লক্ষ্মীপুরে গণহত্যা তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

লক্ষ্মীপুরে গণহত্যা তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট:

জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থীসহ পাঁচ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অন্য মামলায় গ্রেফতার তিন আসামিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শ্যোন এরেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন জাবেদ ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন আলম। সোমবার (২৮ জুলাই) ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। গত ১৬ জুলাই, জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থীসহ পাঁচ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অন্য মামলায় গ্রেফতার তিন আসামিকে ২৮ জুলাই হাজিরের নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে লক্ষ্মীপুরের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়। এদিন আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ান। জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা চালান আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের গুলিতে চার শিক্ষার্থীসহ পাঁচজন শহীদ হন।

তারা হলেন আল আসাদ আফনান, সাব্বির হোসেন রাসেল, কাউসার হোসেন, ওসমান গণি ও মো. সুজন। এর মধ্যে আফনান শহরের মাদাম ব্রিজ ও অন্যরা তমিজ মার্কেট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার॥
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার প্রেক্ষাপট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে তুলে ধরেছে বিএনপি। এই সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। আর সেই বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

রবিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের আটটি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।

ঢাকার গুলশান-২ এ ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বাসায় এ বৈঠক হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড, স্পেন, ডেনমার্ক, নরওয়ের ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

আমীর খসরু বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে দেশে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দেশে গণতন্ত্র নেই। আগামী নির্বাচনকে কিভাবে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করা যায় তা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেশের মানুষের মতো সারাবিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তারা দেখছে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং বিশেষ করে আগামী নির্বাচন নিয়ে ভীতির সঞ্চার কাজ করছে।’

‘স্বাভাবিকভাবে এসব বিষয়গুলো তাদের দৃষ্টিতে রয়েছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই আজকে আলাপচারিতা হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে একটি অবৈধ দখলদার সরকার ক্ষমতায় বসে আছে। এই প্রেক্ষাপট থাকার কারণেই আলোচনা হয়েছে।’

আমীর খসরু বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ যদি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে; তাহলে বাংলাদেশে যে সংকটের দিকে যাবে এই শঙ্কা দেশ এবং দেশের বাইরেও কাজ করছে। কিভাবে আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক করা যায় সেটাই সকলের উদ্দেশ্য।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের যে চিন্তা, যে নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন, যার মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সংসদ হবে এবং নির্বাচিত সরকার হবে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আজকে আমাদের আলোচনা হয়েছে।’

‘খোলাখুলিভাবে এটা বলেছি যে, অবশ্যই এই সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। বিশ্বের যারা বাংলাদেশ দেশকে নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে, পর্যবেক্ষণ করে সকলের কাছে এটা পরিষ্কার করে বলা হয়েছে’—যোগ করেন আমীর খসরু।

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ অনির্বাচিত দখলদার সরকারের অধীনে দেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের প্রতিনিধি তাদের সরকার তাদের সংসদ নির্বাচন করতে পারবে না। এ বিষয়টি প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করে বলা হচ্ছে। এর কারণগুলো সকলেরই জানা, এসব আলোচনা হয়েছে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ ও মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ইইউ কূটনীতিকেরা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকেও নেতৃত্ব দেন ঢাকায় ইইউর রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান