আহতদের মানসিক সেবায় হটলাইন বিশেষ আউটডোর চালু

আহতদের মানসিক সেবায় হটলাইন বিশেষ আউটডোর চালু

ডেস্ক রিপোর্ট:

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার পর হতাহত শিক্ষার্থী শিক্ষক ও অভিভাবকদের মানসিক আঘাত প্রশমনে জরুরি ভিত্তিতে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেছে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। উদ্বেগ আতঙ্ক ও ট্রমার মধ্য দিয়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য চালু করা হয়েছে হটলাইন বিশেষ আউটডোর সাইকিয়াট্রিক সেল এবং হাসপাতালের অন্তর্বিভাগে সংরক্ষিত বেড।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয় দুর্ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্তদের সহায়তায় দ্রুত গঠন করা হয়েছে একটি বিশেষ কমিটি। চালু হয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে আউটডোর সেবা এবং মাঠ পর্যায়ে আউটরিচ কার্যক্রম। পাশাপাশি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস (বিএপি) এর সহায়তায় তিন শিফটে হটলাইন চালু রাখা হয়েছে, যাতে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যেকোনো ব্যক্তি সরাসরি পরামর্শ নিতে পারেন।
হটলাইন নম্বরগুলো হচ্ছে

সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ০১৮৩৫১৫৪৩৪১ এবং ০১৮৩৫১৫৫৫২১ দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ০১৮৩৫১৫৩২৬২ এবং ০১৮৩৫১৫৪৩৪০ সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ০১৮৩৫১৫৩০০৫ এবং ০১৮৩৫১৫৬২৬২ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টা জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে সরাসরি যোগাযোগের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী সেখানে ভর্তি হয়ে মানসিক চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ইনস্টিটিউটের পরিচালক জানান দুর্ঘটনার পর অনেক শিশুর মধ্যেই ঘুমের সমস্যা আতঙ্ক দুঃস্বপ্ন স্কুলে যেতে অনীহা এবং হতাশার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। তাই তাদের পাশে দাঁড়াতে অবিলম্বে জাতীয় পর্যায়ে এই সেবা কাঠামো চালু করা হয়েছে। এদিকে গতকাল সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুর ১২টায় শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে দুর্ঘটনার মানসিক প্রভাব মোকাবেলায় একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অংশগ্রহণ করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা সচিব স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাইলস্টোন কলেজ কর্তৃপক্ষ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ একটি মানবিক এবং জরুরি সংকট ব্যবস্থাপনার উদাহরণ স্থাপন করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শনির আখড়া দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়মের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

শনির৷ আখড়া দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, যা দেখার কেউ নেই, সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কদমতলী থানা এলাকায় শনির আখড়া দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তার সহ পরিচালনা পরিষদের অনিয়ম দুর্নীতি সহ হাসপাতালটিকে পরিনত করেছেন একটি কষাই খানায়। এই হাসপাতালটির যতো সব অনিয়ম গুলো যেন প্রতিনিয়ত নিয়মে পরিনত হচ্ছে। রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে সরকারী কর্মকর্তাদের ম্যানেজ্যর কারনে রোগীরা দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নামে অভিযোগ করেও কোন প্রকার প্রতিকার পাচ্ছেন না  সাধারণ মানুষ  ।

রোগীকে বাড়তি টেস্ট বানিজ্য সহ রোগীর স্বজনদের ভোগান্তি যেন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । শনিরআখড়া দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তব্যরত ডাক্তার এবং নার্সদের ব্যবহারে অতিষ্ঠ রোগীর স্বজনরা। দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সাধারন রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে গেলে ডাক্তারেরা অতিরিক্ত টেস্ট বাণিজ্য করে থাকেন, যায় কারনে প্রতিনিয়ত রোগী সহ তাদের স্বজদের বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে, গত কয়েকদিন আগে ফরিদপুর জেলার সালথা থানাধীন চাঁন্দাখোলা গ্রামের রবিউল ইসলাম ঠান্ডা জনিত কারনে দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক
সেন্টারে ডাক্তার দেখাতে গেলে ডাক্তার তাকে না দেখেই প্রেকসিকশনে৭/৮টি টেস্ট দিয়েছিলেন।
রবিউল ডাক্তারের নির্দেশনা মতে টেস্ট গুলো দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার করান, দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তৃব্যরত চিকিৎসক টেস্ট গুলো না দেখেই ২০টা সেফেকজিন ওয়ান গ্রাম ইনজেকশন এবং রোগীর জন্য অপ্রয়োজনীয় ইনহেলায় সহ অন্যন্যঔষধ লিখেন প্রেকসিপশনে,নিয়মমাফিক ডাক্তারের ঔষধ গ্রহন করে রবিউলের অবস্থার অবনতি ঘটলে পরবর্তীতে রবিউল ইসলামের পরিবার তাকে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে র্ভতি করেন, রবিউলের অবস্থার অবনতি দেখে ফরিদপুর মেডিকেল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার মহাখালী বক্ষব্যধি হাসপাতাল এন্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন, বর্তমানে রবিউল বক্ষব্যধিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিষয়ে কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা সেবা নিতে গেলে রোগীর সাথে অসৎ আচারন সহ রোগীকে বাড়তি টেস্ট দিচ্ছেন ডাক্তারেরা প্রতিনিয়তো, যার কারনে টেস্টের জন্য বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে রোগী সাধারনের।
শনিরআখড়া দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসা নেওয়া এক ভুক্তভোগী জানান দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তারগন আমার পেটে ৩০ সপ্তাহের বাচ্চা থাকাকালীন সময়ে আমাকে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে ডুকিয়েছিলো, আমার পরিবারের লোকজন হাসপাতাল কর্ত্বপক্ষদের এই নিষ্ঠুরতার ব্যপারে বাহিরে কয়েকজনকে জানালে তারা আমাকে তরিঘড়ি করে অপারেশন থিয়েটার থেকে বাহির করে দেন।
সোহেল রানা নামের এক ভুক্তভোগী জানান আমার স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠলে আমরা দ্রুত দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার পরে ডাক্তার রোগী দেখার আগেই বলেন ৮/১০ টি টেস্ট করান, টেস্টের রিপোর্ট গুলো না দেখেই কর্তব্যরত চিকিৎসক এখনিই সিজারিয়ান অপারেশন করাতে হবে না হলে বাচ্চা এবং তার মাকে বাঁচালো সম্ভব না, ডাক্তারের এই কথা শুনে পরিবারের লোকজনের সাথে আলোচনা করে আমরা আমার স্ত্রীকে নিয়ে শনিরআখরা অন্য একটি ক্লিনিকে নেওয়ার পরে নরমাল ডেলিভারিতে আমার স্ত্রী কন্যা সন্তানের জন্ম দেন, দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই কষাই খানা বন্ধের দাবী জানান ভুক্তভোগীরা।

এ বিষয়ে দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তার সোহেলের সাথে কথা বললে তিনি জানান তাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনিতো অভিযোগ গুলো সত্য নয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ৭ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ নতুন ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন বাংলাদেশকে রাজস্ব ও আর্থিক খাত সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬১৯ ৩০ কোটি বছর আগে মহাকাশ থেকে ছুটে এসেছিল একটি বিশাল পাথর কুমিল্লায় হত্যার পর নারীর লাশ বেডশিট দিয়ে মুড়িয়ে খাটের নিচে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা দীর্ঘদিন পর গাজায় একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করলেন হাজারো ফিলিস্তিনি