বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্টঃ রাজধানীর মেরুল বাড্ডার একটি বাসার তৃতীয় তলা থেকে আসাদুজ্জামান দুর্ব (২৫) নামে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩০ জুন) রাত পৌনে ১২টার দিকে অচেতন অবস্থা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আসাদুজ্জামান দুর্ব ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (সিএসই) শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি বরিশালের কাউনিয়া থানার কাজীবাড়ি মসজিদের ১ নম্বর লেনে। তিনি রাজধানীর মেরুল বাড্ডার ল-৩২/৪/১ শামসুজ্জামান দুদুমিয়ার বাসায় ভাড়া থাকতো।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশেদ মিয়া। তিনি জানান, বিকেলের দিকে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে একটি রুমের সিলিং ফ্যানের সাথে গামছা পেঁচিয়ে আসাদুজ্জামানকে ঝুলে থাকতে দেখি। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান তিনি আগেই মারা গেছেন। তার মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, একটি বাসায় আসাদুজ্জামান সহ আরো একজন থাকতো। এদের মধ্যে একজন ড্রয়িং রুমে থাকতো আর আসাদুজ্জামান একটি রুম নিয়ে থাকতো।

আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি- ওই ছেলেটি ড্রয়িং রুমে ঘুমিয়ে ছিল এবং সে সবার অগোচরে নিজ রুমে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ঝুলে থাকে। পরে দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দিলে আমরা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করি।সে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা শামসুজ্জামান বাবু একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং মা একটি স্কুলের শিক্ষিকা বলে জানা গেছে। তবে কী কারণে সে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে প্রাথমিকভাবে সে বিষয়টি জানা যায়নি।

সচিবালয়ের সামনে সংঘর্ষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় আহত ৮০

সচিবালয়ের সামনে সংঘর্ষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় আহত ৮০

ডেস্ক রিপোর্ট:

শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষাসচিবের পদত্যাগ দাবিতে সচিবালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপে আহত ৮০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে আহতদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়।

আহতরা হলেন, হাসান (১৮), সেরাতুল (২২), সাকিব (১৯), তানভীর (১৯), রিফাত (১৯), রিজন (২০), সামিয়া (১৮), সামির (১৯), তামিম (১৯), ইমন (২০), সিয়াম (১৮), সাকিল (২০), মেহেদী (২০), সাদমান (১৮), মারুফ (২২), সাকিব (১৮), মাহিন (১৯), রোহান (২০), হাসিব (২০), মুগ্ধ (১৯), মাহিম (২০), হাসিব (১৯), সায়েম (১৮), জিদান (২০), নিহার (২০), রায়হান (২০), রোমান (১৮), প্রান্ত (১৯), নাহিদ (২০), অন্তু (২০), বিশাল (২০), ইমরান (২০), আহনাদ (১৮), মাহি (২০), নাঈম (১৮), সামি (১৮), স্বাধীন (২০), তাসিন (১৮), ইমরান (১৯), ধ্রুব (১৯), শান্ত (২০), তানিম (২০), আজহারুল (২০), তন্ময় (১৯), জিসান (১৯), রাসেকুন (২০), পারভেজ (২০), নাঈম (১৯), বিজয় (১৭), আসাদ (২০), নিহার (২০), নাফিজ (১৮), সাহিন (২০), কিশোর (১৮), তানভীর (১৮), ফারদিন (১৯), শাহরিয়ার (২০), সাঞ্জু (১৯), রাইয়ান (১৯), কলি (১৯), আব্দুল খালেক (৬৫), হাসিব (১৮), সিনান (১৮), তাসফি (২২), মামুন (২০), রিফাত (১৮), আসাদ (২১), মাহিন (২০), আতিক (১৮), তানভীর (১৮), হাবিব হাসান (সাংবাদিক মানবজমিন), কনা (২১), ইমন (১৯), ফাহাদ (১৮), ইয়াসিন আরাফাত শান্ত (২০), শাকিল (২০)। আহত অন্যদের নাম জানা যায়নি।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক যুগান্তরকে জানান, আজ বিকালের দিকে আহত অবস্থায় একজন সাংবাদিকসহ আনুমানিক ৮০ জনকে জরুরি বিভাগে আনা হলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি। এর আগে শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষাসচিবের পদত্যাগ চেয়ে সচিবালয়ের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বিকাল পৌনে চারটার দিকে শিক্ষার্থীরা ফটক খুলে সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর সচিবালয়ের ভেতর পার্কিং অবস্থায় থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

গাড়ি ভাঙচুরের জেরে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সচিবালয় থেকে বের করে দেন। এর পর সচিবালয়ের সামনে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় লাঠিপেটা করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ার শব্দ শোনা গেছে। এ ছাড়া কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোড়া হয়েছে। শিক্ষা উপদেষ্টা সি আবরারের পদত্যাগ দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়ার পর ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েছেন ঢাকার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ার শব্দ শোনা গেছে। এ ছাড়া কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোড়া হয়। বিমান দুর্ঘটনায় নিহত-আহত শিক্ষার্থীদের সঠিক তথ্য প্রকাশের দাবিতে এবং মঙ্গলবারের এইচএসসি পরীক্ষা দেরিতে স্থগিত ঘোষণা করার কারণে সরকারের এই উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছেন তারা। এ সময় শিক্ষা সচিবেরও পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। প্রথমে তারা তিন নম্বর ফটকের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। এক পযার্য়ে একটি গেইট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়তে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। ভেতরে পুলিশ সদস্যদেরও দেখা গেছে।

বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার দুপুরে প্রথমে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করতে যায়। সেখান থেকে বেলা দেড়টার দিকে সচিবালয়ের সামনে আসে তারা। বিকাল পৌনে চারটার দিকে শিক্ষার্থীরা ফটক খুলে সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন।এরপর সচিবালয়ের ভেতর পার্কিং অবস্থায় থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গাড়ি ভাঙচুরের জেরে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সচিবালয় থেকে বের করে দেন। এর পর সচিবালয়ের সামনে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

গতকাল উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রাণহানির পর আজকের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিলের দাবি করেছিল শিক্ষার্থীরা। রাত পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিতের কোনো সিদ্ধান্ত না এলেও, ভোররাত পৌনে ৩টার দিকে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানান যে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পরেও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিবের পদত্যাগ দাবিতে আজ সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন এবং এক পর্যায়ে তারা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম