তারিখ লোড হচ্ছে...

আপন নিবাস হোটেল মালিক জাবেদকাণ্ড: নারীদের ভয় কি হয় কি হয়!

 

রায়হান হোসাইন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ-

অবলা নারীদের ফাঁদে ফেলে রমরমা হোটেল ব্যবসা চলছে জাবেদের। আপন নিবাস হোটেল ছাড়াও তার হাতে রয়েছে আরও পাঁচটি হোটেল। সেখানে খদ্দেরের চাহিদা অনুযায়ী নারীদের যোগান দেন। যদিও এ ব্যবসায় পা ফেলে মানবপাচার মামলা কাঁধে নিয়েও দিব্বি অবলা অবিবাহিত নারীদের ফাঁদে ফেলে প্রকাশ্যে চালাচ্ছেন তার হোটেল ব্যবসা।

এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে সংবাদও প্রচারিত হয়েছে। তবে ঘটনা জানাজানির পর দুইদিন থেকে তিন দিন ব্যবসা বন্ধ থাকলেও আবার ‘যে লাউ সে কদু’। অপরদিকে সংবাদ প্রচারের পর খোঁজ নিয়ে জাবেদ ওই সংবাদকর্মীকে কনভ্যান্স করতে মরিয়া হয়ে উঠেন। অফার করেন মোটা অংকের টাকাও।

হোটেল সূত্র জানিয়েছে, নারীদের ফাঁদে ফেলে বাগে আনতে জাবেদের রয়েছে একাধিক লোক ( দালাল)। তারা কেউ দৈনিক বেতনধারী আবার কেউ মাসিক। মূলত ফয়সলেকে ঘুরতে আসা নারীদের রূপকথার গল্পকাহিনী শুনিয়ে প্রেমের ছলনা করে ফোন নাম্বার কালেকশন করে। ধীরে ধীরে যোগাযোগ বাড়িয়ে পরিচয় গোপন রেখে তাদেরই নিদিষ্ট হোটেলে নিয়ে শারীরীক সম্পর্ক শুরু করে। এসময় রুমে ওপেন রাখা হয় গোপন ভিডিও। পর্যায়ক্রমে ওই ভিডি হাত ঘুরে হোটেল মালিকের হাতে পৌঁছে যায়। এরপর খদ্দেরের চাহিদা মতন তাদেরকে হোটেলে আসতে ফোন করা হয়। প্রথমে আসতে রাজি না হলেও হোয়াটসআপে ভিডিও ক্লীপ পাঠিয়ে নেট দুনিয়ায় ভাইরালের হুমকি দেওয়ার পর রাজী হয়ে যায় নারীরা। ক্রমান্বয়ে হোটেল ব্যবসায় তাদের পথচলা শুরু হয়। এতে হোটেল মালিক ও দালালরা লাভবান হলেও লোকসানে থাকে ওই ধরনের নারীরা। তাদের শুধু মনে ভয়, ভিডিও ক্লীপ নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হলে কি হয় কি হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অত্র এলাকায় দেহ ব্যবসার নাটের গুরু জাবেদ। থানা পুলিশ-স্থানীয়দে মাসোয়ারা দিয়ে ব্যবসা চালান তিনি। জাবেদের বিরুদ্ধে মানবপাচারকারী অভিযোগে খুলশী থানায় ২০২১ সালে দুটি ও চলতি বছর একটি মামলা রয়েছে। এরপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করার ফলে বহাল তবিয়্যতে চলছে তার ব্যবসা।

এদিকে জাবেদের এই হোটেল ব্যবসার সংবাদ প্রচারের পর সংবাদকর্মীদের লোভনীয় অফার দিয়ে বিকাশ মারফতে যে নাম্বার থেকে টাকা পাঠানো হয়, সেটি এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। ফোন নাম্বার নিয়ে ওই নম্বর থেকে টাকা পাঠায় আরেকজন। বিকাশের ওই নাম্বারে ফোন করলে জানা যায়, জাবেদ ভাইয়ে ফোন নাম্বারটি দিয়েছেন টাকা পাঠানোর জন্য।

কিসের টাকা বিকাশে পাঠান, জানতে চাইলে আপন নিবাস হোটেল মালিক জাবেদ বলেন, না তেমন কিছুনা, সামান্য খরচের টাকা। নারীদের ফাঁদে ফেলে ব্যবসা করানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলো সব মিথ্যা।

মৃতপ্রায় অসুস্থ বৃদ্ধাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন গোসাইরহাটের ইউএনও

বিশেষ প্রতিনিধি, শরীয়তপুর।
মানবিকতার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করলেন গোসাইরহাটের ইউএনও কাফী বিন কবির। রাস্তায় পড়ে থাকা এক অজ্ঞাত বৃদ্ধা উদ্ধার করে নিজ দায়িত্বে নিয়ে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন পরে নিজে গাড়ি ভাড়া করে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

গতশুক্রবার গোসাইরহাট উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের জুসিরগাও এলাকায় মাথায় ক্ষত নিয়ে এক বৃদ্ধা রাস্তায় অবেহেলায় পড়ে আছে বলে খবর পায় গোসাইরহাট থানা। এসআই তানভির এই খবর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাফী বিন কবিরকে জানালে তিনি সাথে সেখানে গিয়ে অসুস্থ বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে গাড়িতে করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মো: হাফিজুর রহমান তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। বৃদ্ধার কথাবার্তা অগোছালো। নিজের পরিচয় সম্পর্কে কিছু বলতে পারছেন না।
ডা: হাফিজুর রহমান বলেন, অসুস্থ বৃদ্ধার মাথার খুলির অর্ধেক ইনফেকশন হয়ে পঁচে গেছে এবং এখানে ম্যাগট নামক পোকায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ক্ষতস্থানে ড্রেসিং দিয়ে দিয়েছি। উনার উন্নত চিকিৎসা দরকার। আমরা রেফার করে দিয়েছি। ইউএনও মহোদয় এগিয়ে এসেছেন বলে হয়তো বৃদ্ধা বেঁচে যাবেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মো: মাসুম আলম বলেন, আমরা দেখি বৃদ্ধাকে কুকুরে আক্রমণ করেছে। আমরা তাকে রক্ষার জন্য থানা ও ইউএনও স্যারকে জানাই। স্যার তাৎক্ষণিক এসে উনার চিকিৎসক ব্যবস্থা করেন। ইউএনও স্যার মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব কাফী বিন কবির বলেন, আমি ঘটনাটি জানার সাথে সাথে নিজে গিয়ে বৃদ্ধার চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়েছি।উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে আমার বন্ধুর পরিচালিত মানবিক সংস্থায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। এখানে মানুষ হিসেবে একজন মানুষের সাথে যা করা দরকার তাই করেছি। বরং আরো কিছু করতে পারলে চালো লাগতো।

বর্তমানে বৃদ্ধাকে নতুন কাপড়, খাবার ও ঔষধ দিয়ে একজন সেচ্ছাসেবক দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলের উদ্দ্যশে পাঠানো হয়েছে। আশাকরা যায় শীগ্রই তিনি সুস্থ হয়ে তার পরিবারের কাছে ফিরে যাবেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম