এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা

স্টাফ রিপোর্টার:

লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর নেতৃত্বে সাবেক সামরিক কর্মকর্তা-আমলাসহ কয়েকশ মানুষ যোগ দিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে (এলডিপিতে)।

আজ (শনিবার) রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে এক অনুষ্ঠানের তারা এলডিপিতে যোগ দেন।

এ সময় এলডিপির প্রেসিডেন্ট কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম (অব.) তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ।

উল্লেখ্য, লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর বাড়ি চট্টগ্রাম জেলায়। তিনি জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজের সাবেক কমান্ড্যান্ট ছিলেন। আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডক্ট্রাইন কমান্ডের (এআরটিডিওসি) জিওসি হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। সাভারে রানা প্লাজার উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় সময় সারা দেশে ব্যাপক পরিচিতি পান চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী। দায়িত্ব পালন করেছেন পদাতিক ডিভিশনসহ সেনাসদরের নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে। তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ব্যাটালিয়ন কমান্ডার, বাংলাদেশ রাইফেলসের পরিচালক অপারেশন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

কোকোকে নিয়ে গর্বিত বড় ভাই তারেক রহমান: “তার মধ্যে ছিল একজন আদর্শ ভাইয়ের সব গুণ

মোঃ বিজয় চৌধুরী:

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “একজন বড় ভাই হিসেবে ছোট ভাইয়ের জন্য গর্ববোধ করার মতো যে সব গুণ থাকা উচিত, তার সবকটিই আমি আমার ভাই আরাফাত রহমান কোকোর মাঝে দেখেছি।”

সোমবার (১৯ মে) রাতে লন্ডনের একটি অভিজাত ভেন্যুতে আয়োজিত ‘আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

তারেক রহমান বলেন, “আমি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, আর কোকো খেলাধুলা ও ক্রীড়া সংগঠনের মাধ্যমে দেশের জন্য অবদান রাখার চেষ্টা করেছে। সে কখনো সামনে এসে নিজের কাজ প্রচার করেনি, কিন্তু নীরবে-নিভৃতেই দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছে। তার সেই নিঃস্বার্থ অবদান আজও অনেকেই স্মরণ করেন। কোকো যেমন একজন সৎ, বিনয়ী এবং দায়িত্বশীল মানুষ ছিল, তেমনি তার ভিতরে ছিল এক অসাধারণ দেশপ্রেম।”

তিনি আরও বলেন, “আজ এই অনুষ্ঠানে যারা কোকোকে নিয়ে কথা বলেছেন, তাদের বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার বোঝা যায়—কোকো তার জীবনে কিছু না কিছু ভালো কাজ করে গেছেন, যা মানুষ এখনো মনে রেখেছে। একজন বড় ভাই হিসেবে এই সত্যিই আমার জন্য গর্বের।”

অনুষ্ঠানে বক্তারা আরাফাত রহমান কোকোর খেলাধুলা বিষয়ক উদ্যোগ, বিশেষ করে ক্রিকেট ও ফুটবলের উন্নয়নে তার ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তারা বলেন, প্রয়াত কোকো নিঃস্বার্থভাবে দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে কাজ করেছেন, যা আজও প্রেরণা হয়ে আছে।

অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তারেক রহমান। সেই সময়ও তিনি ভাইকে স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

উল্লেখ্য, আরাফাত রহমান কোকো ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র। তিনি ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম