কাঠ পুড়িয়ে ব্রয়লার সংরক্ষণ: অভিযোগ উঠলো তালুকদার ‌’স’ মিলের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর:

বনের কাঠ অবৈধ পথে তালুকদার‌ ‌’স’ মিলে এনে চেড়াই করে। এব্যাপারে নেই কোন বন অধিদপ্তরের অনুমতি। কাঠ চেড়াই করার পর তা পুড়িয়ে পাশেই আরেকটি প্রতিষ্ঠান ডিএনএন প্যাকেজিং লিমিটেডে অবৈধ ব্রয়লারে সংরক্ষণ করছে। কাঠ পোড়ানোর সময় নির্গত হয় প্রচুর কালো ধোঁয়া। কাঠ পোড়ানোয় একদিকে বনজ সম্পদ নষ্ট হয়, অপর দিকে ধোঁয়ার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত নানা রোগব্যাধি হচ্ছে শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ পর্যন্ত। ব্রয়লার সংরক্ষণ তৈরির এই প্রক্রিয়ায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
একদিকে উজাড় হচ্ছে বনের কাঠ। অন্যদিকে কাঠ পুড়িয়ে ব্রয়লারে সংরক্ষণ করছে তাপ এবং ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। সম্প্রীতি প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে কালীগঞ্জে গড়ে উঠা তালুকদার‌ ‌’স’ মিল ও ডি এন এন প্যাকেজিং লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গত ১১ মার্চ গাজীপুর জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ করেছেন উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের রায়েরদিয়া গ্রামের মো. জাহিদুল হক ওরফে মোস্তফা কামাল। স্থানীয় সচেতনমহল একাধিকবার প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. রায়হান তালুকদারকে অভিযোগ জানানোর পরও এর সমাধানের কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব তৈরির কারখানায় অবাধে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। প্রতিদিন কয়েক শ মণ কাঠ পোড়ানো হচ্ছে এই ব্রয়লারে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের বন উজাড় করে কাট এনে পুড়িয়ে ডিএনএন প্যাকেজিংয়ে অবৈধ ব্রয়লারের সংরক্ষণ করছে তালুকদার ’স’ মিল। যার ফলে সেখানকার উৎপাদিত ধোয়ায় আশেপাশের এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি থেকে আনুমানিক ১০০ থেকে ১৫০ গজের মধ্যে একটি হাইস্কুল, একটি মাদ্রাসা, একটি মসজিদসহ স্থানীয়দের বসবাসে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে তালুকদার‌ ‌’স’ মিল- এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রায়হান তালুকদার বলেন, আমি পরিবেশের ক্ষতি হউক এমন কিছু করেনি। আমার প্রতিষ্ঠানের ট্রেডলাইসেন্স
আছে। প্রতিষ্ঠানটির নিয়মানুযায়ী শিগগিরই অন্যান্য ডকুমেন্টস (পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, ফায়ার লাইসেন্স ও অনাপত্তি পত্র) সংগ্রহ করবেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ জানান, আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানাতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর, গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আরেফিন বাদল জানান, অবৈধভাবে ব্রয়লার সংরক্ষণ ও কাঠ চেড়াই করার বিষয়ে কালীগঞ্জের নাগরীতে গড়ে উঠা তালুকদার ‘স‘ মিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে তিন কর্মকর্তা

স্টাফ রিপোর্টার:

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন’, প্রবাদ আছে চোরে শোনে না ধর্মের কাহিনী। নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে তিন কর্মকর্তা । অফিস শেষে মিটিং এর নামে চার তলায় ঘুষের টাকা ভাগাভাগি হয়। টাকা ভাগাভাগির শেষে পলিথিনের ভিতর টাকা নিয়ে মোটরসাইকেল দিয়ে চলে যায় বাসায়। এ যেন দেখার কেউ নেই। নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতির মূল হোতা ১/মোঃ রুকুনুজ্জামান ভূঁঞা ২/ মোঃ কামাল ৩/ আনসার কমান্ডার বকুল, ১০১ নম্বর রুমের কামাল সে নাকি এখন মিডিয়া লোকদের ম্যানেজ করে থাকে । নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস ঘুষ ছাড়া মেলে না সেবা এ যেন গণেশের কেরামতির খেলা। ছবি তোলা থেকে শুরু করে প্রতিটি ধাপে ধাপে টাকা দিতে হয়। প্রতি পাসপোর্ট এর জন্য ৩০০০ টাকা করে নেওয়া হয়। নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে ঘুস-দুর্নীতির যেন শেষ নেই। দুর্নীতি রোধে মাঝে মাঝে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা শোনা গেলেও কিছুদিন পর দেখা যায় সবকিছু আগের মতোই চলছে । ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একদিকে কড়াকড়ি করলে আরেকদিকে খুলে যায় দুর্নীতির নতুন পথ। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস যেন দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এ অফিসে অলিখিতভাবে দালাল নিয়োগ দিয়ে প্রকাশ্যে চলে ঘুসের কারবার। আর এসব ঘুষের টাকার নিয়ন্ত্রণে ছিল আনসার কমান্ডার বকুল এই বকুলের বিরুদ্ধে কিছু মিডিয়ায় নিউজ প্রকাশিত হয় তারপরে বকুল কে নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস থেকে সরিয়ে দেয় বলে জানাই নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস কর্তৃপক্ষ মোঃ রুকুনুজ্জামান ভূঁঞা। কিন্তু আসলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি তিনি আন্ডারগ্রাউন্ডে আছে অফিসে ডিউটি করে লুকিয়ে লুকিয়ে। এ বিষয়ে বকুলের সাথে ফোনে কথা বলে তিনি বলে আমি গাজীপুর আছি। বর্তমানে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মোঃ কামাল নামে একজনকে তিনি এখন ঘুষের টাকা দেওয়া নেওয়ার দায়িত্ব পালন করে । গোপন সূত্রে জানা যায় নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস থেকে ৪০০ এর অধিক সাংবাদিকদের কে বিকাশের মাধ্যমে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। যদি ৪০০ এর হিসাব করা হয় তাতে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় চার লক্ষ, বিকাশের মাধ্যমে যে এই চার লক্ষ টাকা দিল এই টাকা কোথা থেকে আসলো। বিষয়টি ভাবিয়ে তোলার মত এবং কিছু কিছু নাম্বার আছে ২০০০. টাকা করে দেওয়া হয়েছে। যেই নাম্বার থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়েছে সেই নাম্বারটি হল। ( 01325661626 ) যা পরবর্তী নিউজ এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি। নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের কর্তৃপক্ষ মোঃ রুকুনুজ্জামান ভূঁঞা এর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। সাধারণ মানুষ পাসপোর্ট করার জন্য অফিসে আসলে মোঃ রুকুনুজ্জামান ভূঁঞা এর কাছে তেমন কোন সেবা পাওয়া যায় না বলেই চলে। তিনি পাসপোর্ট করতে আসা মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। আর এই খারাপ আচরণ করার মানে হল যাতে দালালের মাধ্যমে পাসপোর্ট এর সেবা নিতে পারে। আর এই সেবা নিতে হলে লাগবে টাকা, টাকা ছাড়া কোন সেবাই পাওয়া যাবে না নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে, গত ১৪/০৩/ ২০২৪, রোজ বৃহস্পতিবার আনুমানিক ১.১৫ মিনিটের সময় হালিম সরকার নামে একজন বয়স্ক লোক পাসপোর্ট করার জন্য হাতে সব কাগজপত্র নিয়ে উপ – সহকারী রুমে ঢুকে মোঃ রুকুনুজ্জামান এর সাথে কথা বললে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলে এখন হবে না পরে আসেন সেবা না দিয়ে তাকে বের করে দেওয়া হয়। ঠিক পাঁচ মিনিট পরে আরো একজন আসে তাকেও বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে বের করে দেয়। পাসপোর্ট অফিসের গেটের সামনে ভুক্তভোগী হালিম সরকার এর সাথে কথা বললে তিনি আবেগমন হয়ে বলেন কোন দেশে বাস করছি আমরা এটাই কি আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ। এভাবে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের অভিযোগ আছে যা লিখে কখনো শেষ করা যাবেনা। শুধুই অভিযোগ আর অভিযোগ এসব কিছু নিয়ে চলছে নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস। একটা বিষয় ক্লিয়ার যে নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস চলছে ঘুষের স্বর্গরাজ্য ।

ভুলে গেলে চলবে না, হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত সেবা পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। অথচ বাস্তবতা হলো, দেশে ঘুস ছাড়া কোনো সেবা পাওয়া যায় না বললেই চলে। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আঞ্চলিক অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের লাগামহীন দুর্নীতি সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার খর্ব করছে এবং এর ফলে প্রান্তিক ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা দেখছি, দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখার পরও প্রবাসী শ্রমিকরা পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে গিয়ে নানাভাবে দুর্ভোগ ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অথচ পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতিবাজদের কারণে একশ্রেণির মানুষ ঘুস দিয়ে অবৈধভাবে সেবা নিচ্ছেন। এ অবস্থা চলতে পারে না। সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানি, ভোগান্তি ও দুর্নীতিমুক্তভাবে পাসপোর্ট পেতে পারে, সে জন্য প্রতিটি পাসপোর্ট অফিসে অভিযান পরিচালনা এবং নিয়মিত তদারকি প্রয়োজন। প্রবাসী শ্রমিকসহ দেশের সাধারণ মানুষ যাতে প্রয়োজনের সময় কোনোরকম হয়রানি ও ভোগান্তি ছাড়া পাসপোর্ট পেতে পারে, সেজন্য সরকার পাসপোর্ট অধিদপ্তরসহ এর সব আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস দুর্নীতিমুক্ত করার পদক্ষেপ নেবে, এটাই কাম্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে কোন অন্যায়কে বরদাস্ত করা হবে না।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা অমান্য করে ঘুষ বাণিজ্য মেতে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস সহ দেশের অন্যান্য পাসপোর্ট অফিস। ( চলবে )

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম