চিরনিদ্রায় শায়িত আকবর আলি খান

স্টাফ রিপোর্টার॥
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, অর্থনীতিবিদ, ইতিহাসবিদ, গবেষক ও শিক্ষক ড. আকবর আলি খানকে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকাল তিনটার পর তাকে সেখানে দাফন করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ড. আকবর আলি খান। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে আকবর আলি খানের ছোট ভাই কবীর উদ্দিন খান জানান, হার্টঅ্যাটাকে আকবর আলি খানের মৃত্যু হয়েছে। আকবর আলি খান বাসায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শুক্রবার সকালে এভারকেয়ার হাসপাতালের হিমঘর থেকে আকবর আলি খানের মরদেহ রাজধানীর গুলশানে তার বাসায় নেওয়া হয়। সেখানে স্বজন ও বিশিষ্টজনেরা তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। গুলশানে আকবর আলি খানের বাসায় যান সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, ব্যাংকার ও অর্থনীতি বিশ্লেষক মামুন রশীদ, কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান প্রমুখ।

পরে বাদ জুমা তার জানাজা রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদে সম্পন্ন হয়। জানাজা শেষে মসজিদ প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।জানাজায় অংশ নেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান প্রমুখ।

১৯৪৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জন্মগ্রহণ করেন আকবর আলি খান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ইতিহাসে পড়াশোনা শেষ করে কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতিতে পিএইচডি করেন তিনি। পিএইচডি গবেষণাও করেন অর্থনীতিতে।

আমলা হিসেবে পেশাগত জীবনে প্রধান ধারার পাশাপাশি শিক্ষকতাও করেন আকবর আলি খান। অবসর নেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে। এর পর দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হয়েছিলেন, পরে দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতার মুখে পদত্যাগ করেন। অবসরের পর তার আবির্ভাব ঘটে পূর্ণকালীন লেখক হিসেবে। অর্থনীতি, ইতিহাস, সমাজবিদ্যা, সাহিত্য-বিচিত্র বিষয়ে তার গবেষণামূলক বই পাঠকের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়।

 

চ্যানেল এস এর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার বিশ্বস্তজন গোপালগঞ্জের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদের গামার মালিকানাধীন চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষ ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক একাধিক সাংবাদিকদের হত্যার উদ্দেশ্য হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন একাধিক সাংবাদিক এ ঘটনায় চ্যানেল এস কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছে আহত সাংবাদিকরা।

সূত্র জানায়, ছাত্র জনতার গণহত্যাকারী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার অন্যতম দোসর, রাষ্ট্রের শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করা ঋণ খেলাপি ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চ্যানেল এস এর চেয়ারম্যান। গোপালগঞ্জের ইসমত কাদের গামা ও চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষ’ বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার গণহত্যাকারীর দোসর সহ বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশের জন্য চ্যানেলের চেয়ারম্যান ও কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জনার উদ্দেশ্যে গত ৮ আগষ্ট একাধিক সংবাদমাধ্যমের সাতজন সাংবাদিক তাদের অফিসে উপস্থিত হলে কর্তৃপক্ষের একজন তাদেরকে একটি কক্ষে বসতে বলেন। তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই চ্যানেল এস এর ভবনের ভিতরে অবস্থান করা প্রায় ৬০ জন অজ্ঞাত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হয় সাংবাদিকরা। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে উক্ত সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পৌঁছে দেন।

এই ঘটনায় অহাত সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে হাফিজুর রহমান শফিক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বাদীর জবানবন্দি ও বাদীর বিজ্ঞ আইনজীবী এবি এম ইব্রাহিম খলিল এর শুনানির ভিত্তিতে বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা শুমু চৌধুরী অভিযোগটি সরাসরি এজাহার হিসেবে গন্য করে ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে আদেশ প্রদান করেন।
সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলায় আসামিরা হলেন, ইসমত কাদের গামা, চেয়ারম্যান- চ্যানেল এস। পান্না ভাইস চেয়ারম্যান -চ্যানেল এস। মাইনুল ইসলাম -ম্যানেজিং ডিরেক্টর চ্যানেল এস। সুজিত চক্রবর্তী- সিইও চ্যানেল এস। সহ অজ্ঞাত ৫০ জন সশস্ত্র ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও বার্তা প্রধান, শংকর মৈত্র
জয়েন্ট নিউজ এডিটর, টিএইচএম জাহাঙ্গীর এই হামলায় জড়িত ছিল বলে বাদী জানিয়েছেন।

মামলার বাদী হাফিজুর রহমান শফিক বলেন, চ্যানেল এস মূলত ছাত্র জনতার আন্দোলনের গণহত্যার অন্যতম সহযোগী। গোপালগঞ্জের আওয়ামী নেতা চেয়ারম্যান ইসমত কাদের গামা, সিইও সুজিত চক্রবর্তী, পান্না এবং মইনুল স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসর হিসেবে কাজ করত। সুজিত চক্রবর্তী নামের কর্মকর্তা মূলত র এর এজেন্ট। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গুরুতর এসব অভিযোগের সংবাদ প্রকাশ করার কথা শুনে আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা হামলা চালিয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট সকল আসামীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানাচ্ছি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম