ঢাবি-জবির ৪ শিক্ষার্থীকে মারধর ছুরিকাঘাত

ঢাবি-জবির ৪ শিক্ষার্থীকে মারধর ছুরিকাঘাত

ডেস্ক রিপোর্ট:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়া এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চার শিক্ষার্থীকে মারধর ও ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকের এ ঘটনায় রোববার (৩ আগস্ট) মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী।অভিযোগকারী শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সাজিদ-উল-ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে সফিউদ্দিন গ্যালারিতে একটি প্রদর্শনী দেখে আইন বিভাগের তাসমিয়া তাবাসসুম নেবুলাসহ তিনি দুই বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে লালমাটিয়া ডি-ব্লকের মাঠে যান।

সেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অনুরাভ আশরাফ রাজ্য ও চারুকলার শিক্ষার্থী রাফিদুল হক রাহিমের সঙ্গে দেখা হয়। তারা বসে থাকা অবস্থায় ১০-১২ জন কিশোর এসে তাদের এক বন্ধুর ব্যাগ ছুড়ে মারার পাশাপাশি ওখান থেকে উঠে যেতে বলে। প্রতিবাদ করলে তারা নিজেদের এলাকার প্রভাব দেখিয়ে হুমকি দেয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মারধর ও একজনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে ওই কিশোররা।

সাজিদ-উল-ইসলাম আরও বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই কয়েকজন এসে আমাদের একজনের বসার জায়গায় রাখা ব্যাগটা ফেলে দেয়। তখন আমি জিজ্ঞেস করি ব্যাগটা কেন ফেলে দিলেন? তিনি বলেন ওরা বলতে থাকে উঠে যেতে। আমরা তখন বলি আমরা উঠে যেতেই পারি, কিন্তু আপনারাতো এভাবে বলতে পারেন না। এরপরই তারা আমাদের অতর্কিতভাবে কিল ঘুষি মারতে থাকে, এক বন্ধুকে ছুরিকাঘাত করে।

মঙ্গলবারের ঘটনায় রোববার মামলা করার বিষয়ে তিনি বলেন শুক্রবার পুলিশকে ঘটনাটি জানিয়েছেন তিনি। অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করে মামলা করতে দেরি হয়েছে।
সাজিদের করা মামলায় ১২ জনের নাম দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামির তালিকায় নাম থাকা ১২ জন হলেন এস কে আবির, মিমোন খান, সিয়াম, মিনহাজ, শুকুর, সাজ্জাদ, একরামুল, সুজন, বায়েজিদ, সুমন, হৃদয় ও ইয়াছিন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আবিরের নির্দেশে বাকিরা সাজিদকে মারধর করে। মিমোন খানসহ ইয়াছিন, সুমন, সুজন তাকে মারধর করে। অনুরাভ আশরাফ রাজ্য এগিয়ে গেলে আবির তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে তার পিঠের ডান পাশে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। অন্য কিশোররা বাকি দুই শিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা তাদের ভয়ভীতি দেখায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।

ইডেন কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার:

 

রাজধানীর রামপুরার একটি বাসা থেকে বর্ষা আক্তার বিথী (২৪) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বর্ষা আক্তার বিথী মাদারীপুরের কালকিনি থানার সিডিখান এলাকার মো. হাবিবুর রহমান মেয়ে। বর্তমানে তিনি রামপুরায় খালার বাসায় থাকতেন। বিথী ইডেন কলেজের অনার্সের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ছিলেন।

নিহতের খালা জানান, সকালে বিথীকে বাসায় রেখে গার্মেন্টসে যাই। বিকেলে এসে অনেক ডাকাডাকির পর দরজা না খুললে ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখি ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের গ্রিলের সঙ্গে ঝুলে আছে বিথী। এর তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু তারেক দিপু জানান, বিথীর মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া করেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিথী।

 

সবা:স:জু-২৩৪/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম