
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের উদয়ন স্কুল সংলগ্ন হাজী বাড়িতে ২৭ জুলাই রবিবার রাতে দুই লাক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া ও জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে বসত ঘর ভেঙে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা জাকির হোসেন ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী মাওলানা জহিরুল ইসলাম সালাম বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পূর্ব শত্রুতা ও ঘর তোলাকে কেন্দ্র করে আড়াই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন বিএনপি নেতা জাকির হোসেন ও তার লোকজন। পূর্ব শত্রুতা ও চাদার টাকা না পেয়ে রাতের আঁধারে শতাধিক লোকজন নিয়ে বসত ঘর ভেঙে তুলে নিয়ে যায়। জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পূর্বেই ঘর ভেঙে নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
প্রতিবেশী তামাত উল্লাহ কুলসুম বলেন, টিন পেটানোর শব্দে ঘুম থেকে উঠে জানালা দিয়ে দেখি অনেক লোকজন ঘর ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে। আরেক প্রতিবেশী আশরাফ আলী জানান, রাত ৪টার দিকে ঘর ভাঙ্গার শব্দ শুনে বাইরে বের হয়ে দেখি প্রায় শতাধিক লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে ঘর ভাঙচুর করছে, সামনের দিকে আগাতে চাইলে তারা আমাকে আমার ঘরে ফিরে যেতে বাধ্য করে।
হালিমা বেগম বলেন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জাকির হোসেন, খবির হোসেন, আসাদুজ্জামান লিটন, মঈন খন্দকার, মোশাররফ হোসেন, হাবিব হাওলাদার সহ অনেক লোকজন নিয়ে তারা হামলা চালিয়ে ঘর ভেঙে তুলে নিয়ে যায়। আমাদের ঘর থেকে বের হতে দেয়নি। গেটের সামনে অনেক লোকজন জরো ছিলো।
অভিযোগকারীর ভাই আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের তিনশত বছরের পুরানো সম্পত্তি আমাদের বাপ দাদাদের। আমার বড় ভাবি অসুস্থ থাকায় বড় ভাই তাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য যায় সেই সুযোগে আমাদেরকে জিম্মি করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে শতাধিক লোকজন নিয়ে ঘর ভেঙে নিয়ে যায়। তারপর জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ আসে ততক্ষণে তারা পালিয়ে যায়। ১০-১২ জনকে চিনতে পেরেছি। তারা স্থানীয় বিএনপির নেতা। সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাই। তারা মোটা আংকের টাকা দাবিও করেন। টাকা না দেয়ায় তারা রাতের আঁধারে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে নিয়ে যায়।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান ঘর ভেঙে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে তাই তাদের আদালতের শরণাপন্ন হতে বলেছি।