তারিখ লোড হচ্ছে...

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলাতে সবুজের জুয়ার আসর ও মাদক ব্যবসা চলছেই, নিঃস্ব হচ্ছে অনেকেই

স্টাফ রিপোর্টার ঃ

কেউ ফিরে নি:ম্ব হয়ে আবার কেউ ফেরে টাকার বস্তা নিয়ে। এমনি করেই বছরের পর বছর জুয়া খেলায় হারিয়ে যাচ্ছে অনেক পরিবার। তারপর ও থেমে নেই জুয়ার আসর। একের পর এক অভিযান চালালেও থামছে না এ খেলা। রাজধানীতে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গড়ে উঠা শতাধিক ক্লাবগুলোতে সন্ধ্যা নামতেই বসে এসব জুয়ার আসর। এ আসরগুলোতে ওয়ান-টেন, ওয়ান-এইট, তিন তাস, নয় তাস, কাটাকাটি, আরো নানা নামের জুয়া চলে। লোভ সামলাতে না পেরে অনেকেই পথে বসছেন। এতে পারিবারিক অশান্তিসহ সামাজিক নানা অসংগতি বাড়ছে। ভুক্তভোগীরা সর্বস্বান্ত হলেও জুয়ার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আয়োজক চক্র। আর এ কাজে সহায়তা দিচ্ছে এক শ্রেণির প্রভাবশালী। অথচ আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও অভিযোগ রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু লোককে ম্যানেজ করেই দিনের পর দিন চলছে এসব কর্মকাণ্ড। তবে গতকাল জানা গেছে, এই ক্লাবগুলোতে থানা-ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা, ওর্য়াড কমিশনার, নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই আসরগুলোতে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার খেলা হচ্ছে । এদের আইনি ঝামেলা থেকে সুরক্ষা দেয় খোদ পুলিশ প্রশাসনেরই কিছু অসাধু কর্মকর্তা। সরকার দলীয় একশ্রেণির নেতার ছত্রছায়ায় এ সর্বগ্রাসী জুয়ার আস্তানা এখন ছড়িয়ে পড়ছে আবাসিক এলাকা থেকে শুরু করে রাজধানীর অলি-গলিতেও। ক্লাবের বাইরে বিভিন্ন এলাকার গেস্ট হাউজ ও ফ্ল্যাট বাসায়ও এ ধরনের আয়োজন করা হচ্ছে। বাদ পড়ছে না বস্তি এলাকাও।
যাত্রা বাড়ি থানা এলাকার কাজলার পাড় স্কুল গলি ৩৩/৭ মায়ের দোয়া স্টোর এর পাশের রাস্তা দিয়ে একটু ভিতরে হাতের ডান পাশে কালামের টিন সেট বাড়িতে সবুজের মাদক ব্যাবসা ও জুয়ার আসর চলছেই, আর এই জুযা থেকে নাকি থানা পুলিশ প্রতিদিন ৩০ হাজার টাকা করে পেযে থাকে আর সে কারনেই শত অভিযোগ থাকার পরেও এই জুয়ার আসর চলছেই। এই জুয়া পরিচালনা করে রিপন, সবুজ, আলমগীর ও মনির, অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই নাকি এই জুয়া পরিচালিত হয়ে থাকে। অন্যদিকে নিকেতন, নিকুঞ্জ, শান্তিনগর, উত্তরা, রূপনগর, খিলগাঁও, লালবাগ, হাজারীবাগ, বাড্ডার অসংখ্য বাসায় নিয়মিত জুয়ার আসর বসানো হয়। এসব আসরে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে ছিনতাইকারী, ছিঁচকে চোরেরাও খেলে। তেজগাঁও নাখাল পাড়া এখানে খেলাঘর নামে একটি ক্লাব রয়েছে। যেখানে প্রতি রাতে চলে কোটি কোটি টাকার জুয়া। সেখানে মূল দায়িত্বে রয়েছেন নজরুল নামের এক ব্যক্তি। এছাড়া জুয়ারিদের সহযোগী রয়েছেন মতিন, সফিক, রবিনসহ বেশ কয়েকজন। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্তের কমপক্ষে শতাধিক ব্যক্তি এ খেলায় অংশ নেয়। তেজগাঁও থানার পেছনে নাখালপাড়া যুব কল্যাণ ক্লাবেও রাত নামলে শুরু হয় জুয়া খেলা। এখানেও অংশ নেয় বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা। এ ছাড়া মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, গুলশান, মিরপুর, গুলিস্থান, কাজলা, শনির আখড়া, রায়ের বাগ, পলটনসহ ঢাকার অধিকাংশ ক্লাব গুলোতে ভোর রাত পযর্ন্ত চলে এই জুয়া খেলা। প্রসাশন স্থানীয় সরকার দলীয় বিভিন্ন অংগ-সংগঠনের নেতা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় অসৎ সদস্যকে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে এ ব্যবসা চালিয়ে থাকে। এ ব্যপারে ওয়ারী জোনের ডিসি জানান, এ ধরণের তথ্য পেলে অভিযান চালানো হবে।

আবারও গ্রেফতার ইমরান খান

স্টাফ রিপোর্টার॥
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তোষাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর লাহোরের জামান পার্কের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আজ শনিবার জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে আজ শনিবার সেশন জজ ইমরান খানের আবেদন খারিজ করে দেন। সেই সঙ্গে তোষাখানা মামলায় পিটিআই চেয়াম্যানকে অভিযুক্ত করে তার তিন বছরের জেল দেন বিচারক দিলওয়ার।

খবরে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ও দায়রা জজ হুমায়ুন দিলাওয়ার তার রায়ে উল্লেখ করেছেন, ‘পিটিআই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সম্পদের ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।’

তার পর বিচারক খানকে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে এক লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়।

এর আগে গত ৯ মে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে পিটিআই প্রধানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে থেকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানি রেঞ্জার্স। এর প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠে গোটা পাকিস্তান। পরে দুই দিনের মাথায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম