আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল

ডেস্ক রিপোর্ট:

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছে প্রসিকিউশন।

বুধবার (২ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গত ২৪ জুন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য ২ জুলাই নির্ধারণ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন সাইমুম রেজা তালুকদার। এ সময় আদালতে অভিযোগ গঠনের জন্য এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়। পরে শুনানি শেষে নতুন দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আশুলিয়ায় ছয় লাশ পোড়ানোর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গত ১৯ জুন জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য আমরা এক সপ্তাহ সময় চেয়েছি। এ ঘটনায় ১৬ জনের সম্পৃক্ততা মিলেছে তদন্ত প্রতিবেদনে। এর মধ্যে সাতজন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, তৎকালীন ওসি এএফএম সায়েদ, ডিবি পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক ও কনস্টেবল মুকুল।

গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ছয় তরুণ। এরপর পুলিশ ভ্যানে তাদের লাশ তুলে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নৃশংস এ ঘটনার সময় একজন জীবিত ছিলেন। কিন্তু তাকেও বাঁচতে দেননি তারা। পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। এ ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়।

ভারত থেকে আসছেন না চিন্ময়ের আইনজীবী

স্টাফ রিপোর্টারঃ 

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কারাগারে থাকা বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানি হওয়ার কথা বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি)। অথচ, তার আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ এখনও ভারতে। হৃদজনিত সমস্যা নিয়ে তিনি কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি থাকার কারণে নির্ধারিত দিনে শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) হৃদজনিত সমস্যা নিয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রবীন্দ্র ঘোষ। এর আগে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ আইনজীবী বলেছিলেন, চিন্ময়ের জন্য আইনি লড়াই করতে ২ জানুয়ারির আগেই দেশে ফিরবেন। পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরে ছেলের সঙ্গে থাকছিলেন তিনি। সেখানে চিকিৎসার জন্যই গিয়েছিলেন তিনি। তবে, এতদিন বাড়িতে থাকলেও জামিন শুনানির দুইদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে তাকে। হাসপাতালে থাকায় কবে তিনি দেশে ফিরবেন, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে গতকাল পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের কুনাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করেন রবীন্দ্র ঘোষ। এরপর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। রবীন্দ্র ঘোষ জানান, চিন্ময় দাসকে যখন রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়, তখন এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার জন্য ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই চিঠির উত্তর এখন পর্যন্ত পাননি।

গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের অভিযোগে চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা হয়। এরপর গত ২৭ নভেম্বর ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

পরের দিন চট্টগ্রামের আদালতে তার মামলার শুনানি ঘিরে আদালত চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের হামলায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী নিহত হন। আগামীকাল চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতেই তার জামিন শুনানি হওয়ার কথা আছে।

 

সবা:স:জু- ৫৭৭/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম