প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে লিচু

স্টাফ রিপোর্টার:

গ্রীষ্মের বাজারে লাল টুকটুকে লিচু দেখলেই জিভে পানি আসে। তাছাড়া থাকেও আল্প সময়। গ্রীষ্মের রসাল ফল লিচু কেনার আগে সাবধান হোন।

লিচু কেনার আগে ভালো করে তার গায়ের রং দেখে নিন। ভালো লিচু শুধু টুকটুকে লাল হয় না। সবুজ ও লাল রঙের মিশেলের লিচু অনেক বেশি সুস্বাদু।

অনেকে রং ব্যবহার করে লিচুকে টকটকে লাল করে তোলেন। তাই কেনার আগে লিচুর রং পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক।

এখন বেশিরভাগ মহিলার ব্যাগেই ওয়েট টিস্যু থাকে। লিচু কেনার আগে পারলে ওয়েট টিস্যু দিয়ে ঘষে নিন। দেখুন রং উঠছে নাকি। ওয়েট টিস্যুতে রং উঠলে তা ভুলেও কিনবেন না।

ভালো লিচুর খোসা পাতলা হবে। ত্বক মোটা হলে তার স্বাদ কিছুটা কম হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে দেশের সমবায় জনগোষ্ঠীর সুফল এনে দিয়েছেন সমবায় কিংবদন্তি আগষ্টিন পিউরীফিকেশন

মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:

নিন্দুক সেই বিরক্তিকর শব্দগুলির মধ্যে যার দুটি ভিন্ন অর্থ রয়েছে।
একজন নিন্দুক হল এমন একজন যিনি বিশ্বাস করে যে লোকেরা বেশিরভাগই ব্যক্তিগতভাবে তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো কাজ করে যাচ্ছে।আবার অন্য এক ধরনের নিন্দুক আছে যারা কখনো বিশ্বাস করবে না যে কেউ কেউ একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

ঠিক তেমন ভাবে যতই দেশের সমবায় খাতকে নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সমবায় কিংবদন্তি আগষ্টিন পিউরিফিকেশন এটাই বিশ্বাস করতে চায় না একধরনের নিন্দুকেরা।তাই নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দেশের সমবায় জনগোষ্ঠীর মাথার মুকুট সমবায় কিংবদন্তি আগষ্টিন পিউরিফিকেশন,তাঁর চিন্তা ভাবনা শুধুই সমবায় খাতকে ঘিরে এবং এদেশের সমবায় কে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার একজন জীবন্ত সমবায় কিংবদন্তি।

আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের স্বপ্ন দেশের সমবায় কে বিশ্বের অন্যতম সমবায়ী হিসাবে বাংলাদেশকে পরিচত করার লক্ষ্যে সফলতার সাথে সমবায় নিয়ে কাজ করেছেন এই জীবন্ত সমবায় কিংবদন্তি আগষ্টিন পিউরিফিকেশন।

বাংলাদেশের সুনামধন্য একজন জাতীয় সমবায়ী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আগষ্টিন পিউরীফিকেশন দেশের কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নেই। তার রাজনৈতিক চিন্তা শুধু মাত্র বাংলাদেশের সমবায় জনগোষ্ঠীকে ভালো রাখা ও সমবায় কে বিশ্বের দরবারে এদেশের স্থান তৈরি করা
এটাই আগষ্টিন পিউরীফিকেশন এর একমাত্র লক্ষ্য ও স্বপ্ন। তবে দেশের সমবায় খাত ধ্বংস করার জন্য কেবল বিরোধিতা করা এমন মানসিকতা নিয়ে একটি কুচক্র মহল সর্বদাই অপপ্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন।

আগষ্টিন পিউরীফিকেশন ছোটবেলা থেকেই চটপটে, মিশুক, হাসিখুশি, খেলাধুলায় আগ্রহী, সাংস্কৃতিকমনা ব্যক্তিত্ব হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। মি. পিউরীফিকেশন যুব বয়সে তারুণ্যের উচ্ছাসে ও বুদ্ধিদীপ্ত আলোয় আলোকিত করেন ধর্মপল্লী, গ্রাম তথা সমাজের সকল ক্ষেত্রে নিজেকে বিচরণের মধ্য দিয়ে। তিনি মাউছাইদ প্রাইমারি বিদ্যালয়ে তার শিক্ষা জীবন শুরু করেন। বলা যায়, নেতৃত্বের বিকাশমান আদর্শ প্রকাশ পায় যুব বয়স থেকেই।

আগষ্টিন পিউরীফিকেশন ব্যক্তি পর্যায়ে তিনি একজন স্বনামখ্যাত ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আবাসন ও ডেভেলপার হিসাবে তিনি ‘স্বস্তি নিবাস লিঃ’ নামে একটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি সমাজের ও অত্র অঞ্চলের বহু মানুষকে তাদের জমিজমা রক্ষা ও নানা জটিলতার অবসান ঘটিয়ে একটি সত্যিকারের স্বস্তিদায়ক অবস্থান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে কর্মীর কর্মসংস্থানের পাশাপাশি পরোক্ষভাবে আরও বহু মানুষ উপকার পেয়ে যাচ্ছেন।

আগষ্টিন পিউরীফিকেশন এর
নেতৃত্বের সফলতা-অর্জন,
তাঁর জ্ঞানালোক সংমিশ্রণে সূদরপ্রসারী ও সাহসীপূর্ণ নেতৃত্বের গুণে নিজ এলাকার গুণ্ডি পেরিয়ে ভাওয়াল অঞ্চলসহ ঢাকা মেট্রোপলিটান একালায়ও মুখ্য নেতৃত্ব প্রদান করেছেন এবং এখনও সদর্পণে এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সমবায় অঙ্গণে একজন সফল সমবায়ী এবং বর্তমান সময়ে সময়বায় প্রতিষ্ঠানগুলোর একজন আদর্শ নেতৃত্বের পথপ্রদর্শক। তিনি মাউছাইদ খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

আগষ্টিন পিউরীফিকেশন তাঁর সবচেয়ে সাফল্যময় ও গৌরবোজ্জ্বল নেতৃত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ-এ চেয়ারম্যান পদে আসীন হয়ে। ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ এপ্রিল ঢাকা শহরে খ্রিষ্টান ব্যক্তিদের আবাসনের সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে গঠিত এটি একটি বৃহৎ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে নানা চড়াই-উৎরাইয়ে পরিচালিত হতে গিয়ে অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। তিনি ২০০৩-২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের মেয়াদে সোসাইটির ব্যবস্থাপনা কমিটির ডিরেক্টর পদে নিয়োজিত হয়ে প্রত্যক্ষভাবে সেবা ও নেতৃত্ব শুরু করেন। এরপর ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে সোসাইটির ব্যবস্থাপনা কমিটির ম্যানেজার পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সোসাইটিতে দুই মেয়াদে অত্যন্ত নিষ্ঠা, সততা ও সুষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করার সুবাদে সোসাইটির প্রতি তাঁর জ্ঞানের পরিধি আরও বিস্তৃতি লাভ করে। ফলশ্রুতিতে, তিনি ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ-এ মহান দায়িত্ব নিয়ে চেয়ারম্যান পদাভিষিক্ত লাভ করেন। তিনি তাঁর ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়ে নব উদ্যোমে, দূরদর্শী জ্ঞাণের ব্যবহারে, দৃঢ় মনোবল চিত্তে, সাহসিকতার সঙ্গে সোসাইটির উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে থাকেন। শুরু হয় হাউজিং সোসাইটির ইতিহাসে উন্নয়নের মাইলফলক যাত্রা। হাউজিং সোসাইটিতে এই উন্নয়নের জোয়ার আনতে গিয়ে তিনি প্রথমেই বিগত সময়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নানা অনিয়ম-দূর্নীতির মূল উৎপাটন করার মধ্য দিয়ে সোসাইটিতে একটি স্থায়ী অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করেন। এ সময়ে সম্মানিত চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীফিকেশন ও তাঁর ব্যবস্থাপনা কমিটির গৃহীত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রতি সদস্য-সদস্যাদের আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করেন। ফলে, সোসাইটির সম্মানিত সদস্যগণ আগষ্টিন পিউরীফিকেশনকে চার চারবার সম্মানজনক চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করেন। হাউজিং সোসাইটির ইতিহাসে চেয়ারম্যান হিসেবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমবায় মন্ত্রণালয় আগষ্টিন পিউরীফিকেশনকে ব্যক্তিগতভাবে জাতীয় সমবায় পুরস্কার প্রদান করেন। অন্যদিকে সোসাইটিতে দায়িত্বভার গ্রহণের সময় ২২২ কোটি টাকার সম্পদ-পরিসম্পদকে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রায় ৩৭০০ কোটি টাকার ওপরে উন্নীত করার গৌরব অর্জন করেন। ফলশ্রুতিতে, তাঁর সুষ্ঠ নেতৃত্ব ও বলিষ্ঠ ব্যবস্থাপনার পুরস্কারস্বরূপ হাউজিং সোসাইটি ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে শ্রেষ্ঠ জাতীয় সমবায় পুরস্কার অর্জন করেন। এ সকল জাতীয় পুরস্কার অর্জনের পেছনে তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধা, সততা ও দক্ষ নেতৃত্বের গুণের অবদান অনস্বীকার্য।
আগষ্টিন পিউরীফিকেশন জাতীয় পুরস্কার অর্জনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন কর্তৃক প্রদত্ত মর্যাদপূর্ণ সম্মানা লাভ করেছেন। গান্ধী পীচ অ্যাওয়ার্ড ২০২০, স্টার অব দি ইয়ার ২০২০, রবীন্দ্র নজরুল সম্মাননা-২০২০, নেপাল-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ আন্তর্জাতিক পুরস্কার-২০১৯, অংকুর একাডেমি অব আর্টস এন্ড কালচার সম্মাননা, আর্টিস্ট সার্কেল সম্মাননা-২০১৯ আন্তর্জাাতিক পুরস্কার ও সম্মাননাসহ আরও বহু প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে পুরস্কারে ভ‚ষিত হয়েছেন। আজ এই গৌরবোজ্জ্বল সময়ে দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ-পরিবার সম্মানিত চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীফিকেশন। প্রতিটি মানুষই জীবনে স্বপ্ন দেখে, স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আপ্রাণ চেষ্টা করে। অনেক সময় সেই স্বপ্নের পথে পা বাড়ালেই নানা প্রতিকুলতা বা প্রতিবন্ধকতা এসে হাজির হয়। যিনি এ সকল প্রতিকুলতাকে জয় করে এগিয়ে যান তিনি সফলতার মুখ দেখেন। একজন ব্যক্তি সফলতা অর্জন করেন তাঁর পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছেশক্তি, একাগ্রতা, প্রতিভা, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, শৃংখলাবোধ, আত্মনির্ভরশীলতা, আবেগ, অর্থ ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ দক্ষতা, যেকোন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা, ইতিবাচক মনোভাব এবং সুদূরপ্রসারী জ্ঞান ব্যবহারের মধ্য দিয়ে। একজন ব্যক্তি তাঁর এই সফলতার ভাগ্যকে যদি মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত থাকার মধ্য দিয়ে সমাজকে ইতিবাচক দিক দিয়ে বদলাতে পারেন তাহলে তিনি একজন পূর্র্ণতায় ভরা গুণের অধিকারী মানুষ। আগষ্টিন পিউরীফিকেশন একজন সেই ভাগ্যবান ব্যক্তি যিনি নিজের ব্যক্তি জীবনে এ সকল গুণের অধিকারী ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম