প্রয়াত সাংবাদিক নজির আহমেদের র মৃত্যুতে শোক সভা করেছে পূর্বাঞ্চল সাংবাদিক ইউনিটি

স্টাফ রিপোর্টারঃ

শুক্রবার ১১ নভেম্বর পূর্বাঞ্চল সাংবাদিক ইউনিটির উদ্যোগে রাজধানী যাত্রাবাড়ী এলাকার মাতুয়াইল আদর্শবাগ প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুল মিলনায়তনে এই শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পূর্বাঞ্চল সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি ওমর ফারুক জালাল। সঞ্চালনা করেন পূর্বাঞ্চল সাংবাদিক ইউনিটি সাধারণ সম্পাদক সোহরাওয়ার্দী। শোক সভায় বক্তব্য রাখেন, সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার সম্পাদক সৈয়দ মোঃ মোরশেদ, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আবু জাফর,রুরাল জার্নালিস্ট ফোরাম আর জে এফ এর সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সাংবাদিক খোরশেদ আলম, দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদ মোঃ মাসুদ, দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আকাশ, সাংবাদিক হাসান, নাজমুল হাসান, বজলুর রহমান, এ আর হানিফ, ফাহাদ আহমেদ মিঠ, নজরুল ইসলাম সহ অনেকে।

প্রয়াত সাংবাদিক নজির আহমেদের স্মৃতি চারণ করে বক্তারা বলেন, সবাই তাকে চিনতেন, তার ভালো দিক সম্পর্কে জানতেন। সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে তিনি সব সময় আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন।বক্তারা আরো বলেন, অল্প আয়ে কিভাবে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তিনি জানতেন। নজির আহমেদের কাছে সবাই ছিলেন সমান, সাংবাদিকদের কথা তিনি খুব মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার বাশিতপুর গ্রামে। তিনি দৈনিক মুক্ত খবর, সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা, দৈনিক গণজাগরণ, দৈনিক খবর পত্রিকায় সুনামের সাথে কাজ করেছেন। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ( ডিইউজে) সদস্য, ঢাকা পূর্বাঞ্চল সাংবাদিক ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, রুরাল জার্নালিস্ট ফোরাম ( আরজেএফ)এর প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন,

গত২৫ অক্টোবর রাত ‌১১ টায় মুগদা জেনারেল হাসপাতালে সাংবাদিক নজির আহমেদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করলে রাষ্ট্র ও সরকারের স্থিতিশীলতা হুমকিতে পড়বে : বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার: দেশের চলমান পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারকে অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি সতর্ক করেছে যে, সরকার যদি উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা প্রদর্শন করতে না পারে, তবে রাষ্ট্র ও সরকারের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে।

বিএনপি তাদের এক বিবৃতিতে জানায়, এই পরিস্থিতিতে উগ্র নৈরাজ্যবাদী এবং গণতন্ত্রবিরোধী দেশি-বিদেশি অপশক্তির পাশাপাশি পরাজিত ফ্যাসিস্টদের পুনরুত্থানের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে, যা ইতোমধ্যে কিছুটা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।

বিএনপি নেতৃবৃন্দের দাবি, দেশ এক অস্থির পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে সরকারের কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না। তারা বলেন, সরকার যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তবে পরিস্থিতি আরও ঘণীভূত হতে পারে।

দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বিতাড়িত পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের উসকানিমূলক আচরণ, জুলাই–আগস্টের রক্তক্ষয়ী ছাত্র গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে অশালীন এবং আপত্তিকর বক্তব্য মন্তব্য দেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং ক্রোধের জন্ম দিয়েছে। এরই ফলশ্রুতিতে বুধবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত স্বৈরাচারের স্মৃতি, মূর্তি, স্থাপনা ও নামফলকসমূহ ভেঙ্গে ফেলার মতো জনস্পৃহা দৃশ্যমান হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করে বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গত ৬ মাসেও পলাতক স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদের আইনের আওতায় আনতে যথেষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ জনসম্মুখে দৃশ্যমান করতে সফল হয়নি বলে জনমনে প্রতিভাত হয়েছে, ফলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মতো বেআইনি কর্মকান্ডে উৎসাহিত হচ্ছে।

একটি সরকার বহাল থাকা অবস্থায় জনগণ এভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নিলে দেশে বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জনগণের প্রত্যাশা ছিল দেশে আইনের শাসন পুনপ্রতিষ্ঠিত হবে, যা বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ নানান ধরনের দাবিদাওয়া নিয়ে যখন-তখন সড়কে ‘মব কালচারের’ মাধ্যমে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করছে, যা সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে মুন্সিয়ানা দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে।

জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারগুলোকে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা প্রদান এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা ও পুনর্বাসন, পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা, পরাজিত ফ্যাসিস্টদের উসকানিমূলক তৎপরতা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মতো ‘জরুরি’ কাজগুলোতে দৃশ্যমান এবং উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই বলেও বর্ণনা করা হয় বিবৃতিতে।

পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন দায়িত্বে গণঅভ্যুত্থানবিরোধী সক্রিয় সদস্যরা এখনও কর্মরত বর্ণনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, এখনও প্রশাসনকে পতিত ফ্যাসিস্ট শাসকের দোসরমুক্ত করা হয়নি, বিচার বিভাগে কর্মরত ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনও বিদ্যমান, পুলিশ প্রশাসনে গণঅভ্যুত্থানবিরোধী সক্রিয় সদস্যরা এখনও কর্মরত। এমতাবস্থায় সরকার জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে সফলতা অর্জন করতে পারবে কি না, তা যথেষ্ট সন্দেহের উদ্রেক করে।

বিএনপির বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের নিত্যদিনের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করা জরুরি। দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী সকল শ্রেণিপেশার মানুষের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা গায়েবি মামলার কোনো সুরাহা এখনও হয়নি। গণতন্ত্রকামী জনগণ ফ্যাসিবাদী আমলের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় এখনও হয়রানির শিকার হচ্ছে, অথচ এ বিষয়ে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখেনি।

এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জুলাই ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে মানুষের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকারসহ ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাশিগগির সম্ভব একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। নির্বাচনমুখী জরুরি সংস্কার সাধন করে দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করাই বর্তমান সরকারের প্রধানতম ম্যান্ডেট। অথচ জনআকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেরাই এই অগ্রাধিকারকে প্রাধান্য না দিয়ে অন্যান্য বিষয়ে অধিক মনোযোগী বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম