৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়লো গুম তদন্ত কমিশনের

স্টাফ রিপোর্টার:

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সংঘঠিত ‘গুম’ হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিশনের মেয়াদ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।১৫ মার্চ থেকে কমিশনের মেয়াদ আরও সাড়ে ৩ মাস বাড়িয়ে সোমবার (১৭ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

‘কমিশন অব ইনকয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ অনুযায়ী ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে গুমের ঘটনা তদন্তে গত ২৭ আগস্ট কমিশন গঠন করেছিল সরকার। পরে ১৫ সেপ্টেম্বর কমিশনের দায়িত্বে ও প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমায় পরিবর্তন আনা হয়।

পাঁচ সদস্যেরএ কমিশনের সভাপতি হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

তদন্ত সম্পন্ন করে তিন মাসের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার কথা ছিল কমিশনের। পরে সময় বাড়ানো হয়। সেই সময় গত ১৪ মার্চ শেষ হয়।

তদন্ত কমিশন ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, তদন্ত সংস্থা এবং অনুরূপ যে কোনো বাহিনী বা সংস্থার কোনো সদস্য বা সরকারের মদদে, সহায়তায় বা সম্মতিতে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তি-সমষ্টির ‘আয়না ঘর’ বা যে কোনো জ্ঞাত বা অজ্ঞাত স্থানে বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত করা এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল তা নির্ধারণ করা এবং সেই উদ্দেশ্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যসহ যে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে।

শ্রম আইন আইএলওর মানদণ্ডে নিয়ে যেতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ড. ইউনূস

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের শ্রম আইনকে আইএলওর মানদণ্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।

বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশের কল কারখানায় শ্রমিক নিরাপত্তার উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন ‘নিরাপন’ এর নেতাদের সাথে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা নিরাপন কর্মকর্তাদের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের শ্রম আইনকে আইএলওর মানদণ্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আমরা এরইমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, খুব শিগগিরই তার ফলাফল পাওয়া যাবে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফী সিদ্দিকী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এরইমধ্যে শ্রমিক সংগঠন ও নির্মাতাদের সাথে একটি ১৮ দফা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা এ খাতে স্থিতিশীলতা এনেছে এবং পোশাক রফতানি বাড়াতে সাহায্য করেছে।

নিরাপনের চেয়ারম্যান সাইমন সুলতানা গার্মেন্টস শিল্পে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান।

প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন নিরাপনের চেয়ারম্যান সাইমন সুলতানা এবং গ্রুপের স্বতন্ত্র পরিচালক তপন চৌধুরী। শীর্ষ পশ্চিমা ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতাদের প্রতিনিধিরাও সভায় যোগ দেন। অনুষ্ঠানে এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব প্রধান লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন উপস্থিত ছিলেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম