প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে ড.আবু সুুফিয়ানের নেতৃত্বে চলছে সরকারী টাকা হরিলুট!

স্টাফ রিপোর্টার॥

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে বর্তমানে কোন জবাবদিহিতা না থাকায় চলছে সরকারী টাকা হরিলুটের মহোতসব। যে যেভাবে পারছেন সে সেভাবেই লুটেপুটে খাচ্ছেন। বর্তমান অধিদপ্তরে যে সকল পরিচালক কর্মরত আছেন তাদের প্রত্যেকেই বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মহা পরিচালক ড. আবু সুফিয়ানের একাডেমিক সিনিয়র বা রুমমেট। যার ফলে সিনিয়ররা তার রুমে সচারাচর যান না এবং রুমমেটরা তার কোন কমান্ড মানেন না।
চলতি অর্থ বসরে উপজেলা, জেলা , বিভাগ এবং বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন খাতে যে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে তার ৬০% অর্থ সরকারের কোন কাজেই আসে নাই । মালামাল না কিনে, প্রশিক্ষন না দিয়ে, শুধু ভূয়া বিল/ ভাউচারের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে সমুদয়় টাকা আতনসাৎ করা হয়েছে।
একাধিক সুত্রে জানা যায়, চলতি মাসে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস , ঢাকার দপ্তরে প্রায় ১২/১৩ লক্ষ টাকা এবং ঢাকার মেট্রোর দপ্তরে প্রায় ২.২০ হাজার টাকা ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন করে সমুদয় টাকা আতনসাৎ করা হয়েছে। যা বিল ভাউচার এবং কেনা মালামাল সরেজমিনে নীরিক্ষা করলেই প্রমানিত হবে। এছাড়া খোদ অধিদপ্তরে চলতি বছরে গ্যারেজ মেরামতের নামে ২৫ লক্ষ টাকা, খাওয়া- দাওয়া ( আপ্যায়ন) বাবদ ৪০, লক্ষ টাকা , কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ৮ লক্ষ টাকা, কম্পিউটারের আনুষাংগিক যন্ত্রপাতি / কাগজ , কালি কেনা বাবদ ১০ লক্ষ টাকা, মুদ্রণ বাবদ ১০ লক্ষ টাকা, বিভিন্ন ডিসপ্লে,ব্যনার তৈরী বাবদ ৩০ লক্ষ টাকা,প্রশিক্ষন সামগ্রী ও প্রশিক্ষণ বাবদ ১০ লক্ষ টাকা, বিভিন্ন প্রিন্টিং মেটিরিয়ালস বাবদ ২০. লক্ষ টাকা, এসি, ফটোকপিয়ার মেরামত বাবদ ৫ লক্ষ টাকা , আসবাব পত্র কেনা বাবদ ১৫ লক্ষ টাকা, বিভিন্ন পাবলিকেশন কেনা বাবদ ৯ লক্ষ টাকা খরচ দেখান হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কোন গ্যারেজ মেরামত বা নির্মাণ করা হয় নি। কম্পিউটারের জন্য কোন খরচ করা হয়নি । কারন, বিভিন্ন প্রকল্প হতে এ সকল কাজ করা হয়ে থাকে।
কোন আসবাব পত্র , বই- পাবলিকেশন, ইত্যদি কেনা হয়নি। খাওয়া বাবদ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য সর্বমোট ১০ লক্ষ টাকা খরচ না হলেও ৪০ লক্ষা টাকার বিল উঠানো হয়েছে। একইভাবে কথিত সিগনেফিসেনট দিন উপলক্ষে ফেসটুন, ব্যনার বাবদ ৫ লক্ষ টাকা খরচ না হলেও ৩০ লক্ষ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে বলে অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন।
অধিদপ্তরের দেশ প্রেমিক কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা মন্ত্রণালয়ের উর্ধ¦তন কর্মকর্তাদের দ্বারা অভিযোগগুলি তদন্তের দাবী তুলেছেন।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড,আবু সুফিয়ানের সাথে এবং পরিচালক বাজেটের সাথে কথা বলার জন্য একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোন রেসপন্স পাওয়া যায়নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম