
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর উত্তরা বিএনপিতে গত শুক্রবার বড় দুটি মিছিল করেছে মনোনয়ন প্রত্যাশী দুই নেতা। দুজনই ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনিত প্রার্থী ছিলেন। সেই সময় দল একের অধিক প্রার্থীকে প্রস্তুত রাখতে এমন কৌশল নিয়েছিল। তাদের একজন হলেন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। যিনি পরে এ আসনের উপনির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন। যিনি এখন জনতার এমপি বলে প্রচারও পাচ্ছেন। অপরজন হলেন সাবেক ছাত্র নেতা ও ব্যবসায়ী বাহাউদ্দীন সাদী।
শুক্রবারের মিছিল দুটি নিয়ে উত্তরা বিএনপিতে এরই মধ্যে ব্যপক আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। প্রথম মিছিলটি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনের নির্বাচনী শোডাউন হিসেবেই করা হয়েছে। মিছিলের ধরণও ছিল তেমন। কিন্তু পরে বাহাউদ্দীন সাদীর মিছিলটি ছিলো অনেকটাই ব্যতিক্রমী। মিছিলে তিনি উপস্থিত না থাকলেও গোছানো মিছিলের মুল ব্যনারে লিখা ছিলো ” বাংলাদেশ কে পরিবর্তন করতে হলে নিজেকে পরিবর্তন করো”। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ৫ আগষ্টের পর থেকে যেমন বিএনপি দেখতে চান, সেই মিছিলের মুল স্পিরিটও ছিলো সেটা। হাল আমলে উত্তরার দখল চাদাবাজিতে জড়িয়ে কিছু নেতা এরই মধ্যে ইমেজ সংকটে পতিত হয়েছেন। যার খবর বিএনপির হাই কমান্ড পর্যন্ত অবগত বলে জানাগেছে। কিন্তু তৃর্নমুল বিএনপির নামে সাদীর মিছিলটির স্পিরিট ও স্লোগান ছিলো পরিচন্ন বিএনপির ইঙ্গিতবাহী। যা সাধারণ মানুষের মনোপুত হয়েছে বলে অধিকাংশ নেতাকর্মীর মত।
জানাগেছে, বর্তমানে মনোনয়ন প্রার্থী নেতা হিসেবে আরো বেশ কয়েকজন প্রার্থী মাঠে আছেন। তারাও প্রতিদিনই কোন না ভাবে মানুষের কাছে যাচ্চেন। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন ঢাকা নহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন। শিক্ষিত স্বজ্জন এ নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের সাবেক ভিপি। সাংগঠনিক দক্ষতায় এ নেতা ইতিমধ্যে বিএনপির শীর্ষ নেতার মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। কোন পকেট নয় যোগ্যদের জন্য দল এমন নীতি নিয়ে তার বক্তব্য বিবৃতি সাধারণ নেতাকর্মীরা ব্যপক ভাবে পছন্দ করছেন। ধারনা করা হচ্ছে, এমপি হিসেবে যদি তিনি মনোনয়ন না পান তাহলে তাকে প্রধান করা হতে পারে মহানগর উত্তর বিএনপির।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দলের অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেন, ঢাকা মহানগর উপর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান ও তারই ভাগিনা মহানগরের যুগ্ম আহবায়ক আফাজ উদ্দিন। আফাজ উদ্দিন নিজের মনোনয়নের কথা না বললেও নেতাকর্মীরা তাকে এমপি চাই বলে প্রচার করছেন। তাদের দুইজনের বিরুদ্ধেই সংগঠন ব্যবহার করে মনোনয়নসহ সর্বক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ আছে। যা দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা পছন্দ করছেন না। তাদের বিরুদ্ধে আরো জোরালো অভিযোগ হচ্ছে, দলের নতুন আগন্তুক এবং অপকর্মে জড়িতদের নিয়ে তারা দলভারি করছেন। এতে বেশ ক্ষুব্ধ ত্যাগিরা। তাই দলের পদধারী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
ঢাকা – ১৮ আসনে বিএনপি থেকে আরো মনোনয়ন চান শিল্পপতি এম কফিল উদ্দিন। উত্তরার বনেদী পরিবারের জন্ম নেওয়া কফিল উদ্দিনের পারবারিক প্রভাবের কারনে তিনি একজন শক্তিশালী প্রার্থী। দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে শক্তিশালী অবস্থান থাকায় বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন তিনিও।