
মাহতাবুর রহমান:
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা রাজউক আটটি জোন নিয়ে গঠিত। এই আটটি জোনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি
জোন-৩ ও ৪ এর সকল কাজ পরিচালিত হয় মহাখালী জোনাল অফিস থেকে। এই দুটি জোনেরই দায়িত্বে রয়েছে রাজউক পরিচালক জনাব সালেহ্ আহমদ জাকারিয়া। রাজধানীর মিরপুর, গুলশান, বনানীর মত অভিজাত এলাকা এই জোনের আওতায় হওয়ার কারনে অবৈধ উপার্জনের সুযোগ কাজে লাগাতে এই জোনের কয়েকজন ইমারত পরিদর্শক মিলে গড়ে তুলেছেন সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটকে পিছন থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন এই পরিচলক এমন গুঞ্জন রয়েছে। তার এই জোনে একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও তিনি নিজে থেকে ব্যবস্থা নিয়েছেন এমন নজির বিরল। এমনকি তার এই জোনের কর্মকর্তাদের দুনীর্তির বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা কথা বলতে চাইলেও তিনি এড়িয়ে যান। ইদার্নীং সালেহ্ আহমদ জাকারিয়া গণমাধ্যমকর্মীদের কল রিসিভ করা থেকেও বিরত থাকেন।
গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে তার আস্থাভাজন ও অতি ঘনিষ্ঠ ইমারত পরিদর্শক সোলাইমান হোসেন অফিসের নিজ কক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের ডেকে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে হামলা করার পরেও তিনি এই বিষয়ে নিজ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহনে নিভৃত ছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে ইমারত পরিদশকরা অবৈধ উপায়ে যে অর্থ উপার্জন করেন তার একটা অংশ থাকে পরিচালক সালেহ্ আহমদ জাকারিয়ার জন্য এই জন্য তার দায়িত্বপ্রাপ্ত জোনে কোন ইমারত পরিদর্শকের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলেও তা তিনি আমলে নেন না।
জোন-৩/৩ এর প্রধান ইমারত পরিদশককে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন ৩/২ এ, যার বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক অভিযোগ। এসএসসি পাশ করে ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪ সালে নিম্নমান সহকারী হিসেবে রাজউকে যোগদান করে ৬ জুলাই ২০০৬ সালে হন ইমারত পরিদর্শক পরবর্তিতে পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে প্রধান ইমারত পরিদর্শক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন মো: আব্দুর রহিম। জানাগেছে পরিচালককে অর্থ দিয়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব বাগিয়ে নিয়েছেন। তিনি কারো কারো সাথে বলে বেড়াচ্ছেন মোটা টাকা দিলে অথরাইজড অফিসারের দায়িত্বও পালন করা যায়।
প্রধান ইমারত পরিদশক মো: আব্দুর রহিমকে অতিরিক্ত দায়িত্বের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন পরিচালক মহোদয় নিজ ক্ষমতাবলে আমাকে এই অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন। আমাদের লোকবল সংকটের কারনে জোন-৩/২ এর সেক্টর ১-৬ পর্যন্ত আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কোন বিশেষ কারেনে অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন চাকুরির প্রায় শেষের দিকে চলে আসছি এখন আর কোন অভিযোগ মাথায় নিয়ে যেতে চাইনা আর এই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনেও আমার আগ্রহ নেই শুধু অফিস আদেশ পালন করছি।
এই বিষয় নিয়ে রাজউক জোন-৩ ও ৪(অঃদাঃ) পরিচালক জনাব সালেহ্ আহমদ জাকারিয়া কে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি কল কেটে দেন। তাকে বার্তা প্রদান করা হলেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।