আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে গোপন বৈঠক করছে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম

মারুফ হোসেন:

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ১নং রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের টানা ২০ বছরের সভাপতি এবং জুলাই অভ্যুত্থানে গণ হত্যার আসামি আবুল কাসেম এর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ হয়েছে। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের আবুল কাশেম চেয়ারম্যান গোপন বৈঠকে মেতে উঠেছেন এরকম অভিযোগ করেছে স্হানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন ও বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনীতিবৃন্দ।

আবুল কাসেম চেয়ারম্যান এর দূর্নীতির দায়ে ২০২৩ সালে ইউনিয়ন পরিষদের সকল মেম্বারগন একত্রিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অনাস্থা দিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সাধারণ ক্ষমার ভিত্তিতে সমাধান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্হানীয় আওয়ামী নেতাকর্মীরা।

ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারদের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তারা বলেন আমরা আবুল কাশেম চেয়ারম্যান কে বুঝে শুনেই অনাস্থা দিয়েছিলাম।গত জুলাই অভ্যুত্থানে ৫ অগাস্ট সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর ও তার অত্যাচার কমেনি।কারণে অকারণে পরিষদের সদস্য, সচিব ও কম্পিউটার অপারেটর,গ্রাম পুলিশ সবার সাথে মার্জিতহীন কথাবার্তা বলে।পূর্বের ন্যায় ক্ষমতা প্রদর্শন করে। হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের সহযোগীদের সাথে মিটিং করছে নিয়মিত।

গোপন সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে আবুল কাশেম চেয়ারম্যান স্হানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে গোপন বৈঠক করে।কয়েক বার হাতেনাতে ধরা হয়। বর্তমান সরকারের কার্যক্রম কে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে আওয়ামী লীগের সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে গোপন বৈঠক ও দেশদ্রোহী কার্যক্রম চালাচ্ছে।

ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারগণ বলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এখনো সকল কাবিখা, টিআর,উন্নয়ন সহয়তা সহ সকল ধরনের কাজ দিয়ে থাকে।পূর্বে মেম্বারগণ এসমস্ত বিষয় সহ আর বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে অনাস্থা দিয়েছিলেন। বর্তমানে তাদেরকে বদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে আবার ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে গোপন বৈঠক করে কাজ দিচ্ছে। কারও কথা শুনছে না।নিজের মতো করে ইউনিয়ন পরিষদ চালাচ্ছে।

জুলাই অভ্যুত্থান বিভিন্ন মামলার আসামি আবুল কাশেম চেয়ারম্যান জনসম্মুখে আওয়ামী লীগের পোস্ট পদবি ব্যবহার করে এখনো গোপন বৈঠক করছে। রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য দলের নেতৃবৃন্দদের সাথে কথা বললে তারা বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চেয়ারম্যান বয়োজ্যেষ্ঠ হওয়ার তাকে আমরা কোনো কিছু বলতে পারছি না।প্রশাসনের ও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম আসামি।পুলিশ তাদেরকে ধরছে না। তাই বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার জন্য পায়তারা করছে। এ বিষয়ে আবুল কাশেম চেয়ারম্যান কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম