এসিল্যান্ড কাজ বন্ধ করে দেয়ার পরেও সরকারি খাস জমিতে ঘর নির্মাণ করছে এরা কারা?

স্টাফ রিপোর্টার:

মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার লাঙ্গলবাঁধ বাজারের কাপড়পট্টির সরকারি খাস জমিতে অসাধু একটি চক্র ঘর নির্মাণ করছেন বলে জানা গেছে।

সরজমিনে দেখা যায় ঝিনাইদহ শৈলকূপা উপজেলার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের মালিথীয়া গ্রামের রেজাউল নামের একজন বড় করে পাকা দোকান ঘর তুলছে। এর আগেও একই বাজারে সরকারি খাস জমিতে একাধিক দোকান ঘর তুলেছে অসাধুচক্রের অন্য সদস্যরা । সরকারি জমিতে ঘর তোলার বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাসকে জানানো হলে তিনি নায়েবের সাথে স্বশরীরে লাঙ্গলবাঁধ বাজারে গিয়ে ঘর নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় সেখানে চোর- পুলিশ খেলা চলছে কেননা, সহকারি কমিশনার (ভূমি) স্বশরীরে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করা সত্ত্বেও তারা রাতের আঁধারে ঘর নির্মাণ করেই যাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লাঙ্গলবাঁধ বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, এসিল্যান্ড স্যার নিজে এসে নিষেধ করার পরেও ঘর তোলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। মজার বিষয় হল দিনে নিষেধ করে চলে যাওয়ার পরে রাতে এসে তারা ঘর নির্মাণের কাজ করেন। তারা আরও বলেন, বর্তমান যে নায়েব স্যার আছেন তিনি এখানে যোগদানের পরেই দেখছি এভাবে ঘরগুলো তোলা হচ্ছে। এর আগে এরকম ঘর তোলার কাজ দেখি নি।

শ্রীপুরের লাঙ্গলবাঁধ বাজারে সরকারি খাস জমিতে অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণের সত্যতা জানতে সেখানকার দায়িত্বরত ভূমি অফিসার( নায়েব) প্রভাষ চন্দ্রের মুঠোফোনে যোগাযোগের কিছুক্ষণ পরেই শ্রীপুর উপজেলার একজন সাংবাদিক ফোন দিয়ে জানতে চান যে ভাই আপনি কে? আপনি গয়েশপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসার (নায়েব) প্রভাষকে ফোন দিয়েছিলেন কেন?

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে গয়েশপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসার (নায়েব) প্রভাষ চন্দ্রের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এসিল্যান্ড স্যার এবং আমি সেখানে গিয়ে ঘরের কাজ বন্ধ করে আসি। তিনি আরো বলেন, আমরা তাদেরকে জানিয়েছি আপনারা এখানে ঘর বা দোকান তৈরি করতে চাইলে ডিসি স্যারের নিকট থেকে লিখিত নিয়ে তারপরে কাজ করবেন।

এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাখী ব্যানার্জীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সরকারি জমিতে কোন স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে অবশ্যই ডিসি স্যারের নিকট থেকে অনুমতি বা লিখিত নিতে হবে। তাছাড়া ও লাঙ্গলবাঁধ বাজারে কে বা কারা ঘর নির্মাণ করেছেন এ বিষয়ে আমার জানা নাই। তিনি আরো বলেন, আমার জানামতে শ্রীপুরের সরকারি কোন খাস জমি ব্যবহারের লিখিত অনুমতি কাউকেই দেয়া হয় নাই।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ বিষয়টা আমি এখনি মাগুরার ডিসিকে জানিয়ে দিচ্ছি।

চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত আটক

চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত আটক

যশোর সংবাদদাতা:

যশোরের অভয়নগরে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল মান্নানকে (৪৫) আটক করেছে অভয়নগর থানা পুলিশ । মান্নান অভয়নগরের গুয়াখোলা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন পেশায় তিনি ফেরিওয়ালা। শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন , মঙ্গলবার (২ সেপটেম্বর) সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে গলায় ছুরি ধরে আব্দুল মান্নান শিশুটিকে একটি নির্মানাধীন ভবনের ভেতরে নিয়ে শিশুটির সঙ্গে বর্বর আচরণ করে মান্নান। পরে শিশুটিকে হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে স্কুলে পাঠিয়ে দেয়।

বিকাল চারটায় বাড়ি ফিরলে মেয়ের অস্বাভাবিক আচরণ দেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মায়ের কাছে ঘটনা খুলে বলে শিশুটি। রাত ৮টার দিকে তাকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে যশোর জেনারেল হাসাপাতালে রেফার করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ফেরদাউস শান্ত।

অপরদিকে শিশুটির বাবা ও গ্রামবাসীদের সহায়তায় অভিযুক্ত মান্নানকে আটক করে অভয়নগর থানা পুলিশ। অভিযুক্তকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসি কে এম রবিউল ইসলাম। যশোর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রিফাত সুলতানা শেফা জানিয়েছেন, বিশেষ অর্গানে ব্যাথা নিয়ে শিশুটি হাসপাতালে আসে । তাকে প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট দিয়ে ভর্তি রাখা হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি শঙ্কামুক্ত।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম