ফেনীতে এবি পার্টির সাবেক নেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, জামায়াতের মনোনয়নে দৌড়ঝাঁপ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ফেনী জেলার পশুরাম উপজেলা মির্জানগর ইউনিয়ন জামায়াতের চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তোড়জোড়ের অভিযোগ উঠেছে এবি পার্টির সাবেক জেলা যুগ্ম আহবায়ক জাফর আহমেদের বিরুদ্ধে। ৫ ই আগস্ট গণঅভ্যুত্থান এর আগে এবি পার্টির পদধারী নেতা হলেও আন্দোলন পরবর্তীতে খোলস পরিবর্তন করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য শিবিরের সাবেক কিছু নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার চেষ্টায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়াও এবি পার্টির সাবেক এই নেতার বিরুদ্ধে, অসৎ উপায়ে ব্যবসায় অর্থ আত্মসাৎ ও দখল দারিত্বসহ,অশ্লীল ও অন্যায় আচরন সহ নানান অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় জামায়াত নেতা বলেন, জাফর আহমেদ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো দীর্ঘদিন যাবত শুনে আসতেছি, তার মত একজন স্বার্থান্বেষী মানুষ প্রার্থী হওয়ার জন্য দলের মধ্যে গ্রুপিং করে দলীয় শৃঙ্খলা নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। অথচ একই ইউনিয়নে জামায়াত সমর্থীত সাবেক চেয়ারম্যান সহ আরো হেভিওয়েট প্রার্থী থাকলেও তার গ্রুপিংয়ের কারনে বাকিরা মুল্যায়িত হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সরেজমিনে জানতে তার এলাকায় গেলে আরো অমানবিক বিষয় উঠে আসে। তার মৃত ভাইয়ের অর্থ আত্মসাৎ, ভাইয়ের পরিবারের মহিলাদের উপর হামলা , বোনের জমি দখল সহ নানান অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ আচার আচরণের তথ্য প্রমাণাদি আমাদের কাছে উঠে আসে।যার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকাবাসী আইনের আওতায় এনে তার বিচারের দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নাসিমা আক্তার ও মনোয়ারা বেগমের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, ” আমরা জাফর আহমেদের ব্যাপারে জামায়াতের কাছে অভিযোগ দিয়েছি আশা করি তারা সুরাহা করবেন,পরবর্তীতে আইনের দ্বারস্থ হবো”

এদিকে জামায়াতের নির্বাচনী সূত্রে জানা যায় , ফেনী পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নে এখনো জামায়াত তার প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
এদিকে এবি পার্টির গত কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক পদে থাকলেও ৫ আগষ্ট পরবর্তীতে কমিটিতে তাকে রাখা হয়নি বলে সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয় এ জানতে অভিযুক্ত জাফর আহমেদ এর সাথে যোগাযোগের জন্য তার বাড়িতে গেলে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ডিএনসি- কুমিল্লার টাস্কফোর্স অভিযানে আটক ৬

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্বাবধানে ও পরিদর্শক মো: সাইফুল ইসলাম ভূঞা এর নেতৃত্বে এবং দাউকান্দি উপজেলা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন সালেহিনসহ ১৭ জন সৈনিক এর সহযোগিতায় ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ রাত ১২:০৫ ঘটিকায় কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন সাতপাড়া গ্রামস্থ ফকিরবাড়ীর মো: সেলিম মিয়ার(৫৪) বাড়িতে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে সেলিম মিয়াকে ২০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়।

একইরাতে টাস্কফোর্স অভিযানে মাদকসেবনের অপরাধে ০৫ জনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।

কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদানকৃত আসামীরা দাউদকান্দি থানাধীন সাতপাড়া গ্রামের ১) মৃত আওয়াল এর ছেলে মোঃ সালাউদ্দিন(৫৪), ২) ফুল মিয়ার ছেলে ওয়াসিম(২৮)
৩) দুলাল মিয়ার ছেলে মোঃ সোহাগ(২০), ৪) মৃত নূর মোহাম্মদ এর ছেলে মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম(২১), ৫) ষোলপাড়া গ্রামের আব্দুল কাশেম এর ছেলে মোঃ শাহিন(৩৫), ইয়াবাসহ আটককৃত আসামি মো: সেলিম মিয়ার বিরুদ্ধে পরিদর্শক মো: সাইফুল ইসলাম ভূঞা বাদী হয়ে দাউদকান্দি থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম