
ডেস্ক রিপোর্ট:
উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর। বিধ্বস্তের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৬০ জনের মতো দগ্ধ হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজে নিযুক্ত বিভিন্ন বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবক ও গণমাধ্যমের কর্মী ছাড়াও অসংখ্য মানুষ ভিড় করছেন। এই দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত অনেকেরই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে টেলিভিশন ও ডিজিটাল গণমাধ্যমও সরাসরি সম্প্রচার করছে।
মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে সংঘটিত মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আক্রান্ত ও আহত স্কুলগামী শিশুদের রক্তাক্ত ছবি-ভিডিও দেখে বেদনায় মূষড়ে পড়েছেন অনেকেই। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল এসব বীভৎস দৃশ্য অনেকের জন্যই অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিশুদের রক্তাক্ত দেহ, কান্না আর চিৎকার দুর্বল হৃদয়ের মানুষের জন্য বড় ধরণের ঝুঁকি তৈরি করছে। সেই সঙ্গে তা এই ঘটনায় হতাহতদের গোপনীয়তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও মত সংশ্লিষ্টদের।
এ বিষয়েই সংবাদকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার তামিম ইকবাল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তামিম লিখেছেন, যা হয়েছে ও হচ্ছে সবকিছুই প্রচণ্ড বেদনাদায়ক। আমাদের হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে, আমরা বিধ্বস্ত। আপাতত সংবাদকর্মীদের প্রতি অনুরোধ, বিশেষ করে টিভি ও ডিজিটাল মিডিয়ার কাছে অনুরোধ, আ*ক্রা*ন্ত বাচ্চাদের র*ক্তা*ক্ত ও আ*হ*ত অবস্থার এসব ছবি-ভিডিও লাইভ দেখাবেন না। দেখালেও অন্তত ঝাপসা করে দেবেন দয়া করে। ওরা আমাদের বাচ্চা। ওদের জন্য আমাদের সবটুকু প্রার্থনা।
আজ সোমবার দুপুরে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজেআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। দগ্ধ অন্তত ২০০ জন। শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীসহ আহতদের স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে ঢাকার আকাশ-বাতাস। দুর্ঘটনার ভিডিও তাৎক্ষণিকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। যে ভিডিওগুলোতে অনেকেরই রক্তাক্ত-পোড়া দেহ দেখা যাচ্ছে।
এ ঘটনায় শোকস্তব্ধ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। ঘটনার পরপরই মাইলস্টোন কলেজে হতাহতদের জন্য দোয়া চেয়ে একটি পোস্ট করেন তিনি। পরক্ষণেই আরেক পোস্টে সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে অনুরোধ জানান, যেন বাচ্চাদের রক্তাক্ত ছবি-ভিডিও লাইভে না দেখানো হয়। তামিম তার পোস্টে লিখেছেন যা হয়েছে ও হচ্ছে, সবকিছুই প্রচণ্ড বেদনাদায়ক। আমাদের হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে, আমরা বিধ্বস্ত। আপাতত সংবাদকর্মীদের প্রতি অনুরোধ, বিশেষ করে টিভি ও ডিজিটাল মিডিয়ার কাছে অনুরোধ, আক্রান্ত বাচ্চাদের রক্তাক্ত ও আহত অবস্থার এসব ছবি-ভিডিও লাইভ দেখাবেন না। দেখালেও অন্তত ঝাপসা করে দেবেন দয়া করে।
ওরা আমাদের বাচ্চা। ওদের জন্য আমাদের সবটুকু প্রার্থনা।