শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল

ভিক্ষা লাগলে ভিক্ষা নে চাঁদাবাজি ছাইড়া দে শিবিরের স্লোগান

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা:

চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখা। বুধবার (২৩ জুলাই) নগরীর কাপাসগোলা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অলিখাঁ মসজিদের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সভাপতি তানজীর হোসেন জুয়েল। সঞ্চালনায় ছিলেন মহানগর উত্তর সেক্রেটারি মুমিনুল হক মুমিন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তানজীর হোসেন জুয়েল বলেন, বিগত সময়ে ফ্যাসিবাদীরা যে স্লোগান দিয়েছিল, গতকাল ছাত্রদল একই স্লোগান দিয়ে নব্য ফ্যাসিবাদের পরিচয় দিয়েছে। সারাদেশে চাঁদাবাজি করে ব্যবসায়ী ভাইদের বিরক্ত করে তুলেছে। ২১ তারিখে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় আমাদের ভাইদের ওপর দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, ছাত্রদলের ব্যানারে যারা জামায়াত-শিবির-রাজাকার এই মুহূর্তে ‘বাংলা ছাড়’ স্লোগান দিয়েছিল, তারাই আজ বাংলাদেশ ছেড়ে দিল্লি গিয়ে বসে আছে। এভাবে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের চেয়ে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, “জুলাই বিপ্লব শুধুমাত্র ৩৬ দিনের জুলুম-নির্যাতনের কারণে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়নি বরং বিগত সতেরো বছরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ছাত্রজনতা একটি সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ছাত্রদল নামক সংগঠন চাঁদাবাজিকে তাদের সৃজনশীল কাজে পরিণত করেছে। দুই দিন আগে চকবাজারে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালিয়ে আমাদের ভাইদের রক্তাক্ত করেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, তারা এই গুলি কোথায় পেয়েছে? শীঘ্রই সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।

তিনি আরও হুঁশিয়ার করে বলেন বীর চট্টলায় ইসলামী আন্দোলনের শিকড় অনেক গভীরে। ছাত্রশিবিরকে টার্গেট করলে তোমাদেরকে কঠিন পরিণতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ছাত্রশিবির নেতারা দাবি করেন, বীর চট্টলায় ইসলামী আন্দোলনের শিকড় অত্যন্ত গভীরে। কোনো ষড়যন্ত্র করে তাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক খুররম মুরাদ, অর্থ সম্পাদক গোলাম আজম, অফিস সম্পাদক আরফাত হোসেন ও প্রচার সম্পাদক সিরাজী মানিক প্রমুখ।

সমাবেশ চলাকালে নেতাকর্মীরা নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবার ভিক্ষা লাগলে ভিক্ষা নে চাঁদাবাজি ছাইড়া দে চাঁদাবাজের ঠিকানা বীর চট্টলায় হবে না আমার সোনার বাংলায় চাঁদাবাজের ঠাঁই নাই ইত্যাদি স্লোগানে মুখর করে তোলে পুরো এলাকা। ছাত্র-জনতা, ব্যবসায়ী ও দোকানিদের ঐক্যবদ্ধভাবে চাঁদাবাজি রুখে দেওয়ার আহ্বানের মাধ্যমে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

খাগড়াছড়ির একমাত্র জুলাই শহিদ মোঃ মজিদ হোসেনের কবরে জেলা প্রশাসকের শ্রদ্ধাঞ্জলি

খাগড়াছড়ির একমাত্র জুলাই শহিদ মোঃ মজিদ হোসেনের কবরে জেলা প্রশাসকের শ্রদ্ধাঞ্জলি

খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা:

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার আলোকে যথাযোগ্য মর্যাদা ও গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হলো খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ইতিহাসে অনন্য বীর শহিদ মোঃ মজিদ হোসেনকে,যিনি একমাত্র ‘জুলাই শহিদ’ হিসেবে খাগড়াছড়ি গর্ব।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট ) সকাল ০৯ ঘটিকায় রামগড় উপজেলার নাকাপা বাজারের পাশে পাতাছড়া বসুলপুর জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে এই বীর শহিদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ, পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, জেলা বিএনপি, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব, আনসার, এনসিপিপিসহ সর্বস্তরের মানুষ।

সকাল থেকেই স্থানীয় এলাকাবাসী, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কবরস্থানটি এক আবেগঘন পরিবেশে পরিণত হয়। সকলেই কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেন শহিদ মজিদ হোসেনের আত্মত্যাগ ও দেশের প্রতি তাঁর অকুতোভয় ভালোবাসা।

শহিদ মজিদ হোসেনের অবদানকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে তারা আরও বলেন, এই প্রজন্মের উচিত তাঁদের আদর্শকে ধারণ করে দেশ গঠনে এগিয়ে আসা। তাঁর জীবন, সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগের স্মৃতি আগামী প্রজন্মের জন্য পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম