পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ছাত্রলীগ সভাপতি এখন সাংবাদিক 

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় মাদক ও নারীর নেশায় দিনরাত মগ্ন থাকত ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী খান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, পুলিশের সোর্স হিসাবে পরিচিত ছিল সে, এবং সিআরবি সন্ত্রাস জোড়া খুনের আসামি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক সাইফুল আলম লিমনের অনুসারী হিসাবে কাজ করত, এবং ছাত্রলীগ ক্যাডার কাজিমের রাজনৈতিক সঙ্গী ছিল কথিত সাংবাদিক খান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ার ব্যানারে থাকা এই ব্যক্তি মূলত একজন মাদকসাক্ত তা তার ডোপ টেস্ট করলে প্রমান মিলবে। আ জ ম নাসিরের সন্ত্রাসী লিমন বাহিনীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই আবদুল্লাহ ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতিতে মিছিল মিটিং এ সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে এবং ছাত্রলীগে দাপট দেখিয়ে নানা কুকর্ম করেছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনৈতিতে সক্রিয় থাকার কারণে সন্ত্রাসী লিমন গ্রুপের সক্রিয় সদস্য হওয়ায় ও ছাত্রলীগ ক্যাডার কাজিমের সাথে রাজনৈতিক সম্পর্কের সুবাদে
চট্রগ্রাম পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটি শাখা ছাত্রলীগের তার অনুষদে সভাপতি পদটি লাভ করে। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ায় তাকে তার রাজনৈতিক সহকর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসিয়ে তোলেন, এবং ক্যাম্পাস চত্বরের বহু মিছিল মিটিংয়ে অংশগ্রহনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখনো রয়েছে। এসব পদ পদবির পাশাপাশি সাংবাদিকতার ব্যানারে সরকারের অপকর্ম ঢাকতে ও ছাত্রজনতার ন্যায্য আন্দোলনের বিরুদ্ধে সবসময়ই বিরূপ মন্তব্য ছড়ানো সহ ছাত্র আন্দোলনে সাংবাদিক সেজে আন্দোলনরত ছাত্রদের চিহ্নিতকরণ ও তথ্য তার দল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ও পুলিশের কাছে পৌঁছে দিত ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ ।
জুলাই শহীদের ত্যাগের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা এটা রক্ষা করতে গেলে মিডিয়া সংষ্কার প্রয়োজন। ছাত্রলীগ আওমীলীগ এখন ঢাল হিসাবে মিডিয়াকে বেছে নিচ্ছে, এদের প্রতিহত করতে না পারলে যতই রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করেন, জুলাইকে বাঁচাতে পারবেন না। শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দিবেন না।
ছাত্রসমাজ মনে করে, এইসব কথিত সাংবাদিক নামধারী আওয়ামী সন্ত্রাস তাদের দল আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে একটি বৈষম্যভিত্তিক সমাজ গঠনের অপচেষ্টায় লিপ্ত।

বর্তমানে আবদুল্লাহ একসময়ের আরেক কুখ্যাত সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা “টেম্পো হাসানের” অনলাইন মিডিয়া চট্টলা ২৪ নামক আওয়ামী অনিবন্ধিত মিডিয়ায় কর্মরত। দক্ষিণ চট্টগ্রামের সকল বালুমহল ও বালুখেকো সিন্ডিকেট ৫ তারিখের আগে টেম্পো হাসানের দখলে ছিল, সে কুকর্ম ধামাচাপা দিতে এই আইপি টিভি খুলে বসে আরেকটি সাইবার জগতের অস্ত্র হিসেবে, এছাড়াও সে তার সাথে সবসময় দুটি অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করত যদিও বা সেইসব অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল বলে সে দাবি করে।

কিস্তির টাকা না পেয়ে নোয়াখালীতে দিনমজুরকে পেটাল এনজিও কর্মকর্তা!

এ.কে আজাদ,নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি :

নোয়াখালী সদর উপজেলায় কিস্তির টাকা দিতে না পারায় এক দিনমজুর গ্রাহককে পিটিয়েছে এনজিও কর্মকর্তারা। হামলায় আহত মো. আলমগীর বাদশা বর্তমানে (৩৫) নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার গোপাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  দিনমজুর বাদশা জানান, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে এসএসএস (সোসাইটি ফর সোসাল সার্ভিস) নামে এক বেসরকারি সংস্থার এনজিওর উজ্জলপুর সদর শাখা থেকে ৩০ হাজার টাকা কিস্তি গ্রহণ করেন। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে এনজিওর শাখা ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন ও কিস্তি আদায়কারী গোলাম কিবরিয়া তার বাড়িতে আসেন। কথা-কাটাকাটিতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন এনজিও কর্মকর্তারা। একপর্যায়ে আলমগীর বাদশাকে প্রথমে একটি থাপ্পড় মারলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এরপর উঠতে গেলে আবার লাথি দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন কিবরিয়া। এ সময় তার বাম হাত ভেঙে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বিকাল ৫টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে এখনো আইনগত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি তবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম