ডিএমপির নতুন কমিশনার হলেন খন্দকার গোলাম ফারুক

স্টাফ রিপোর্টারঃ

পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর (অতিরিক্ত আইজিপি) খন্দকার গোলাম ফারুক, বিপিএম(বার), পিপিএম কে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর নতুন কমিশনার হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তিনি বর্তমান কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম, বিপিএম(বার) এর স্থলাভিষিক্ত হবেন। বর্তমান কমিশনার আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে যাবেন।

আজ রবিবার (২৩ অক্টোবর ২০২২) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মোঃ হারুন-অর-রশীদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ পদায়ন করা হয়।

খন্দকার গোলাম ফারুক ১৯৬৪ সালের ১লা অক্টোবর টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর থানার ঘাটানদি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মৃত খন্দকার হায়দার আলী ও মাতা মোসাম্মৎ ফাতেমা বেগম।

তিনি ১৯৯১ সালে ২০ জানুয়ারী ১২ তম বিসিএস এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে কর্মজীবন শুরু করেন। সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে প্রথমে বগুড়ার ৪-এপিবিএন পরে সিএমপি চট্টগ্রাম এবং খাগড়াছড়ি জেলায় দায়িত্ব পালন করেন। এএসপি হিসেবে শেষ কর্মস্থল ছিল ডিএমপি ঢাকা।

এরপর তিনি খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় অতিরিক্ত এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর, তার প্রথম পোস্টিং হয় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি কনফিডেন্সিয়াল শাখায়। তার নিষ্ঠা, বুদ্ধিমত্তা এবং কঠোর পরিশ্রমের কারণে, খন্দকার গোলাম ফারুক ঠাকুরগাঁও, কিশোরগঞ্জ, ঝালকাঠি, জামালপুর এবং ময়মনসিংহ জেলায় পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে তিনি ডিএমপি ও ঢাকা রেঞ্জ পুলিশে কাজ করেছেন। এরপর ডিএমপিতে অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) হিসেবে কাজ করেন। তিনি রংপুর রেঞ্জ পুলিশ ও চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী, সারদা, রাজশাহীর অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত হন। সর্বশেষ পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জনগণের প্রতি তার অসাধারণ এবং অনুকরণীয় সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০০৬ সালে এবং ২০১৮ সালে দুইবার বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম-সেবা) অর্জন করেন। ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিম-সেবা)লাভ করেন। তিনি ২০১৯ সালে আইজিপি গুড সার্ভিস ব্যাজও প্রাপ্ত হন।

তিনি ২০১৪ সালে “ইন্টারপোল এবং ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন ইন্টারন্যাশনাল ল এনফোর্সমেন্ট ক্রিটিক্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিম্পোজিয়াম” এবং নেপালে অনুষ্ঠিত একটি বিশেষ প্রশিক্ষণসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, থাইল্যান্ড, তুরস্ক এবং মার্কিন যুক্তরাস্ট্রসহ অনেক দেশ সফর করেছেন। তিনি ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত অ্যাঙ্গোলায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।

খন্দকার গোলাম ফারুক বাংলাদেশ পুলিশের সবচেয়ে আইকনিক সিনিয়র অফিসারদের একজন এবং অপরাধ ও সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তার অপরিসীম অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ঢাকা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি (কৃষি) বিষয়ে অনার্স এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।তিনি তিন কন্যা সন্তানের পিতা।

পেঁয়াজের কেজিতে কমল ১৫-২০ টাকা

অনলাইন ডেস্কঃ

গতকাল সোমবার থেকে আমদানির অনুমতি পাওয়ার পরপরই আসতে শুরু করেছে পেঁয়াজ। এর প্রভাবে বিভিন্ন জেলায় কেজিতে ১৫-২০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। ১০০ টাকা থেকে নেমে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা।

আমদানিকারকরা বলছেন, বন্দরে আসা পেঁয়াজ সারা দেশের বাজারে পৌঁছে গেলে দাম আরও কমবে।

সোমবার (৫ জুন) সকালে আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর দুপুর থেকেই বিভিন্ন বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসতে থাকে পেঁয়াজ। পেঁয়াজ আমাদানি শুরু হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে। ৫৭টি ট্রাকে পেঁয়াজ আসে ১১শ টন।

সোমবার সন্ধ্যায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে তিনটি ট্রাকে আসে আরও ৬৩ টন পেঁয়াজ। পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম জানান, ২০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন তারা। বিকালে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আসে ৭ ট্রাক পেঁয়াজ।

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে তিন ট্রাকে আমদানি হয় ৭৫ টন পেঁয়াজ। আমদানিকারক জুয়েল বলছেন, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০ টাকা দরে আমদানি করেছেন তারা।

অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম