দুদকের তদন্ত শুরু ঃ ফেঁসে যাচ্ছেন গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার!

বিশেষ প্রতিবেদকঃ
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতারের পুর্ব কর্মস্থলের যাবতীয় অনিয়ম -দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সংক্রান্তে গত ৬ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক আফরোজা হক খান পত্র নং ৭৯০ এর মাধ্যমে এইচবিআরআই এর বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন ও জেনারেটর বসানো,অটোমেটিক ব্লক মেকিং প্লান্ট এবং নিরাপত্তা কর্মীর বেতন সংক্রাংন্ত অনিয়মের বিভাগীয় প্রতিবেদন পর্যালোচনা করার জন্য বিভাগীয় তদন্তের ছায়ালিপি সরবরাহের জন্য মহাপরিচালক হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনষ্টিটিউটকে অনুরোধ করেন। দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের স¥ারক নং ০০.০১.০০০০.১০৯.২৮.০০১.২২.১৬৬৪ তাং ০৩/১১/২০২২ ইং মোতাবেক এই পত্র ইস্যু করা হয়।
দুদকের সহকারি পরিচালকের উক্ত পত্রের আলোকে হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনষ্টিটিউট এর স্মারক নং ২৫.৪৪.২৬০০.০০.০০০০.১০.০৪৭.২২-৩৭০৪ মোতাবেক চাহিদামত তিনটি বিভাগীয় তদন্তের ছায়ালিপি দুদকে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতার হাউজিং বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক থাকাকালে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি করেন । এসময় তিনি কিংডম বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বিধি বহির্ভুতভাবে কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারী কাজ দিয়ে বিল প্রদান করে সরকারের আর্থিক অপচয় করেন এবং অনৈতিক উপায়ে নিজে লাভবান হন।
এ ছাড়া ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিসেস নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গার্ড,সিকিউরিটি সুপারভাইজার ও সিকিউরিটি ইনচার্জ পদে ১৭ মাস যাবৎ জনবল সেবা গ্রহন করে ৪৩ লক্ষ ৬০ হাজার পঞ্চাশ টাকা বকেয়া বিল প্রদান না করা ও তাদের কার্যাদেশ বাতিল করে বিধি বহির্ভুতভাবে পিপিআর ও আউটসোর্সিং নীতিমালা ভংগ করে নেটওয়ার্ক এলিমেন্টস অফ সিকিউরিটি এন্ড ট্রাষ্টকে কার্যাদেশ প্রদান করায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর শেখ আমিনুল হক লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। তার অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে তদন্ত করা হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। যার স্মারক নং ২৫.৪৪.২৬০০.০০.০০০০.০৪২.০৮.২১-৩৬৮৯ তারিখ ২৬/১০/২০২২ ইং। এর আগে এইচবিআরআই এ ঠিকাদারী কাজে অনিয়ম-দুর্নীতি সংক্রান্ত আরেকটি বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন (৩৭৩ পাতা) গণপুর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি। এমন কি দুদককে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ বা নির্দেশও দেয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে ক্ষতিগ্রস্থরা দুদক চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সর্বশেষ ৬৬৬ এ কল করে বিষয়টি তদন্তের দাবী জানান। তদপ্রেক্ষিতেই দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের স¥ারক নং ০০.০১.০০০০.১০৯.২৮.০০১.২২.১৬৬৪ তাং ০৩/১১/২০২২ ইং মোতাবেক বিষয়টি তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে দুদকের সহকারি পরিচালক আফরোজা হক খানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা কেবল প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম -দুর্নীতির তদন্ত করছি। তদন্ত প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
উপরোক্ত অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে কথা বললে নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণপূর্তের অনেক প্রকৌশলীই মন্তব্য করেন যে, স্যার এবার ফেঁসে যেতে পারেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতারের অফিসে ফোন করলে তার স্টাফ অফিসার বলেন,স্যার মন্ত্রণালয়ে মিটিং এ আছেন।

কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদে ২১ বছর পর ডাকাতি

স্টাফ রিপোর্টার:

কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদে দীর্ঘ ২১ বছর পর ডাকাতির ঘটনা ঘটল। শনিবার সকালে চিলমারী- রৌমারী উপজেলায় নদের মাঝপথে দুইশ বিঘা নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।

এদিন সকাল সাড়ে আট টার দিকে ১৮ জন যাত্রী নিয়ে রৌমারী থেকে রওনা দেয় একটি নৌকা। দুইশ বিঘা নামক নির্জন স্থানে পৌঁছালে নৌকায় ডাকাতরা হানা দেয়। এসময় যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থসহ প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় যাকাতরা।

জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা সেতুর পূর্বপাড়ে ফজলুল করীম (রহ.) জামিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে ৩ দিনব্যাপী ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সেই উপলক্ষে রৌমারীর চরমোনাই অনুসারীরা ইজতেমার উদ্দেশে রওয়ানা দেন।

দুইশ বিঘায় পৌঁছালে প্রায় ২০ থেকে ২২ জন মুখোশধারী ডাকাতদল নৌকায় অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা নৌকার যাত্রীদের মারধর করে মোবাইল ফোনগুলো নিয়ে পানিতে ফেলে দেয়। পরে সবার কাছে থাকা নগদ টাকা ও দামি জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়।

এ ঘটনায় নৌকায় থাকা বেশিরভাগ যাত্রী মারধরের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়। তবে নৌকাতে থাকা উপজেলার পুরারচর গ্রামের ময়েজ উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী কাছে থাকা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।

নৌকার মাঝি আবু তালেব বলেন, ‘আমরা রৌমারী থেকে ইজতেমার উদ্দেশে রওনা দেই। হঠাৎ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ২২ জনের মতো ডাকাতের দল এসে আমাদের ভয়ভীতি দেখায় ও মারধর করে। ভয়ে যা বলছে তাই শুনতে বাধ্য হয়েছি। ২০০২-২০০৩ সালের পর প্রথম ডাকাতির ঘটনা ঘটল বলে জানান তিনি।

ব্যবসায়ী ময়েজ উদ্দিন জানান, একদল ডাকাত নৌকার কাছে এসে অতর্কিত হামলা চালায়। বলে যার কাছে যা আছে দিয়ে দাও ঝামেলা করলে নদীতে ফেলে দেব। পরে আমার কাছে থাকা এক লাখ ৮০হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন জীবনের ভয়ে দিয়ে দেই।

রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান জানান, ‘ডাকাতির ঘটনা শুনেছি। তবে ঘটনাটি আমার এরিয়ার মধ্যে নয়। তাই কিছু করা সম্ভব হয়নি।’

সবা:স:জু- ৪৭৬/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ৭ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ নতুন ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন