জামায়াত নেতা হত্যার অভিযোগের আসামি জহির গ্রেফ্তার

জামায়াত নেতা হত্যার অভিযোগের আসামি জহির গ্রেফ্তার

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জামায়াত নেতা কাউছার আহম্মদকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগের মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি মো. জহিরকে (৪২) গ্রেফ্তার করেছে র‍্যাব।বুধবার (৯ জুলাই) রাতে র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে দুপুরে তাকে ঢাকার লালবাগ থানার বিজিবি মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত জহির লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার রাজিবপুর এলাকার মনসুর আহমেদের ছেলে। তিনি মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে নিহত কাউছারদের বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে গত ৫ জুন দুপুরে রাজিবপুর এলকায় বাদীর বাড়ির সামনে অভিযুক্ত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কাউসারের ভাই আফতাব হোসেন আরজুর ওপর হামলা করে। এসময় তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করা হয়। ঘটনাটি দেখে কাউছার তার ভাইকে বাঁচাতে যায়। তখন তার মাথার পেছনে লোহার রড দিয়ে কয়েকটি আঘাত করা হয়। এরপর মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে এলোপাতাড়ি পেটানো হয়েছে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের সামনে তাদেরকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এতে ভয়ে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে আসে। পরে সন্ধ্যায় কাউছারের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ৮ জুন নিহতের স্ত্রী শিল্পি আক্তার বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, জহির মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১০ জুন কাউছার হত্যা মামলায় ৮ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি বাবুলকে (৫০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিহত কাউসার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের ওলামা বিভাগের সভাপতি ছিলেন।

রুকু হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার:

রুকু হত্যা মামলার আসামি কুদ্দুস ফকিরকে(৫২) গ্রেফতার করেছে নড়াগাতী থানা পুলিশ।
দীর্ঘদিনের পারিবারিক শত্রুতা এই হত্যার কারণ বলে যানাযায়। ঘটনার দিন কথা-কাটাকাটির একফাঁকে কুদ্দুস ফকির শাবল দিয়ে আঘাত করে রুকু শেখকে। হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান রুকু শেখ। সেই থেকে আসামি কুদ্দুস ফকির (৫২) পালক। মোসাঃ মনোয়ারা বেগম(৪৫) বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলা নং-০২/২০২১।
বর্তমান নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চৌকস মেধাবী সুকান্ত সাহা গোপালগঞ্জ ভাটিয়াপাড়া থেকে আসামি কুদ্দুস ফকিরকে(৫২) গ্রেফতার করে নড়াইল জেলে প্রেরণ করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম