নাটোরে নদীতে নৌকা ডুবি যুবক নিখোঁজ

নাটোরে নদীতে নৌকা ডুবি যুবক নিখোঁজ

নাটোর সংবাদদাতা:

নাটোরের সিংড়া উপজেলার আত্রাই নদীতে নৌকা ডুবে মো. নয়ন হোসেন (২০) নামে এক যুবক নিখোঁজ হয়েছেন। শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার কলম ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। রাত ১০টা পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে আবারো উদ্ধার অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সিংড়া থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম। নিখোঁজ নয়ন একই গ্রামের মো. মহির উদ্দিনের ছেলে।

সিংড়া থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকেলে নুরপুর গ্রামের খেলার মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্ট ছিল। ওই টুর্নামেন্ট দেখতে যাচ্ছিলেন নয়নসহ আরো অনেকে। তারা নৌকায় করে আত্রাই নদী পার হচ্ছিলেন। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি লোক উঠায় এবং প্রচণ্ড বাতাসের কারণে মাঝ নদীতে নৌকাটি তলিয়ে যায়। সবাই সাঁতরে তীরে আসলেও নিখোঁজ হন নয়ন।

স্থানীয়দের অনেক খোঁজাখুঁজি করেও নয়নের সন্ধান পাননি। পরে রাজশাহীর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। ডুবুরি দল সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থলে এসে নিখোঁজ যুবকের সন্ধানে নদীতে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। দীর্ঘ সময় অনুসন্ধান চালিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। রাত ১০ টার দিকে উদ্ধার কাজ বন্ধ করা হয়। শনিবার (২৬ জুলাই) আবারও ডুবুরি দল আবারো উদ্ধার অভিযান শুরু করবে।

পুলিশ

ওসিসহ ছয় পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

জেলা প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ছয় পুলিশ সদস্যকে পণ্যবাহী যানবাহন থামিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ জুলাই) তাদের কুমিল্লা অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষ।

প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বিপুল বড়ুয়া, কনস্টেবল মো. সাহাবুদ্দিন, মো. মস্তু, সাকিবুল ও মো. জহির মিয়া।

হাইওয়ে পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, চলতি মাসের ৩ তারিখে সিলেট থেকে ঢাকার পথে একটি কাভার্ড ভ্যান খাঁটিহাতা এলাকায় থামানো হয়। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা গাড়িটিকে আটকে রেখে অবৈধ পণ্য থাকার অজুহাতে চালকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ হিসেবে প্রায় ৮০ হাজার টাকা আদায় করেন।

একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপর অভিযুক্ত ছয়জনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

বর্তমানে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সজীব মিয়া। তিনি বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমি নতুন করে দায়িত্ব নিয়েছি এবং বর্তমানে থানার কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে দিয়ে তদন্ত পরিচালনা করা হচ্ছে। তদন্তে যাদের দায় প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম