ত্বকচর্চায় ঘরেই বানান কোরিয়ান ফেসপ্যাক

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

নতুন নতুন সব স্কিন ট্রেন্ড তৈরিতে কোরিয়ানদের জুড়ি নেই। তবে বাজারচলতি কোরিয়ান স্কিন কেয়ার যেমন দামি তেমনি পণ্যে থাকা নানা রাসায়নিক ত্বকের ক্ষতিও করতে পারে।

তাই অনেকেই এখন ঘরোয়া উপায়ে কোরিয়ান স্টাইলে তাদের মতো গ্লাস স্কিন পেতে আগ্রহী। জেনে অবাক হবেন দুটি সাধারণ উপাদান দিয়েই ঘরেই তৈরি করতে পারেন কার্যকর একটি কোরিয়ান ফেসপ্যাক, যা ত্বককে করে তুলবে উজ্জ্বল, মসৃণ ও তরতাজা।

ফেসপ্যাক তৈরির উপকরণ

চালের গুঁড়ো ২ চা চামচ
অ্যালোভেরা জেল

কীভাবে বানাবেন?

প্রথমে অ্যালোভেরা পাতার কেটে জেল সংগ্রহ করুন (যদি তাজা ব্যবহার করেন, নাহলে দোকান থেকে কিনেও ব্যবহার করতে পারেন)। এবার একটি পরিষ্কার পাত্রে অ্যালোভেরা জেল ও চালের গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। যতক্ষণ না এই মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশে যাচ্ছে ততক্ষণ ব্লেন্ড করুন। চাইলে ফ্রিজে রেখে কয়েক মিনিট ঠান্ডা করে নিতে পারেন, এতে ত্বকে আরও সতেজতা অনুভব হবে।

ব্যবহার পদ্ধতি

এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করার আগে মুখ ও ঘাড় পরিষ্কার করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এবার তৈরি করা ফেসপ্যাকটি মুখ ও ঘাড়ে সমানভাবে মেখে নিন। ১৫ মিনিট রেখে দিন যাতে প্যাকটি শুকিয়ে যায়। এরপর সামান্য পানি দিয়ে হালকা হাতে মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। মুখ মুছে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে নিয়ম করে অন্তত ২-৩ দিন এই ফেসপ্যাক ব্যাবহার করুন উজ্জ্বল ত্বক।

এই ফেসপ্যাকের উপকারিতা কী?

এই ঘরোয়া ফেসপ্যাক ত্বকের মৃত কোষ দূর করে। চালের গুঁড়ো ত্বক স্ক্রাব করে এক্সফোলিয়েশনে সাহায্য করে।

অ্যালোভেরা জেল ত্বকে আর্দ্রতা যোগায় এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। ত্বককে মসৃণও করে।

এছাড়া ত্বকের রোদে পোড়া ও কালচে ভাব কমায়, স্কিন টোন ব্রাইট করতে সহায়তা করে।

 

যেসব ভুলে বিস্ফোরণ হতে পারে ফ্রিজ!

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে যে যন্ত্রগুলো, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্রিজ। বাসায় ফ্রিজ থাকা মানে অনেক ধরনের উপকার পাওয়া। বিশেষ করে সবজি, ফলমূল ও খাবার অপচয় রোধ করতে ফ্রিজের কোনো বিকল্প নেই। তাই এখন প্রায় প্রতিটা বাসাতেই ফ্রিজ রয়েছে।

কিন্তু আপনি কি জানেন, এসির পাশাপাশি রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজও বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরতে পারে। বর্তমানে এসি, শর্ট সার্কিটসহ ফ্রিজ বিস্ফোরণের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। যা সংবাদ শিরোনামও হয়। রেফ্রিজারেটর বিস্ফোরণের পেছনে অনেক কারণ রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ হল কম্প্রেসার। ফ্রিজের কম্প্রেসার ঠিকভাবে কাজ করতে না পারলে হঠাৎ আগুন ধরে যেতে পারে ফ্রিজে।

কম্প্রেসার ছাড়াও যেসব ভুলে ফ্রিজে বিস্ফোরণ হতে পারে চলুন সেগুলো জেনে নিই….

১. ভুলভাবে ব্যবহার

ফ্রিজ যদি নতুন হয় তাহলে খুব বেশি ঝুঁকি থাকে না, কিন্তু আপনি যদি ১০-১৫ বছরের পুরোনো ফ্রিজ ব্যবহার করেন তাহলে এ ধরনের বিস্ফোরণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কখনও কখনও যদি রেফ্রিজারেটরটি ভুলভাবে ব্যবহার করা হয়, তাতে আগুন লাগতে পারতে বা বিস্ফোরণ হতে পারে। ফ্রিজ ব্যবহারের সময় কিছু ভুল এড়িয়ে চলা উচিত, এতে বিস্ফোরণ এড়ানো যায়।

২. পুরোনো ফ্রিজ

ফ্রিজে অগ্নিকাণ্ড ও ফেটে যাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। আবার কেউ কেউ অসাবধানতাবশত ফ্রিজ ব্যবহার করেন। ফ্রিজটি প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকার কারণে অনেক সময় প্রচণ্ড গরমও হয়ে যায়। ফলে ফ্রিজ পুরনো হলে কম্প্রেসারের ওপর চাপ পড়ে এবং তা পুড়ে বা ফেটে যেতে পারে এবং বিস্ফোরণ হতে পারে।

৩. অতিরিক্ত খাবার রাখা

কেউ কেউ ফ্রিজে অতিরিক্ত জিনিসপত্র রাখে, ফলে বাতাস সর্বত্র সঞ্চালিত না হয়। এর ফলে ফ্রিজও গরম হয় এবং জিনিসপত্র নষ্ট করতে পারে। ফ্রিজে বেশি জিনিস থাকলে বিস্ফোরণ হতে পারে। কারণ তখন তাকে ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি কাজ করতে হয়। লোডিংয়ের কারণে বিদ্যুৎ বিলও বেশি হয়। বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে গেলে শর্ট সার্কিটও হতে পারে।

৪. নিম্নমানের সকেট, প্লাগ ব্যবহার

ফ্রিজে নিম্নমানের সকেট, প্লাগ ব্যবহারের কারণে শর্ট সার্কিটের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে ঘরে না থাকলে ঘরে থাকা ফ্রিজে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। কিছু কিছু এলাকায় ভোল্টেজের ওঠানামা খুব বেশি থাকে। এমন পরিস্থিতিতে অবশ্যই স্টেবিলাইজার ব্যবহার করতে হবে অন্যথায় ফ্রিজের কম্প্রেসার অতিরিক্ত গরম হয়ে ফেটে যেতে পারে।

৫. কয়েলের যত্ন না নেওয়া

ফ্রিজে ব্যবহৃত কুলিং গ্যাস (রেফ্রিজারেন্ট) লিক হয়ে গেলে তা খুবই বিপদজনক, কারণ গ্যাস যদি স্পার্ক বা আগুনের শিখা স্পর্শ করে তাহলে ফ্রিজ বিস্ফোরিত হতে বাধ্য। কিছু মানুষ ফ্রিজের ভেতরে ভিজিয়ে দেয়। এতে অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষতি হতে পারে, যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

৬. অপরিষ্কার ফ্রিজ

ফ্রিজে শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখুন। ফ্রিজ সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রতি ছয় মাস অন্তর সার্ভিসিং করান। সঠিক বায়ু চলাচলের জন্য ফ্রিজের পেছনে পর্যাপ্ত জায়গা থাকা উচিত। অপরিষ্কার ফ্রিজে দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৭. ভোল্টেজের ওঠানামা

মানের প্লাগ এবং তার কিনুন। ফ্রিজ অনেক পুরাতন হয়ে গেলে, যদি ভোল্টেজের ওঠানামা বেশি হয় তবে স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করুন।

৮. ফ্রিজে স্পার্ক-গন্ধ

আপনার ফ্রিজ থেকে কোনো স্পার্ক, গন্ধ, ধোঁয়া বা অদ্ভুত শব্দ বের হয়। তাহলে অবিলম্বে একজন বৈদ্যুতিক মিস্ত্রিকে কল করুন এবং এটি পরীক্ষা করুন। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে, আপনি যে কোনো বড় দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে পারেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম