পাকিস্তানের মাটিতে সিরিজ জয় টাইগার যুবাদের

দীর্ঘ ১৫ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে সিরিজ জিতল টাইগার যুব দল। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ওয়ানডেত সোমবার ৪ উইকেটের ব্যবধানে পাকিস্তানি যুবাদের হারিয়েছে বাংলাদেশ। আর এই জয়ের ফলে ২-১ এ সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশের যুবারা।

মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ২২০ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। এদিন পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন তাইব আরিফ। সিরিজে দারুণ ফর্মে থাকা আরেক ব্যাটার আরাফাত মিনহাজ করেন ৪৩ রান। বাংলাদেশ দলের হয়ে সমান ৩টি করে উইকেট নেন রাফিউজ্জামান ও রোহানাত দৌলাহ।

মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সফরকারীরা। ব্যাট হাতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন আশিকুর রহমান শিবলি। এছাড়া পারেভজ রহমান অপারিজিত থাকেন ৫৭ রানে। এই দুই ব্যাটারের জোড়া অর্ধ-শতকে ১ ওভার বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নেয় টাইগার যুবারা। পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ জিসান এবং আরাফাত জিসান নেন ২টি করে উইকেট।

আফগানিস্তানের কাছে টানা দ্বিতীয় ওয়ানডে সিরিজ হারলো বাংলাদেশ

খেলা ডেস্ক:

আফগানিস্তানের কাছে টানা দ্বিতীয় ওয়ানডে সিরিজ হারলো বাংলাদেশ। গুরবাজের সেঞ্চুরিতে ম্লান হয়ে গেল মাহমুদউল্লাহ’র অনবদ্য ৯৮ রানের ইনিংস। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টাইগারদের ৫ উইকেটে হারিয়ে আফগানরা সিরিজ জিতলো ২-১-এ।

শারজায়, গত ম্যাচে টস জিতে ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। এদিন চোটের কারণে নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত না থাকলেও, টস জেতেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ, হেটেছেন শান্তর পথেই। বাংলাদেশের তেরতম ক্রিকেটার হিসেবে এটি ছিল মিরাজের শততম ওয়ানডে ম্যাচ।

ব্যাটিংয়ে দেখে-শুনে শুরুর পর গতি বাড়িয়েছেন দুই টাইগার ওপেনার। সৌম্য-তানজিদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫৩ রান। ভালো শুরু পেয়েও সৌম্য ফেরেন ২৪ করে। এরপরই ছন্দপতন।

একে একে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান তানজিদ, জাকির, তাওহিদ। বিনা উইকেটে ৫৩ থেকে ৪ উইকেটে ৭২। প্রথম ওয়ানডের মতো ধ্বংস তখন চোখ রাঙাচ্ছে। সেখান থেকে দলের রানের চাকা ঘোরান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ।

আগের তিন ইনিংসে রান না পাওয়া মাহমুদউল্লাহ এদিন খেলেছেন হাতখুলে। ৬৩ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২৯তম ফিফটি। অন্যদিকে মিরাজ ছিলেন ধীরস্থির। ১০৬ বলে বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় মন্থর ফিফটি করেন তিনি।

মিরাজ ৬৬ করে ফিরলেও, শেষ পর্যন্ত দলের হাল ধরে রাখেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ বলে রানআউট হয়ে সেঞ্চুরি থেকে দুই রান দূরে থেমেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। বাংলাদেশ পায় ৮ উইকেটে ২৪৪ রানের পুঁজি।

রান তাড়ায়, দেখে-শুনে শুরু করে আফগানিস্তান। দলীয় ৪১ রানে আফগানদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন অভিষিক্ত পেসার নাহিদ রানা। দুই অঙ্কের ঘরে যাওয়ার আগেই রহমত শাহ ও হাশমতউল্লাহ শহিদীকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান।

বোলিংয়ে এদিন তাসকিনের অনুপস্থিতি ভালোই ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। সেই সুযোগটা ভালোভাবেই নিয়েছেন আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। প্রথম দুই ওয়ানডেতে রান না পেলেও, এ ম্যাচে বারকয়েক জীবন পেয়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি।

১০১ রান করে মিরাজের বলে আউট হন গুরবাজ। ততক্ষণে আফগানদের জয়ের পথটাও মসৃণ হয়ে গেছে। শেষদিকে ওমরজাইয়ের ফিফটিতে অনায়াসেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানরা।

সবা:স:জু-৯১/২৪

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম