নির্মাণনীতি লঙ্ঘন করে সিমেক্সের একাধিক ভবন নির্মাণ

মাহতাবুর রহমান:

সিমেক্স প্রপার্টিজ লিমিটেড, রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর নিবন্ধন পাওয়া একটি ডেভেলপার কোম্পানী। যেখানে সাধারন মানুষ একটি ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে রাজউক আইনের ব্যত্যয় করলে শাস্তির মুখোমুখি হয় সেখানে আইন মেনে নিবন্ধন নেয়া একটি ডেভেলপার কোম্পানী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একের পর এক ভবন নির্মাণ করে যাচ্ছে।

এই প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আকতারুজ্জামান বাবুল ও পরিচালক মোঃ আলমগীর হোসাইন উভয়েই ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী আমলে আওয়ামী লীগের দাপট দেখিয়েছেন। কোম্পানীটি রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এর মেম্বর (মেম্বরশীপ নং-৫২৫/২০০৮) এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিবন্ধীত ডেভেলপার কোম্পানীসমূহের তালিকায় রয়েছে ৪২১ নাম্বারে (নিবন্ধন নং- RAJUK/DC/REDMR-000530), প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা ৮/১৯ স্যার সৈয়দ রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।

গত ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে এই সিমেক্স প্রপার্টিজ লিমিটেডের একটি ১০ তলা ভবনে (প্লট ২৪/১এ, খিলজি রোড, শ্যামলি, মোহাম্মদপুর) উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ভবনটি উচ্ছেদ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এরপর ভবনটি ফিরছে আবার আগের রূপেই।

অনুসন্ধানে সিমেক্স প্রপার্টিজ লিমিটেডের কয়েকটি ভবন উঠে এসেছে। বায়তুল আমান হাউজিং এ খান টাওয়ার (৯ তলা), কৃষ্ণচূড়া (৯ তলা), দোলনচাপা (৯ তলা), মোহাম্মাদীয়া হাউজিং সোসাইটিতে ড. দানেশ ভবন (৯ তলা), পিসি কালচার হাউজিং এ আইকোনিক টাওয়ার (৯ তলা), চান মিয়া হাউজিং এ মায়ের ছায়া (৯ তলা), আরাফ প্যালেস (৯ তলা) ভবন গুলোর প্রতিটিতেই ডেভিয়েশন সমস্যা সহ রয়েছে একাধিক ত্রুটি। বর্তমানেও তাদের কয়েকটি নির্মাণ প্রকল্প চলমান রয়েছে।

এই সকল বিষয় নিয়ে জানতে সিমেক্স প্রপার্টিজ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে কল কেটে দিলেও প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার সাথে আর কথা বলা যায়নি।

রাজউক জোন-৫/১ এর অথরাইজড অফিসার হাসানুজ্জামান এই বিষয়ে বলেন, আপনাদের কাছে যে তথ্যগুলো রয়েছে তা আমাদের একটু দিন তাহলে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবো।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম