পাইক বাড়ির দু’জন ইয়াবা ব্যবসায়ী আটক 

 

আজিজুর রহমান বাবু। শরীয়তপুর প্রতিনিধি ।

সখিপুর থানার পুরঃস্কার প্রাপ্ত সুদক্ষ পুলিশ কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মাদ ওবায়েদুল হকের নেতৃত্বে অদ্য ১৯/৩/২০২৫ তারিখে নিজ ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে বিকাল অনুমান বিকাল ৩.৩০ ঘটিকায় ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।

১। জসিম পাইক ওরফে কালা পাইক (৩৮) পিতা ছামেদ পাইক, সাং থিরোপাড়া,থানা নড়িয়া জেলা শরীয়তপুরের কাছ থেকে ২০০ পিস ইয়াবা ।

২ । মোঃ রোমান পাইক (২৬)। পিতা সেকান্দার পাইক । সাং কলারগাও থানা নড়িয়া জেলা শরীয়তপুরের কাছ থেকে ১০০ পিচ ইয়াবা টেবলেট পাকড়াও করা হয় ।

আসামী দ্বয়ের ব্যবহারকৃত একটি সুজুকি জিকসার ১৫০ সিসি লাল রংয়ের মোটরসাইকেল তাত্ক্ষণিক ভাবে সীজ করা হয় ।

প্রকাশ করতে হয় যে, বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের শাসনামলে সাবেক উপমন্ত্রী শরীয়তপুর – ০২ আসনের সাংসদ একেএম এনামুল হক শামীম পাইকের বংশ পরিচয়ে চরভাগা, সখিপুর, নড়িয়ায় পাইক পরিবারের অসংখ্য সদস্য সদস্যা এমন কোন অপকর্ম থেকে নিজের বাদ রাখে নাই। যাতে তাদের অংশগ্রহণ ছিলো না। মাদক ব্যবসা ছিল তাঁর অন্যতম। গ্রামে গ্রামে ইয়াবার ছোবলে যুব কিশোর ক্রমশ নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হয়।

সখিপুর থানায় আগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুল হক সাহেব যোগদানের পরবর্তী সময় থেকে মাদকসেবি ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যেভাবে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন তাতে অচিরেই সখিপুর ও পাশ্ববর্তী এলাকা মাদকমুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন স্হানীয় বুদ্ধিজীবিমহল ।

সিদ্ধিরগঞ্জে সরকারি রাস্তা দখল করে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে বাপ বেটার চাদাবাজি

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজধানী ঢাকার অদূরেই অবস্থান নারায়ণগঞ্জ জেলার। যে জেলা থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান যোগাযোগ সড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক।আর এই মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ের পাশের অংশে রিক্সা লেন দখল করে দোকান বসিয়ে প্রতিদিন পুলিশের নাম ভাঙিয়ে নাসিক এক নম্বর ওয়াডের কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন ও তার পুত্র সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের নিয়ে তোলা হচ্ছে চাঁদা ।

প্রতিদিন দোকানগুলো থেকে পুলিশের নাম করে উত্তোলিত টাকা মাসে ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকা হওয়ায় অজ্ঞাত কারণে স্থায়ী ভাবে রিক্সা লেন এই চাঁদাবাজদের কবল থেকে মুক্ত হচ্ছে না।

সওজ এবং পুলিশ কখনো উচ্ছেদ করলেও পরক্ষণেই আবার ঐ জায়গা দখল করে নেয় কাউন্সিলর আনোয়ার ও তার ছেলে ইলিয়াস ও তার সহযোগীরা।

পুলিশ উচ্ছেদ করার পর পরক্ষণেই ঐ রিক্সা লেন ইলিয়াস বাহিনী দখল করায় একে পুলিশের সাথে ইলিয়াস বাহিনীর টম এন্ড জেরীর নাটকের সাথে অবহিত করেছেন শিমরাইলের একাধিক মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফুটপাতের অবৈধ দোকানের মালিকদের পুলিশ তথা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে কাউন্সিলর আনোয়ারের ছেলে ইলিয়াস ও তার লোকজন।

তারা আরও জানান, দীর্ঘদিন এই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস নামের এক চাঁদাবাজ তার নিয়োজিত চাঁদাবাজ জামাল, মাসুদ দিয়ে পুলিশের নামে চাঁদা তুলছেন। চাঁদাবাজরা এসব দোকানপাট থেকে দৈনিক ২০০ থেকে ৫০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে। দোকান প্রতি ১ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অগ্রিম নেয় সংঘবদ্ধ এ চাঁদাবাজ চক্র।

রিক্সা লেনের ফুটপাথ থেকে চাঁদা উত্তোলনের ব্যাপারে চাঁদাবাজ ‘ ইলিয়াস হোসেন ও তার ম্যানেজার মাসুদ জানান, তার উত্তোলিত চাঁদার পরিমাণ অর্ধলক্ষ টাকা থেকে কিছু বেশী। এ চাঁদার একটি অংশ পুলিশ, প্রশাসনের একাধিক ব্যক্তি ও স্থানীয় কয়েক জনসাংবাদিককে দিয়ে সন্তষ্ট করেন বলে জানান

এতে তার কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। বাকী টাকা এক মার্কেটের মালিক ও তার সহযোগীদের মধ্যে বিলি করে তার অল্প কিছু টাকা লাভ থাকে বলে মন্তব্য তার।

এদিকে গত আগস্ট মাসে শিমরাইল মোড়ের ফুটপাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করে। তবে পুলিশ স্থান ত্যাগ করার কিছুক্ষণ পরই চাঁদাবাজ বাহিনী রিক্সা লেনের ঐ জায়গা তার দখলে নিয়ে নেয়। সে থেকে অদ্যবধি পূর্বের ন্যয় ইলিয়াস বাহিনী চালিয়ে যাচ্ছে তার চাঁদাবাজী।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মসিউর রহমান বলেন, পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা আদার করা হয় জানতাম না। যারা পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা আদার করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য যে, গত ২০ ডিসেম্বর ২০২১ গত আগস্ট মাস ২০২২ ও সিদ্ধরগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় সওজের কর্মকর্তারা শিমরাইল মোড়ে গড়ে ওঠা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করে।

উচ্ছেদের সময় সওজের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, দখলকারীরা এসব দোকান গড়ে তুলে পরিবহন ও পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছিল। সরকারি রাস্তা দখল করে অবৈধ ভাবে গড়েতোলা এসব দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবৈধ দোকান উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।
কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরের দিন আবারো সরকারি রাস্তা (রিক্সা লেন) দখল করে দোকান বসানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবারই সওজ ও পুলিশের উচ্ছেদের কিছুক্ষণ পর পুনরায় কাউন্সিলর আনোয়ারের ছেলে ইলিয়াসের হকার বাহিনী ফুটপাত দখল করে ব্যবসা শুরু করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সওজের নির্বাহী কর্মকর্তা শাহানা ফেরদৌস জানান ফুটপাত দখল করে সাধারণ মানুষের চলাচলে অসুবিধা হোক এটা আমরা কখনো বরদাস্ত করবো না ফুটপাত জনগণের জন্য দখল করে দোকান বসতে দেওয়া হবে না অতি শীঘ্রই এই ফুটপাত উচ্ছেদ করবো

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন