
ডেস্ক রিপোর্ট:
সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করায় চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের হালিশহর সার্কেলের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল আলীমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি বিধি মোতাবেক ভাতা পাবেন। আজ রোববার (২৭ জুলাই) চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। এতে সই করেছেন কমিশনার শওকত আলী সাদী।
আব্দুল আলীম হালিশহর সার্কেলে কর্মরত থাকা অবস্থায় ভ্যাটদাতা বা সেবা গ্রহীতার কাছ থেকে ঘুষ (উৎকোচ) গ্রহণ করেন বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এতে প্রমাণ হয় যে আব্দুল আলীম সরকারি দায়িত্ব পালনকালে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেননি যা একজন সরকারি কর্মচারীর কাছ থেকে কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। ওই কর্মচারীর এ রকম কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ২ (খ) ও ৩ (খ) এ বর্ণিত অপরাধ এবং একই বিধিমালার বিধি ৪ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য।
আদেশে বলা হয় ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা প্রয়োজন। ফলে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২ (১) অনুযায়ী তাঁকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি সদর দপ্তরে নিয়মিত হাজিরা দেবেন এবং বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকতে পারবেন না। সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি বিধি মোতাবেক ভাতা প্রাপ্য হবেন। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
রিয়াদ ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক। গত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর সমন্বয়ক পরিচয়ে হয়ে ওঠেন চাঁদাবাজ। সমন্বয়কের মুখোশ পরে কিভাবে গ্রামের এক হতদরিদ্র রিকশাওয়ালা পরিবারের ছেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন এবং বিলাসী জীবন যাপন করে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন গ্রামবাসী। নবীপুর হাই স্কুলের সাবেক সভাপতি শিহাব উদ্দিন বলেন আমার স্কুলের এই ছাত্রকে সবাই দান-খয়রাত করে পড়াত কারণ তার দরিদ্র রিকশাচালক বাবার পক্ষে পড়ালেখার খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। সে কিভাবে এত ভয়ংকর চাঁদাবাজ হয়ে উঠল তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।
সাধারণ পরিবার থেকে শহরে উঠে আসা সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করে অঢেল সম্পত্তির মালিক বনে যাওয়া এমন আরো রিয়াদ সমাজের আড়ালে লুকিয়ে আছে কি না প্রশাসনকে তা খুঁজে বের করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে আটক রিয়াদের ছবির ফ্রেমে আছেন কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতা। ফেসবুকে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে নিজের শক্তির জানান দিতেন তিনি। তাঁর ছবির ফ্রেমে বাদ যাননি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারাও। একাধিক উপদেষ্টার সঙ্গে ছবি পাওয়া গেছে তাঁর ফেসবুকে।