সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেলেন এডভোকেট আরিফুর রহমান শ্রাবণ

মারুফ হোসেন :

আইনাঙ্গনে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত এডভোকেট মো. আরিফুর রহমান শ্রাবণ এবার কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে আইন পেশায় সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে আসা এই আইনজীবী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন।

এডভোকেট শ্রাবণ কেবল একজন দক্ষ আইনজীবী নন, বরং তিনি একজন সমাজসেবক, মানবিক ব্যক্তিত্ব ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রাণ। তিনি ‘মানবিক বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছেন। অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকা—এসব গুণাবলীর জন্য তিনি সবার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অর্জন করেছেন।

আইন পেশায় তার অসাধারণ বাগ্মিতা, যুক্তিনিষ্ঠতা ও আইনের গভীর জ্ঞান তাকে দ্রুতই এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করায় তিনি বিচারপ্রার্থী মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তার কাছে বিচার কেবল পেশা নয়, এটি একটি পবিত্র দায়িত্ব, যা তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে চলেছেন।
দায়িত্ব গ্রহণের পর এডভোকেট শ্রাবণ বলেন, “আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাই আমার মূল লক্ষ্য। এই দায়িত্ব পালনে আমি সর্বোচ্চ সততা, নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাব।”

তার এই অর্জনে সহকর্মী, সিনিয়র আইনজীবী, রাজনৈতিক সহযোদ্ধা এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ অভিনন্দন জানিয়েছেন। সবাই আশা প্রকাশ করেছেন, নতুন দায়িত্বেও তিনি অতীতের মতোই সাহসী, ন্যায়পরায়ণ ও মানবিক ভূমিকা পালন করবেন এবং বিচার বিভাগের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখবেন।
তাঁর গ্রামের বা‌ড়ি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের পাল্টিরাজাপুর পূর্ব খোদাইধূলী গ্রামে।

হাইকোর্ট বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলেন রাষ্ট্রপতি

অনলাইন ডেস্ক: সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের তদন্তের আওতায় থাকা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৬(৮) অনুচ্ছেদ অনুসারে বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরিত পদত্যাগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপতি তা একই তারিখ থেকে কার্যকরভাবে গ্রহণ করেছেন।

এর আগে, ৩০ জানুয়ারি সরকারবিরোধী বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনকে ছুটিতে পাঠানো হয়। পরে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র দাখিল করেন।

সেদিন সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে নিজ স্বাক্ষরযুক্ত পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।

গত বছরের ১৬ অক্টোবর শেখ হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ ওঠায় ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তাদের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিচারকাজ পরিচালনা থেকে বিরত রাখা হয়েছে।

ওই ১২ বিচারপতি হলেন— বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন, বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, বিচারপতি খিজির হায়াত, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। ১২ বিচারপতির বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম