স্টাফ রিপোর্টারঃ
দেশের অন্যতম জ্বালানি তেল বিপণন প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল পিএলসি আজ দুর্নীতি ও অনিয়মে ডুবে আছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ একাধিক কর্মচারীর পক্ষ থেকে। বিশেষ করে ঢাকা অফিস, গোদনাইল ডিপো, ও ঢাকা এভিয়েশন ইউনিট–এ দুর্নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন পদ্মা অয়েলের চেকার ফারুকুল ইসলাম ফাহাদ এবং ডিজিএম এম এম মজিবুর রহমান।
জ্বালানি তেল চোরাচালানের অভিযোগে বারবার অভিযুক্ত গোঁদনাইল ও এভিয়েশন ডিপোর সিন্ডিকেট কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পদ্মা অয়েলের ডিজিএম এম এম মজিবুর রহমান। অভ্যন্তরীণ সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, তিনি শুধু সিন্ডিকেটকে নেতৃত্বই দিচ্ছেন না, বরং রাজনীতির ছত্রছায়ায় থেকে তা রক্ষা ও পরিচালনাও করছেন।
সুনির্দিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ফারুকুল ইসলাম ফাহাদ কাওরান বাজারে অবস্থিত ঢাকা অফিসে মাত্র ৮ দিন অফিস করলেও দৈনিক হাজিরা তালিকায় তাঁর উপস্থিতি দেখানো হয়েছে ২১ দিন। অফিস গেট লিস্ট ও হাজিরা বহি বিশ্লেষণ করলে এ অভিযোগের যথেষ্ট ভিত্তি পাওয়া যায়। অফিস না করেও হাজিরা বহিতে প্রতিদিন সই থাকার পেছনে অ্যাডমিন অফিসার রনির সহায়তা রয়েছে। এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বছরের পর বছর ধরে ডিপো থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার তেল চুরি করে আসছে।
পদ্মা অয়েলের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মচারী জানান, “চেকার ফাহাদ ঠিক মত অফিস না করেও নিয়মিত বেতন তুলছেন। অফিসে না থেকেও হাজিরা বহিতে সই আছে, যেন কেউ প্রভাব খাটিয়ে সুরক্ষা দিচ্ছে।”
ফারুকুল ইসলাম ফাহাদ ছাত্র জনতা হত্যা মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে ঢাকা এভিয়েশন ও গোদনাইল ডিপোতে পুনর্বহাল করা হয়েছে। অভিযোগ আছে আওয়ামী লীগের দোসর হওয়ার সুবাদে, ডিজিএম এম এম মজিবুর রহমান এবং অ্যাডমিন অফিসার রাহাত হাসান রনি সরাসরি এই পূর্ণবাসন প্রক্রিয়ায় জড়িত।
এ সমস্ত অভিযোগ শুধু ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, বরং প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ও রাজনৈতিক প্রভাবের প্রমাণ বহন করে। প্রতিষ্ঠানের ভেতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী:
অভিযুক্ত ফারুকুল ইসলাম ফাহাদ রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতাদের, বিশেষ করে শামীম ওসমানের ক্যাডার গ্রুপের, ছত্রছায়ায় আছেন।
প্রতিষ্ঠানটির একাধিক অভ্যন্তরীণ সূত্র এবং সিনিয়র কর্মচারী এই প্রতিবেদকের কাছে সরাসরি তথ্য ও নথিপত্র হস্তান্তর করেছেন। একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন “আমরা চাই, পদ্মা অয়েল পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মফিজুর রহমান দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। ফারুকুল ইসলাম ফাহাদ, এম এম মজিবুর রহমান ও রনির মতো কর্মকর্তাদের শাস্তি না হলে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ও দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।”
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ মাসুদ || বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ২১/১ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০ || মোবাইল : ০১৫১১৯৬৩২৯৪,০১৬১১৯৬৩২৯৪ || ই- মেইল: dailysobujbangladesh@gmail.com || ওয়েব : www.dailysobujbangladesh.com
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ. All rights reserved.