অনিয়ম দূর্নীতি করেও ধরা ছোয়ার বাইরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান

স্টাফ রিপোর্টার॥
চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। অনিয়ম দূর্নীতির সাথে জড়িত থাকলেও ধরা ছোয়ার বাইরে তিনি। চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান হওয়ার আগে তিনি একই সংস্থার পরিচালক (হারবার) ছিলেন। চট্টগ্রাম বন্দরে যা ব্যতিক্রম । (একই ব্যক্তি ঘুরে ফিরে ফের আগের জায়গায় আসা)
বন্দর চেয়ারম্যান হওয়ার আগে তিনি মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার দূর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে খুলনার মেয়রের নেতৃত্বে মিছিল সমাবেশও হয়েছিলো।
বাবা ছিলেন নৌ বাহিনীর ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী। চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকায় বসবাস করতেন। নিম্নবিত্ত ঘরের সন্তান শাজাহান নেভী স্কুল এবং চট্টগ্রাম কলেজে লেখাপড়া করেন। তাদের গ্রামের বাড়ী নোয়াখালি। ছাত্রজীবনে (৮৩ সালে) চট্টগ্রাম কলেজে পড়াকালীন সময়ে শিবিবের কট্টর সমর্থক ছিলেন। বন্ধু বান্ধব যারা ছাত্রলীগ করতো তাদের নিয়ে হাসি মশকরা করা সাজাহান এখন বড় আওয়ামীলীগার। এক সময়ে টানা পোড়নের সংসার ছিল তাদের। এখন তিনি বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক।
চট্টগ্রাম বন্দরের মেম্বার (হারবার) থাকাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম আত্মীয় স্বজনদের চাকুরি দিয়েছেন । চট্টগ্রাম বন্দরের মেম্বার (হার্বার) থাকাকালীন সময় কাটার মেশিন ক্রয় সংক্রান্ত দূর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন। যার সাপ্লাইয়ার ছিলেন তারই ঘনিষ্ট এনএইচ খান। মেরিন ডিপার্টমেন্টে একচেটিয়া কাজ করেন এনএইচ খান। ক্যাপ্টেন ফরিদ তার কাজের জোগান দেয়। আগে টাকা তারপর কাজ এ ভিত্তিতে কাজ দেয় চেয়ারম্যান শাহজানের অনুগত ক্যাপ্টেন ফরিদ। এমএইচ খান, ক্যাপ্টের ফরিদ ছাড়াও চেয়ারম্যানের ঘনিষ্টজন হলেন ঠিকাদার মাহহফুজুর রহমান লাদেন, চাদপুর বাড়ি, চট্টগ্রামের সাংসদ আফসারুল আমিনের ছোটভাই এরশাদুল আমিন, চট্টগ্রামের রামপুর এলাকার সেচ্ছসেবক লীগের নেতা পাপ্পু। বন্দর চেয়ারম্যান তার ভাতিজা বদরুলকে লালদিয়ার চরে ড্রেজিং এর কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির নাম এসএম ট্রেডিং। চট্টগ্রাম বন্দরে মেম্বার (হারবার) থাকাকালীন সময়ে ২০১৫-১৬ সালে দুদকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো। ২০১৬ সালে তার নেতৃত্বে ৩ টি জাহাজ আনা হয়। তা সাপ্লাই দেয় বন্দরের তৎকালীন চেয়ারম্যান নিজামের ভায়রা । চীন থেকে আনা জাহাজগুলো অলস বসে আছে। যার কোন আয় নেই তবে খরচ আছে। বলা যায়, বন্দরের জন্য এই জাহাজগুলি শ্বেতহস্তী। জাহাজগুলি পানগাঁও বন্দরের জন্য আনা হয়েছিলো বলে জানা যায়।
এছাড়া বোট সাপ্লাই না দিয়ে টাকা উত্তোলনের ঘটনায় দুদকে মামলা হয়েছিলো। এতেও তার সম্পৃক্ততা ছিল বলে জানা যায়।
ছোট থেকে বড় যে কোন কাজ বন্দরের চেয়ারম্যান এর নির্দেশ ছাড়া হয়না। কথিত আছে সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকাও ঘুষ নেন তিনি। মুখ খুললে সবার ব্যবসা বানিজ্যর ক্ষতি হবে তাই এ্ই ব্যাপারে একদম নীরব বন্দর সংশ্লিষ্টরা। তথ্যসুত্র জানায় তার দেশের বাইরে টাকাগুলো পাচার করছে নোয়াখালীর এনএইচ খান আর চাদুপরের মাহাফুজুর রহমান লাদেন। এই দুই ঠিকাদার ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির সাথে জড়িত। আরেকটি সুত্র বলছে, ঢাকার অনেক ব্যবসায়ী চট্টগ্রামে ওয়ার্ক অর্ডার লোকাল ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয়। কাজটি নীরবে হচ্ছে দীর্ঘদিন। শোনা যায়, ———তারেক সিদ্দিকী এবং পিএম কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন সহ একটি চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান হয়ে আসেন শাজাহান। এই ভয়ে নীরবেই সব হজম করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। ভয়ে ক্ষতিগ্রস্তরাও কোন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে চায়না। (চট্টগ্রাম বন্দরের বার্থ অপারেটর, ঠিকাদার এবং সিবিএ নেতাদের কাছ থেকে পাওয়া এই তথ্য)

চন্দনাইশ – সাতকানিয়া (আংশিক) চিকিৎসক ঐক্য পরিষদ সম্মেলন – ২০২৩

এস.এ.এম. মুনতাসীর, চট্টগ্রাম ব্যাূরো।
আজ দোহাজারী সাংগু কমিউনিটি সেন্টারে চন্দনাইশ – সাতকানিয়া (আংশিক) চিকিৎসক ঐক্য পরিষদ সম্মেলন – ২০২৩ সম্পন্ন হয়েছে। এতে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দোহাজারী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব লোকমান হাকিম সংশ্লিষ্ট সবাইকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং গরীবের ডাক্তার হিসেবে পরিচিত পল্লী চিকিৎসকরা সবসময় সমাজের সেবা ও উপকার করেন। উনি ২০১০ সালের স্বাস্থ্যনীতি আইনকে সংশোধনের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেন এবং পাশাপাশি এই আইনের অপব্যবহার ও হয়রানিমূলক নির্যাতন যাতে কেউ না করে, সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি সবাইকে আশ্বাস করেন, সূখে ও দূ:খে সব সময় পল্লী চিকিৎসকদের পাশে আছেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চন্দনাইশ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জাফর আলী হিরু, তিনি বলেন, পল্লী চিকিৎসকরা জাতির সেবা দিয়ে আসছেন আদিকাল থেকে, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধ সময়কালে আহত যোদ্ধাদের তৎকালীন সময়ে পল্লী চিকিৎসকরা গ্রামগঞ্জে ও পাহাড়ে পর্বতে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তুলেছেন, এভাবে সারাদেশে তৃণমূল পল্লী চিকিৎসকরা সেবা দিয়ে মানুষের মন জয় করেছেন কারণ তৎকালীন সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে এমবিবিএস ডাক্তার ছিলো না। ২০১০ এর স্বাস্থ্যনীতি আইন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, পল্লী চিকিৎসকরা করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবায় মাঠে ছিলেন। ঔষধপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে এমবিবিএস ডাক্তাররা যেভাবে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে একজন রোগীর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেই বিষয়গুলোও পল্লী ডাক্তারদের মাথায় রাখাতে হবে, বিশেষ করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের মান উন্নয়নে আরো এগিয়ে আসতে হবে, পাশাপাশি সংগঠনে সবাইকে ঐক্য থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করে বলেন, সবাই ঐক্য বদ্ধ থাকলে আপনারা নিজেদের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে পারবেন। আমরা বাঙালীরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম বলে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে পেরেছি। আপনারাও ঐক্য বদ্ধ হয়ে ন্যায্য দাবীগুলো নিয়ে নতুন সরকারের কাছে উপস্থাপন করলে আপনাদের বিষয়গুলো আগামীর নতুন সরকার, বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তিক দাবীগুলো মেনে নিবেন।আপনারা সুন্দরভাবে আপনাদের সেবা চালিয়ে যাবেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চন্দনাইশ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: শেখ সাদী। তিনি বলেন, পল্লী চিকিৎসকদের সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করেন, আমরা বিশ্বাস নিয়ে কাজ করি, তাই আমাদের এই বিষয়ে আরো সচেতন ও দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করতে হবে। সরকার পল্লী চিকিৎসকদের মূল্যায়নের চেষ্টা করছে কিন্তু আমাদের নিজেদেরকে বিশ্বাস করতে হবে। পল্লী চিকিৎসকদের মাঝেও কিছু অদক্ষ লোক ঢুকে পড়েছে, যারা দীর্ঘ দিনের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, সরকারও চেষ্টা করছে, পল্লী চিকিৎসকদের মূল ধারায় আনার জন্য।পল্লী চিকিৎসকদের আপডেট হওয়া দরকার, বিশ্বাসের অমর্যাদা যাতে না হয়, তার জন্য সরকারও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, এছাড়া আমরাই তো সরকারের অংশ । নব নির্বাচিত সভাপতি সুনীল কান্তি ভট্টাচার্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এই পল্লী চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিয়ে পাশে ছিলেন। এটা একটা মহান পেশা, ২০১০ সালের আইন অনুযায়ী আমরা ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবো না কিন্তু চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের বাধা থাকার কথা নয়, আমাদের সেবা চালিয়ে যাবো এবং শীঘ্রই আমাদের নায্য দাবী আদায়ের জন্য যুক্তিক আন্দোলন ও সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। শীঘ্রই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বিষয়টি আন্তরিকভাবে দেখবেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডি আর এম এস কুতুবী, এম নোমান রেজভীর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, পল্লী চিকিৎসক আবু তাহের, সাধন রুদ্র,সিরাজুল ইসলাম, দেবাশীষ, আবদুর রহিম, রুপম বিশ্বাস, মো ইউচূপ, মো শাহেদ, টিকলু দে, গনেশ দে, আবদুল মালেক, বোরহান উদ্দিন, সন্তোষ দেব ও অজিত দেব প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন প্রবীন পল্লী চিকিৎসক অরুণ কান্তি দাস। সভায় বিভিন্ন বক্তরা পল্লী চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান। অনুষ্ঠানে কক্সবাজার, সাতকানিয়া ও চন্দনাইশের পল্লী চিকিৎসক, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সরকারি কর্মকর্তা, ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত সম্মেলনে পল্লী চিকিৎসক বাবু সুনীল কান্তি ভট্টাচার্যকে সভাপতি ও এম নোমান রেজভীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের