
মাহতাবুর রহমান:
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর একজন অথরাইজড অফিসার ব্যবহার করেন দুইটি গাড়ি, রয়েছে একাধিক ফ্লাট ও প্লট। বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোষরদের সাথে ছিল ভালো সখ্যতা। বলছি রাজউক জোন ৭/১ এর অথরাইজড অফিসার জনাব শেখ মুহাম্মদ এহসানুল ইমাম এর কথা।
মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলার মোহাম্মদ ইমাম উদ্দিনের পুত্র জনাব শেখ মুহাম্মদ এহসানুল ইমাম বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) সম্পন্ন করে ২৭ অক্টোবর ২০১৫ সালে রাজউকে সহকারি অথরাইজড অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। এরপর পদোন্নতি পেয়ে হয়েছেন অথরাইজড অফিসার । কর্মরত আছেন রাজউক জো ৭/১ এ। ফাইল আটকে রেখে টাকা আদায়ের বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একজন অথরাইজড অফিসার হয়েও মুন্না ও রনি নামে দুইজন পিএস রেখেছেন তিনি। আছেন একজন ড্রাইভার, যার নাম শাহ আলম।
দশ বছরের চাকুরির জীবনে তিনি ইসিবি চত্ত্বরের স্টীল ব্রীজ সংলগ্ন হাতিলের পেছনে সাড়ে সাত কাঠা জমি কিনেছেন বলে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। সেখোনে জমির মালিকানা স্বত্বের সাইনবোর্ডে পাওয়া গেছে। যেখানে শেখ মুহাম্মদ এহসানুল ইমামের পরেই দেখা গেছে আওয়ামী ক্যাডার আশিকুর রহমান মুকুটের নাম। মুকুট বিয়ে করেছেন আওয়ামী নেতার মেয়ে যিনি জুলাই বিপ্লবের পরে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন ইউরোপে।
এই সকল বিষয় নিয়ে এহসানুল ইমামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার এমন কোন সম্পদ নেই । গাড়ির বিষয়ে বলেন আমার বাবা এয়ারপোর্টে চাকুরি করতেন একটি গাড়ি তার অন্যটি আমি কিস্তিতে ক্রয় করেছি। আশিকুর রহমান মুকুটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন মুকুট কাজ নিয়ে আসতো এর বেশি কিছু নয়।
তার গাড়ির বিষয় তথ্য নিয়ে দেখা গেছে তিনি এককালীন নগদ অর্থ পরিশোধ করে গাড়ি কিনেছেন।
অথরাইজড অফিসার এহসানুল ইমামের নৈতিক স্খলন ও অবৈধ উপাজর্নের বিষয় কথা বলতে জোন-৭ পরিচালক রাজিয়া সুলতানা কে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।