গাজীপুর বিআরটিএ এর ঘুষ বাণিজ্যের মহানায়ক গোলাম সারোয়ার

মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:

গাজীপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) দুর্নীতির আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্য চলে এ যেন দেখার কেউ নেই। আর এসব নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সহকারী মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন করতে ৪ হাজার,গাড়ি ও মালিক ছাড়া মালিকানা পরিবর্তন করতে ২০ হাজার, মোটরসাইকেল রেজিষ্ট্রেশন করতে ২ হাজার, ফিটনেস করতে ১ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে থাকে এই অসৎ এই কর্মকর্তা। সোলেমান, জিন্নাত, আহমদ, কাজল, রাজ্জাক, সাত্তার, মনির, জাহাঙ্গীর, শাহীন, মফিজসহ নাম না জানা অসংখ্য দালালের মাধ্যমেই উপার্জিত ঘুষের টাকা বিভিন্ন লেভেলের কর্মকর্তা এবং অসংখ্য কথিত সাংবাদিকরাও ঘুষের টাকার অংশ পেয়ে থাকে তাই তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের সংবাদ প্রকাশ হয় না । এ যেন এক গণেশের কেরামতি খেলা। বস্তুত বিআরটিএ কার্যালয়ের পরতে পরতেই ঘুষ। দালালচক্রের মাধ্যমে প্রতিটি কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন রেটে ঘুষ আদায় করা হয়।

সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে জানা যায়, ঘুষ দিয়েই ফিটনেস সার্টিফিকেট পাওয়া যায় ফিটনেসবিহীন গাড়ির। সহকারী মোটরযান পরিদর্শক সারোয়ার তার দালালদের সাথে নিয়ে গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করছেন। দেখা মিলে গাড়ির চালকরা দালালের সাথে গোপনে লেনদেন করছে। সারোয়ারের পাশেই দাড়িয়ে আছে।

আরো জানা যায়,সহকারী পরিদর্শক সারোয়ার অফিস সহকারী পদে চাকরিতে যোগদান করে। বিআরটিএর আলোচিত কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আত্মীয় মাসুদের শালিকার স্বামী হওয়ার সুবাদে সারোয়ার যেখানে যান, সেখানেই ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দুর্নীতি চালিয়ে যান। সেই সাথে সহকারী মোটরযান পরিদর্শক পদে পদোন্নতি পেয়ে টাঙ্গাইল বিআরটিএ অফিসে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগে শাস্তি মূলক গাজীপুরে বদলি হয়ে আসার পর থেকেই তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।

মালিকানা পরিবর্তন করার বিষয়ে গোপনে সারোয়ারের দালাল রাজ্জাকের কাছে জানতে চাইলে সে বলেন, মালিকানা পরিবর্তনের জন্য সারোয়ার স্যারকে ৩ হাজার ৫ শত ও ফাইল বের করা বাবদ ৫ শ টাকা করে দেওয়া লাগে।

দালালদের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে সরকারের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালিত হয়। কিছুদিন পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত ভালো থাকে; তারপর আবার সবকিছু আগের মতো।
এর কারণ দালালদের তৎপরতা চলে বিআরটিএ’র এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে। মূলত তারাই দালালদের পৃষ্ঠপোষক। তাই বন্ধ হয় না বিআরটিএ কার্যালয়ের দুর্নীতি এবং দালালদের অপতৎপরতা। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্য চলে। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কারণ এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে সড়কের নিরাপত্তার বিষয়টি। অদক্ষ চালক লাইসেন্স পেয়ে গাড়ি চালালে অথবা সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চললে এর পরিণতি কী হতে পারে, তা সবার জানা। বস্তুত এসব কারণেই দেশে সড়ক দুর্ঘটনা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

তাই সরকারের উচিত এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া এবং বিআরটিএ কার্যালয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করা। তবে সেক্ষেত্রে দেখতে হবে শর্ষের ভেতরেই যেন ভূত না থাকে। অর্থাৎ নজরদারির দায়িত্ব যাদের দেওয়া হবে, তারাও যেন দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে না পড়ে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিজেদের দুর্নীতিমুক্ত রাখতে পারলে নিম্নপর্যায়ের দুর্নীতিও রোধ করা সম্ভব। মুশকিল হচ্ছে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘুষের লোভ সংবরণ করতে পারেন না। তাই আশকারা পায় অধিস্তনরা, গজিয়ে ওঠে দালালচক্র। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রণালয় তথা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় যদি বিআরটিএ’র দুর্নীতি রোধে আন্তরিক হয়, একমাত্র তাতেই মিলতে পারে সুফল।

এবিষয়ে অভিযুক্ত বিআরটিএ সহকারী মোটরযান পরিদর্শক গোলাম সারোয়ারকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও উনি ফোন রিসিভ করে নি।

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে গাজীপুর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে যোগাযোগ করলে উনি জানান,গোলাম সারোয়ারের বিষয়ে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতে পালিয়েছে তুষার কান্তি মন্ডল

আক্কাস আলী খান বালিয়াকান্দি রাজবাড়ী প্রতিনিধি ঃ

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে গ্রাহকদের টাকা ও বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে আত্নগোপনে চলে গেছেন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ফিল্ড এ্যাসিটেন্ড তুষার কান্তি মন্ডল। প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে এলাকার লোকজন ধারণা করছেন। এলাকা বাসি জানিয়েছেন গ্রাহকদের টাকা বিভিন্ন সরকারি – বেসরকারি ব্যাংক থেকে নামে – বেনামে ঋন গ্রহণ করেছেন তুষার কান্তি মন্ডল। হঠাৎ করেই বাবা, মা, স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে তিনি পরিবার নিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। বালিয়াকান্দি উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকর শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন গত ৩০ অক্টোবর ফিল্ড অ্যাসিডেন্ট তুষার কান্তি মন্ডল তার ছেলেকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে যায়। এরপর থেকে তুষার কান্তি মন্ডল কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তিনি বলেন অডিট করা হয়েছে। তবে রিপোর্ট দাখিল না হওয়ায় কত টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলা যাচ্ছে না। তার স্ত্রী ও বাবার খোঁজ মিলছে না, উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন ফিল্ড এ্যাসিডেন্ট তুষার কান্তি মন্ডল এনআরবিসি ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋন নিয়েছেন বলে তারা জানিয়েছে। আগে কেউ কিছু অবগত না করলেও আত্নগোপনে থাকার খবরে এখন অনেকেই বলতে শুরু করেছে, তাকে টাকা দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে তুষার কান্তি মন্ডলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের