এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ নামের আগে ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবে না

স্টাফ রিপোর্টার:

এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার পদবি লিখতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (১২ মার্চ) বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথিকা হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া আজ পর্যন্ত যারা নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না। তবে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) থেকে আইন ভঙ্গ করে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করলে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রায়কে স্বাগত জানিয়ে দ্রুত গেজেট প্রকাশের দাবি করেছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। তবে অন্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবে না- এমন দাবি তুলে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের দাবিতে সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা।

শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং চিকিৎসক পেশাজীবীদের ১৭ সংগঠন নিয়ে ‘সর্বস্তরের চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে এ ঐক্য গড়ে তোলা হয়েছে। এর অধীনে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন আর ইন্টার্নরা প্রতিদিন তিন ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করছেন।

চিকিৎসকদের ৫ দফা দাবি

১. এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া অন্য কেউ নামের আগে ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবে না।

২. ‘রেজিস্টার্ড চিকিৎসক (এমবিবিএস /বিডিএস) ছাড়া অন্য কেউ স্বাধীনভাবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবে না’ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

৩. আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট কোর্স কারিকুলাম সংস্কার কমিটি গঠন করে তাদের কোর্স কারিকুলাম পুনর্নির্ধারণ এবং মানহীন সকল ম্যাটস (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বন্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

৪. জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের জন্য শূন্যপদে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ এবং চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪ বছরে উন্নীত করতে হবে।

৫. অবিলম্বে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং বেসরকারি চিকিৎসকদের জন্য সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো (পে-স্কেল) তৈরি করতে হবে।

বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিমসহ স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিমসহ স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ডেস্ক রিপোর্ট:

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) থেকে নেওয়া ৫৬ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ না করায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি এবং কে স্পোর্টসের মালিক ফাহাদ করিম ও তার স্ত্রী নোরা লাহলালির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঢাকার ৫ নম্বর অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এই আদেশ দেন। আদেশের কপি ইমিগ্রেশন পুলিশের বিশেষ শাখায় পাঠানো হয়েছে, যাতে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।

বিজ্ঞাপনজানা গেছে, ২০১৮ সালে কোনো জামানত ছাড়াই ব্যক্তিগত গ্যারান্টি ও ট্রাস্ট রিসিটের ভিত্তিতে ফাহাদ করিমের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘কে স্পোর্টস অ্যান্ড করিম অ্যাসোসিয়েটস’ এই ঋণ নেয়। ঋণ পরিশোধের জন্য তাকে দুইবার পুনঃতপশিল এবং সুদ মওকুফ সুবিধাও দেওয়া হয়। তারপরও তিনি নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করেননি এবং একাধিকবার সময় বাড়িয়েছেন।

ইউসিবি জানায়, দেশে-বিদেশে বিলাসবহুল জীবন যাপন করলেও ফাহাদ করিম ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করছেন। ঋণ আদায়ে গত জানুয়ারিতে ব্যাংকটি অর্থঋণ আদালতে মামলা করে।

এরপর শুনানিতে বাদীপক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত ফাহাদ করিম ও তার স্ত্রী। যিনি একজন বিদেশি নাগরিক- নোরা লাহলালির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম