
ডেস্ক রিপোর্ট:
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আলোচিত ‘কব্জিকাটা গ্রুপে’র সহযোগী সন্ত্রাসী ‘আয়েশা গ্রুপে’র প্রধানসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তাররা হলেন আয়েশা গ্রুপের প্রধান মো. আসাদ ওরফে আরশাদ প্রকাশ ওরফে আয়েশা (৩৫) ও তার সহযোগী ইউসুফ (৪০)।
রোববার (১৩ জুলাই) ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন ভাকুর্তা এলাকা থেকে তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬টি সামুরাই জব্দ করা হয়।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র্যাব-২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খালিদুল হক হাওলাদার।
মো. খালিদুল হক হাওলাদার জানান, আসাদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকায় সে ও তার সহযোগীরা মাদক কারবারি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ভূমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এরইমধ্যে রাজধানীর আদাবর এলাকায় মো. আসাদ ও তার সহযোগীদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করতে দেখা যায়। এ সংক্রান্ত একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
পরে গত ২৯ জুন আদাবর থানা এলাকায় মাদক কারবারকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাদক কারবারি রাজুকে আয়েশা ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ জুন আদাবর থানায় আয়েশা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অতিরিক্ত ডিআইজি জানান, আসাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর আদাবর থানায় হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির প্রস্তুতিসহ ৭টি মামলা রয়েছে। সে জন্ম থেকে আদাবর এলাকায় বসবাস করে। ছোটবেলা থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। পরে মোহাম্মদপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার আনোয়ার ওরফে কব্জিকাটা আনোয়ারের হাত ধরে ৫-৬ বছর ধরে এ কাজে আসে এবং আনোয়ারের অন্যতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত হয়। সে ও তার সহযোগীরা কব্জিকাটা আনোয়ারের নির্দেশে মোহাম্মদপুর, আদাবর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, ভূমি দখল, চুরি-ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করত।
তিনি আরও জানান, তারা সাধারণত দিনের বেলায় ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন এলাকায় কম জনসমাগমপূর্ণ স্থানে পথচারীদের জিম্মি করে নগদ অর্থ, মোবাইল, ল্যাপটপ, ভ্যানিটি ব্যাগ ইত্যাদি মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে এবং রাত গভীর হলেই বাসা বাড়ি, ফ্লাটে ও গাড়ি থামিয়ে অস্ত্রের মুখে সর্বস্ব লুটে নেয়।