গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বন্ধ হলেই গণতন্ত্র রুদ্ধ হয় – ডক্টর ইমরান আনসারী

 

মুহা.শরীফ সুমন।।

“গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বন্ধ হলেই গণতন্ত্র রুদ্ধ হয়”—এমন মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক ড. ইমরান আনসারী।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) কুমিল্লার বুড়িচং প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ড. আনসারী বলেন, “গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এটি অবাধ ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে রাষ্ট্রের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গণতান্ত্রিক চর্চা মুখ থুবড়ে পড়ে।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে যখন বিশ্বজুড়ে গুজব, অপপ্রচার এবং মিথ্যা তথ্যের বিস্তার ঘটছে, তখন সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো একটি স্বাধীন গণমাধ্যমই হতে পারে একমাত্র শক্তিশালী অস্ত্র। কিন্তু সরকার বা ক্ষমতাসীন মহল যদি সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করে, তাহলে গণতন্ত্র ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং একসময় তা বিলুপ্তির পথে যায়।”

উল্লেখ্য, ড. ইমরান আনসারী দীর্ঘ ১৩ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেছেন এবং সেখানে ফ্যাসিবাদ ও দমনমূলক সরকারের চরিত্র নিয়ে একাধিক প্রবন্ধ ও গ্রন্থ রচনা করেছেন। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে আবারও সরব হচ্ছেন গণতন্ত্র ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পক্ষে কাজ করছে।

বুড়িচং প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী খোরশেদ আলম এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক বাবুর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মোঃ কামাল হোসেন  বুড়িচং প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা আবু মুসা, সাবেক সভাপতি মো. মোসলেহ উদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মারুফ আহমেদ কল্প, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, প্রচার সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম সুমন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ সাফি, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ, আপ্যায়ন ও ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ ফয়েজ,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ রকিবুল হাসান, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আলমগীর হোসেন বাচ্চু মোল্লা, সদস্য জামাল উদ্দিন দুলাল, হাসিবুল ইসলাম সবুজ, মোঃ তাজুল ইসলাম ও আশিক ইরান।

ছাত্রলীগ নেতা সন্ত্রাসী সুমনের প্রত্যাবর্তনে লালমাইয়ে আতঙ্ক

 

স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লার লালমাই থানার লালসাই বাজার এলাকায় আব্দুল হালিমের ছেলে এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক সন্ত্রাসী মো. সুমন ওমান থেকে দেশে ফিরেছেন। তার আগমনকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

মো. সুমন একসময় এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল ও প্রতিপক্ষকে হুমকি দেওয়ার মতো অপরাধে যুক্ত ছিলেন। এসব কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি পরিচিতি পেয়েছিলেন একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী হিসেবে। আরো অভিযোগ রযেছে প্রেমের সম্পর্ক করে মেয়েদের জীবন নস্ট করা, মাধ্যমিক স্কুলের গন্ডি না পেরেলেও পরিচয় দেয় বাগমাড়া স্কুল থেকে এসএসপি পাশ করে বড় ডিগ্রি নিয়েছেন। বৃস্টি নামের এক মেযে ঢাকার তিনি বলেন তার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে তার কাজ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন অনেক কিছু দেশে আসার পর তার ২৫ নভেম্বর দেখা করলেও বিয়ে করতে রাজি নয় তাই বুস্টি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ন।

স্থানীয়দের মতে, সুমন ফের তার পুরোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে পারে। তার উপস্থিতিতে এলাকায় সহিংসতা বা অন্যান্য অঘটন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া লালমাইয়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও সুমনের উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত। তারা আশঙ্কা করছেন, সুমনের প্রভাব এলাকায় শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত করতে পারে।
আরো জানা যায় ঢাকার উত্তরা,বিমানবন্দর সহ রাজধানীর একাধিক থানায় তার নামে মামলা হয়েছে দেশে ছাত্র হত্যাকারীদের পিছনে অর্থ সহায়তা করার কারনে।

এলাকাবাসী সুমনের গতিবিধি নিবিড় পর্যবেক্ষণ এবং দ্রুত আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলেছেন। তারা চান, যে কোনো ধরনের অঘটন ঘটার আগেই প্রশাসন সক্রিয় হোক। তবে এলাকাবাসী বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে স্থানীয় প্রশাসনের নজরে যায়, কিন্তু তারা এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

স্থানীয়রা সুমনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, লালসাই বাজারে সুমনের ফিরে আসা এলাকাবাসীর জন্য বড় এক শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম