৫০ কোটির বিনিময়ে পদ ঠেকাতে শামীম আখতার মরিয়া হওয়ার গুঞ্জন :

স্টাফ রিপোর্টারঃ
পোস্টিং বাণিজ্য , বিএনপি পন্থী প্রকৌশলীদের লোভনীয় পোস্টিং, সীমাহীন অদক্ষতা, মুরিদ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়া , নিজস্ব মুরিদ ঠিকাদারদের অনৈতিক সুবিধা দেয়া এবং বিএনপিকে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা সহ নানাবিধ বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলীকে নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদের কারণে নিজের পদ ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন শামীম আখতার | অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা এবং ঠিকাদার জানিয়েছেন , শামীম আখতার তার নিজস্ব মুরিদ সিন্ডিকেট এবং বিএনপি ঘরানার তার ঘনিষ্ঠ প্রকৌশলীদের মাধ্যমে পোস্টিং বাণিজ্য ও কাজ বন্টনের মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করার মিশনে নেমেছেন | সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে পদ ঠেকিয়ে রাখতে তিনি মরিয়া হয়ে উঠেছেন | এজন্য রীতিমতো লবিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে মর্মে গণপূর্তে চাউর জারি আছে | HBRI এর মহাপরিচালক থাকাকালে তিনি কিংডম বিল্ডার্সকে কাজ না করিয়ে অনৈতিক ভাবে সব বিল পরিশোধ করেছেন , এমনকি কোন কাজ না হলেও অতিরিক্ত টাকা দিয়েছেন চুক্তির বাইরে | অথচ , প্রতিটি প্রকল্পই জন্ম থেকেই মৃত | উক্ত কাজের জন্য দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম তদন্ত করে সত্যতা পায় | দুদক থেকে বাঁচতে প্রধান প্রকৌশলীর পদ ধরে রাখতে নানামুখী তদবির অব্যাহত রেখেছেন শামীম আখতার | পদ চলে গেলে দুদকের মামলায় নিশ্চিত জেল হবে বিধায় তিনি যত টাকা লাগে তত টাকা দিয়ে পদ ধরে রাখতে চান | গণপূর্তে এটি এখন ওপেন সিক্রেট যে প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার ৫০ কোটি টাকা নিয়ে মাঠে নামছেন তার পদ বাঁচাতে | এ কাজে সহযোগিতা করছেন তার স্টাফ অফিসার সহ বিএনপিপন্থি প্রকৌশলী ও মুরিদ ঠিকাদারগণ |

গণপূর্তের ইএম কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইউসুফের ভুয়া বিল ও কমিশন বাণিজ্য

স্টাফ রিপোর্টার:
গণপূর্তের ইএম কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউসুফের বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্য, ভুয়া বিল, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কাজ ভাগাভাগি করে অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। প্রকৌশলী ইউসুফ আওয়ামী বিরোধী বিএনপি-জামায়াতপন্থি প্রকৌশলীদের ঠিকাদারদের মাধ্যমে সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। এসব সিন্ডিকেটের অন্যতম প্রকৌশলী ইউসুফ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তিনি কমিশন ছাড়া কাজ করেন না এবং নিজেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখেন।

ইউসুফের বিরুদ্ধে কাজ না করেই অনেক প্রকল্প থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি বেশির ভাগ টাকা নিয়েছেন এবং বাকিটা সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে ভাগাভাগি করেছেন বলে জানা গেছে। ইতঃপূর্বে ইউসুফের বিরুদ্ধে একজন ঠিকাদার পাওনা আদায়ে থানায় অভিযোগ দাখিল করেছিল। তারপর তড়িঘড়ি করে ওই ঠিকাদারের বিল পরিশোধ করেছিল বলে জানা গেছে। অভিযোগ আছে, ওই ঠিকাদারকে থানার অভিযোগ উঠিয়ে নিতে বাধ্য করেন ইউসুফ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঠিকাদার বলেন, মোঃ ইউসুফ মূলত নিজস্ব সিন্ডিকেটের ঠিকাদারদের দিয়ে কাজ করিয়ে থাকেন, ফলে কাজ না করে বা কাজ বেশি দেখিয়ে বিল উঠালেও প্রমাণ গায়েব করতে সহজ হয়।

ঠিকাদার বিহারী কাওসার এবং নাজমা এন্টারপ্রাইজ এর সাথে ইউসুফের সখ্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, আগারগাঁও এ সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্পে একজন ঠিকাদারের নিকট থেকে বাধ্যতামূলক ভাবে বিল আটকিয়ে ৩৫ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করেছে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউসুফ।

জানা যায়, বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর শামিম আক্তারের অত্যন্ত আস্থাভাজন মো. ইউসুফ। তার তৈরি করা সিন্ডিকেট গণপূর্ত অধিদপ্তরে এতটাই ক্ষমতাধর হয়ে উঠেছে যে তাহারা ধরাকে সরাজ্ঞান করেছে। নিয়োগ, বদলি ও পদায়ন এসবের নেপথ্য ভূমিকা রাখে এই সিন্ডিকেট। শত শত কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে এরা সাপণ্ডলুডু খেলছে। কমিশনের বিনিময় সিন্ডিকেটের ঠিকাদারদের কাজ দিতে তৎপর এসব সিন্ডিকেট।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে, একাধিক বার ফোন করলেও প্রকৌশলী মো. ইউসুফ ফোন রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপ ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তার উত্তর দেননি।

গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী শামিম আক্তার এই প্রতিবেদককে বলেন, কেউ দুর্নীতি করলে তা সমর্থনযোগ্য নয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রকৌশলী ইউসুফ অফিসে বসেন না বা কারো ফোন ধরেন না এই প্রশ্নের জবাবে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, অবশ্যই অফিসে বসা উচিত এবং আত্মপক্ষের সমর্থন হিসেবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেয়া সবারই দায়িত্ব।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম