গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী তামজীদ হোসেনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দুর্নীতির অভিযোগ!

স্টাফ রিপোর্টার॥
জুলাই ২০২৪-এ সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের পর গণপূর্ত অধিদপ্তরের অভ্যন্তরে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়। বিশেষ করে, ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে এই পরিবর্তনের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এই প্রেক্ষাপটে, চট্টগ্রাম গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-২ থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ তামজীদ হোসেনকে ঢাকা গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-৫-এ বদলি করা হয়। তবে, ঢাকায় যোগদানের পরপরই তার বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হয়।

তামজীদ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি ঢাকায় আসার পর থেকে টেন্ডার বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। তার সহযোগী হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের ঠিকাদার মনোয়ার হোসেন ভুট্টোকে তিনি ঢাকায় নিয়ে আসেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তামজীদ ভুট্টোকে বিভিন্ন দপ্তরে টেন্ডারের খোঁজ নিতে নিযুক্ত করেন, যাতে সুবিধাজনক দরপত্র পাওয়া যায়।

এছাড়াও, মো. মিঠুন নামের এক বহিরাগত ব্যক্তিকে অফিসে বিশেষ সুবিধা প্রদান করে চেয়ার-টেবিল বরাদ্দ করার অভিযোগও রয়েছে। জানা গেছে, মিঠুন প্রকৌশলী তামজীদ হোসেনের ব্যক্তিগত ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করছেন। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর অফিসের অধীনস্থ কর্মচারীরা ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের পর ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে অভিযোগকারী কর্মকর্তারা আরেকটি আবেদনের মাধ্যমে অভিযোগ প্রত্যাহার করেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, অভিযোগ তুলে নিতে তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি সমঝোতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়।

চট্টগ্রামে গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-২-তে দায়িত্ব পালনকালে তামজীদ হোসেনের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। সেই সময়ও ঠিকাদার মনোয়ার হোসেন ভুট্টো ছিলেন তার প্রধান সহযোগী। ধারণা করা হচ্ছে, ঢাকাতেও দুর্নীতির সেই চক্র অব্যাহত রেখেছেন তিনি।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, তামজীদ হোসেন তার বিভিন্ন কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনকালে নিয়মিত অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি স্বৈরাচার সরকারের এক মন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্ট থাকায় সব সময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে তিনি প্রায় শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এই বিষয়ে তামজীদ হোসেনের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সাধারণ মানুষের দাবি, এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করে প্রকৃত সত্য উন্মোচন করা হোক।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম