মন্ত্রী বলছেন সংবিধানের বাইরে নির্বাচন হবে না। আসলেই নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। তবে, সেটা আপনাদের কাটাছেঁড়া করা সংবিধান অনুযায়ী নয়। তারা আবারও সংলাপের কথা বলছেন, অবৈধ ভোট চোরের সরকারের সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না দিলে তারা আগামী ২০ বছর বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না।

আয়োজক সংগঠন জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ এর সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরী, মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব আব্দুর রহিম, জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাদাত হোসেন , জিনাফ সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম