নগর ভবনের সামনে জড়ো হচ্ছেন ইশরাকপন্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার:

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে লং মার্চ টু সচিবালয় কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল আগেই। সেই ঘোষণা অনুযায়ী ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে নগরভবনের সামনে স্লোগান, মিছিল নিয়ে জড়ো হচ্ছেন ইশরাকপন্থীরা।

আজ (শনিবার) সকাল থেকে গুলিস্থানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নগরভবনের সামনে জড়ো হচ্ছেন তারা। সেখানে তারা ‘শপথ নিয়ে টালবাহানা চলবে না চলবে না’, ‘অবিলম্বে ইশরাক হোসেনের শপথ চাই, দিতে হবে’, ‘জনতার মেয়র ইশরাক ভাই, অন্য কোনো মেয়র নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন।

এর আগে গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বসবাসকারী ভোটারদের পক্ষ থেকে সাধারণ নাগরিকরা লং মার্চ টু সচিবালয় কর্মসূচি পালন করবেন।

প্রসঙ্গত ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। গেল ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা হয়।

 

পাক-ভারত সংঘাতের মধ্যে সার্বভৌমত্ব রক্ষার আহ্বান আসিফ-হাসনাতের

স্টাফ রিপোর্টার:

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সামরিক সংঘাত ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। এরই মধ্যে এই উত্তেজনার রেশ ছড়িয়ে পড়ছে পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশেও। এমন এক সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বার্তা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

বুধবার (৭ মে) ভোর রাতে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে দুই নেতা জাতীয় ঐক্যের ওপর জোর দেন।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া লেখেন, ‘সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজন শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য ও সংহতি।’

অন্যদিকে হাসনাত আব্দুল্লাহ তার বার্তায় বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন।’

ভারত বুধবার ভোরে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে অন্তত ৯টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই হামলায় দুটি মসজিদসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হানা হয়।

পাকিস্তানের আইএসপিআর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, হামলায় অন্তত আটজন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জবাব হিসেবে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেড সদরদপ্তর ধ্বংস করা হয়েছে।

এদিকে ভারত দাবি করেছে, তাদের ‘অপারেশন সিন্দুর’ মূলত সন্ত্রাসী ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। ভারতীয় বাহিনী জানায়, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি অনুযায়ী এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

এই উত্তেজনার ফলে আকাশপথেও প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের আকাশপথ অস্থিতিশীল হয়ে পড়ায় বাংলাদেশগামী দুটি ফ্লাইট মাঝপথ থেকে ফিরে যায়। এর মধ্যে ছিল তুর্কিয়ে থেকে আসা তার্কিশ এয়ারলাইন্সের TK-712 ফ্লাইট ও কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, পরিস্থিতি বিবেচনায় মধ্যপ্রাচ্যের ফ্লাইটগুলো বিকল্প রুট ব্যবহার করছে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যে দুই প্রতিবেশী দেশকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘আমরা ভারত ও পাকিস্তানকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাই এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করার জন্য একযোগে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছি।’

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম