বাবুল আক্তার চতুর মানুষ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘বাবুল আক্তার অত্যন্ত চতুর মানুষ। তিনি কখন কী বলেন, সেটা উনার ব্যাপার। সে ব্যাপারে আমার কোনো মন্তব্য নেই।’

তিনি বলেন, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধানসহ ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের অভিযোগ তদন্ত করা হবে।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদের আয়োজনে এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘বাবুল আক্তার যেসব কথা বলেছেন, তা বাস্তবসম্মত কি না, তা তদন্ত করেই বের করা হবে। পিবিআইয়ের উপর ভরসা রয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত সবকিছুই সূক্ষ্মভাবে তদন্ত করেছে। ৩০ বছর আগের মামলাও পিবিআই তদন্ত করে অপরাধী বের করেছে। আমি মনে করি, পিবিআই ভুল করবে না। বাবুল আক্তার যেসব প্রশ্ন তুলেছেন, তা তদন্তের পরই বের হবে।’

হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদন করেছেন বাবুল আক্তার। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ জেবুন্নেছার আদালতে বাবুলের পক্ষে তার আইনজীবী কামরুল ইসলাম চৌধুরী সাজ্জাদ আবেদনটি করেন।

আবেদনে বলা হয়, বাবুলকে পিবিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে চোখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়। স্ত্রী মাহমুদা খানমকে হত্যার করার কথা স্বীকার করতে তাকে পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমারের নির্দেশে নির্যাতন করা হয়।

মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি প্রসঙ্গেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। শিগগিরই এর সমাধান হবে বলে তিনি আশা করেন।

গুম বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেকে গুমের কথা বলে হাজার হাজার, তখন আমি বললাম লিস্ট দেন। এরপর মানবাধিকার সংস্থা থেকে লিস্ট এল ৭৬ জনের। পরে দেখা গেল এরমধ্যে ১০ জন বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট, যারা বিভিন্নস্থানে অবস্থান করছেন। এরমধ্যে ৩৫ জনকে আমরা নিজেরাই খুঁজছি, যারা জ্বালাও-পোড়াওয়ের সঙ্গে জড়িত, আবার একজনকে দেখা গেল জেলে রয়েছেন। আরেকবার শুনলাম ৬০০ জন গুম, তাই আমি এর ডিটেইল চাই।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে থানায় থানায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে তালিকা করা হচ্ছে, এমন কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা অনেক সময় অনেক কথা বলেন। এগুলো বিএনপির আরেকটা কৌশল।

একদিনে যমুনা সেতুতে টোল আদায় দুই কোটি ৫৭ লাখ

স্টাফ রিপোর্টার:

ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফলে বাড়ছে টোল আদায়ের পরিমাণ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু থেকে দুই কোটি ৫৭ লাখ ১১ হাজার ৫৫০ টাকা টোল আদায় করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এর বিপরীতে ২৯ হাজার ২৩৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।

বুধবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল।

তিনি বলেন, এর মধ্যে টাঙ্গাইলের যমুনা সেতু পূর্ব অংশে ১৫ হাজার ৩৫৪টি যানবাহন পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয় ১ কোটি ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ১০০ টাকা এবং সিরাজগঞ্জ সেতু পশ্চিম অংশে ১৩ হাজার ৮৭৯টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ ৩২ হাজার ৪৫০ টাকা।

আহসানুল কবীর পাভেল আরও বলেন, মহাসড়কে যানজট নিরসনে যমুনা সেতু পূর্ব ও পশ্চিম উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করছি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম