সার্জেন্টের ওপর মোটরসাইকেল তুলে দিলেন শিক্ষার্থী

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানী ঢাকার রামপুরা ব্রিজের ঢালে সিগন্যাল অমান্য করা মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আনোয়ার হোসেন রাজু (৩৫) নামে এক পুলিশ সার্জেন্ট গুরুতর আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক ফাহিম (২০) ও আরোহী আসিফ মজুমদারকে (২০) আটক করা হয়েছে।

বুধবার (১৪ মে) বিকেল চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, “বিকেলের দিকে রামপুরা টিভি সেন্টারের পাশে ডিউটি করছিলেন সার্জেন্ট আনোয়ার হোসেন রাজু। এ সময় দুই যুবক জিক্সার মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় সিগন্যাল দেন তিনি। তারা সিগন্যাল অমান্য করে দ্রুতগতিতে চলে যাওয়ার সময় সার্জেন্ট আনোয়ারের ওপর মোটরসাইকেল উঠিয়ে দেয়। এতে সার্জেন্ট আনোয়ার গুরুতর আহত হন।”

তিনি জানান, সার্জেন্ট আনোয়ারকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে নিউরো সার্জারি বিভাগে ভর্তি দেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

হারুন অর রশিদ আরও বলেন, “এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক ফাহিম ও আরোহী আসিফ মজুমদারকে আটক করে রামপুরা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা দুজনই ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেট ছাড়া বাইক চালাচ্ছিলেন ফাহিম।”

এ ঘটনায় রামপুরা জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সাইফুল আজিজ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।

রাজধানীর গুলিস্তান থেকে মোবাইল চোরচক্রের ১১ সদস্য গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজধানীর শ্যামলী, আগারগাঁও,গুলিস্তান, মতিঝিল,খিলগাঁও, মুগদা, যাত্রাবাড়ী ও ফার্মগেট এলাকায় ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারী ও বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে সুকৌশলে মোবাইল ফোন চুরি করতো চক্রটি। পরে সেসব চোরাই মোবাইল গুলিস্তান ভাসমান দোকানে বিক্রি করার পাশাপাশি চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতো তারা। ওই চক্রের ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

শনিবার (৫ নভেম্বর) রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মধুসূদন দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতাররা হলেন- জসিম উদ্দিন (৩২), আব্দুর রহমান (২৫), শান্ত (২৭), আলম (৩৫), বোরহান উদ্দিন (২৯) রেজাউল (২৩), মামুন তালুকদার (২৮), মামুন মিয়া (৩২), ইসমাইল হোসেন (৩৫), সুমন পাটোয়ারী (২৬), ও সুজন (২৭)।

এসময় তাদের কাছ থেকে ৪৫টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন, নগদ ৩০ হাজার ৪০০ টাকা ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

মোবাইল চোরচক্রের ওস্তাদ শামীম ও রহমান। চক্রের সাধারণ সদস্য হয়ে কাজ করে জুয়েল ও শান্ত। ওস্তাদ শামীম সপ্তাহে একবার চট্টগ্রাম গিয়ে চোরাই মোবাইল বিক্রি করে আসে। আর রহমান গুলিস্তান ভাসমান মোবাইল বিক্রেতা বোরহানের কাছে বিক্রি করতো। পরে বোরহান নিজে গুলিস্তানে দোকান দিয়ে বিক্রি করতো। আবার ইসমাইল, মামুন, সুজন, সুমন পাটোয়ারী, রেজাউল ও মামুন তালুকদারের কাছে বিক্রি করতো। এদের সবার গুলিস্তানে ভাসমান মোবাইল বিক্রির দোকান আছে বলে জানান এসি মধুসূদন দাস।

সহকারী পুলিশ কমিশনার জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে ডিবি (লালবাগ) সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়িচুরি প্রতিরোধ টিম শাহবাগ থানাধীন গুলিস্তানের টিএন্ডটি অফিসের বিপরীত পাশে সিটি করপোরেশন পাবলিক টয়লেটের দক্ষিণ পাশে অবস্থান করছিল। পরে পাশেই ফুটপাতের উপর ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তিকে চোরাই মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় করা অবস্থায় আটক করা হয়। পরে তাদের থেকে উদ্ধার মোবাইলের কাগজপত্র বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আটক আসামিরা জানায় মোবাইল ফোনের কোনও বৈধ কাগজপত্র তাদের কাছে নাই। এসব ফোন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি করা।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার বিভিন্ন স্পট থেকে কৌশলে মানুষের কাছ থেকে মোবাইল চুরি করে আসছে। পরে সেগুলো নানা উপায়ে ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে তারা। মোবাইল চোরচক্রের সদস্যরা সারাদিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি করা মোবাইল নিয়ে রাতে গুলিস্তান সাকিনা মার্কেট সংলগ্ন স্থানে একত্র হয়ে নিজেদের মধ্যে সেগুলো কেনাবেচা করছিল বলে জানিয়েছে তারা।

গ্রেফতার আসামিদের প্রত্যেকের নামে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মোবাইল ফোন চুরিসহ অন্যান্য অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় আরও একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম