সিরাজগন্জ জেলা সংবাদদাতাঃ মো. আব্দুল হাকিম (৬৫)। পেশায় একজন মুদি দোকানদার। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের খাসপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাকিম। তার বাড়ির এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৩ টাকা।
ওই মুদি দোকানি তার বাড়ির দুটি কক্ষে দুটি বাল্ব, দুটি ফ্যান ও একটি ফ্রিজ ব্যবহার করেন। এতেই এক মাসের বিল হয়েছে বিপুল অঙ্কের এই টাকা। যদিও পরে সেই বিল সংশোধন করে নতুন বিল দেওয়া হয়। তবে এতে ভোগান্তির শিকার হন আব্দুল হাকিম।
সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ (তাড়াশ জোনাল অফিস) থেকে আসা বিলের কপিতে দেখা যায়, মে মাসের মোট বিল এসেছে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৩ টাকা। নির্দিষ্ট সময়ের পর বিলম্ব মাশুলসহ পরিশোধ করলে অতিরিক্ত ৬৪ হাজার ৪৩৮ টাকা দিতে হবে তাকে।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে ভুক্তভোগী আব্দুল হাকিম গনমাধ্যমকে জানান, এপ্রিল মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছিল ৭৫৯ টাকা। আর মে মাসে এসেছে সাড়ে ১৩ লাখেরও বেশি। আমার ছোট্ট পরিবার। দুটি রুমে লাইট, ফ্যান আর একটি ফ্রিজই চলে। এতেই এত টাকা বিল দেখে আমি হতভম্ব হয়ে পড়েছিলাম। পরে বিষয়টি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জানালে গতকাল তারা সংশোধন করে ৬৫৮ টাকার একটি নতুন বিল দিয়ে যায়।
স্থানীয় এক ব্যাক্তি গনমাধ্যমকে বলেন, পল্লী বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিলের এই সমস্যা নতুন নয়। মিটার রিডাররা বাড়ি না এসেও, রিডিং বসিয়ে দেয়। এছাড়া গ্রামের অনেক মানুষ আছে শিক্ষিত নয়, তারা পল্লী বিদ্যুতের মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
তাড়াশ জোনাল অফিসের ডিজিএম শামসুজ্জামান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, একটি আবাসিক সংযোগে এমন বিল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মূলত ভুল পোস্টিংয়ের কারণে এটা হয়েছিল। তবে বিষয়টি আমরা জানার পরই বিলটি সংশোধন করে ওই বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ মাসুদ || বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ২১/১ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০ || মোবাইল : ০১৫১১৯৬৩২৯৪,০১৬১১৯৬৩২৯৪ || ই- মেইল: dailysobujbangladesh@gmail.com || ওয়েব : www.dailysobujbangladesh.com
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ. All rights reserved.