হার্টের রিংয়ের দাম কমলো

হার্টের রিংয়ের দাম কমলো

ডেস্ক রিপোর্ট:

হৃদরোগীদের জীবনদায়ী চিকিৎসার সামগ্রী করোনারি স্টেন্টের (হার্টের রিং) দাম কমিয়েছে সরকার। রোববার (৩ আগস্ট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়। তিন কোম্পানির ১০ ধরনের স্টেন্টের দাম কমিয়ে নতুন করে নির্ধারণ করা হয়। তবে একটি স্টেন্টের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। স্টেন্ট আমদানি প্রতিষ্ঠানভেদে খুচরা মূল্য সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে স্টেন্টভেদে দাম কমানো হয়েছে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয় স্টেন্টের দাম সর্বোচ্চ ৩৬ শতাংশ কমেছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো.আকতার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, তিন কোম্পানির ১০ ধরনের হার্টের রিংয়ের দাম কমানো হয়েছে। এসব রিংয়ের মূল্যে অনেক বেশি ছিল। পর্যায়ক্রমে বাকি কোম্পানিগুলোর রিংয়ের দাম কমাবে মূল্য নির্ধারণ কমিটি। নতুন মূল্য কার্যকর আগামী সপ্তাহে। মেডট্রনিক, অ্যাবোট ভাসকুলার ও বস্টন সায়েন্টিফিকের হার্টের রিংয়ের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, জীবনদায়ী চিকিৎসার সামগ্রীর দাম নির্ধারণে একটি মূল্যনীতি থাকা উচিত। তাহলে কেউ চাইলেই মূল্য বাড়ানো বা কমানো সম্ভব হবে না। তবে সরকারি নির্দেশনা মেনে রিং বিক্রি করবে তারা।

স্টেন্ট বা রিং পরানোই বাংলাদেশে হার্টের চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি। কারো হৃদপিন্ডে রক্ত সঞ্চালনে ব্লক বা বাধার সৃষ্টি হলে ডাক্তার তাকে এক বা একাধিক রিং পরানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। হার্টে রিং পরানোর পদ্ধতিকে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি বলা হয়। এই পদ্ধতিতে, একটি সরু ক্যাথেটার ব্যবহার করে ধমনীতে একটি ছোট, জাল আকৃতির নল (স্টেন্ট) স্থাপন করা হয়। এটি রক্তনালীকে খোলা রাখতে সাহায্য করে এবং হৃদপিণ্ডে রক্ত​সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।

আর রিং বাংলাদেশে আসে দেশের বাইরে থেকে। সাধারণত ইউরোপ-আমেরিকা থেকে এগুলো আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও জার্মানি, পোল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ড থেকে রিং আসে বাংলাদেশে। এছাড়া জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারত থেকেও রিং আমদানি করা হয়। আমদানি করা এসব রিংয়ের মূল্য তালিকা বিভিন্ন হাসপাতালে টানানো থাকে। রোগীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ তালিকা থেকে বেছে নেওয়া রিং রোগীর হার্টে প্রতিস্থাপন করেন চিকিৎসকরা।

শাহজালাল বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব বসাবে ৭ প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক॥
দেশের বিমানবন্দরগুলোতে ২-৩ দিনের মধ্যে করোনা পরীক্ষার আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ল্যাব বসাতে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। আগামী ৬ দিনের মধ্যে শাহজালাল বিমানবন্দরে ল্যাব বসানো হবে। বুধবার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সারওয়ার আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়।

সে সাতটি প্রতিষ্ঠান ল্যাব বসানোর অনুমতি পেয়েছে, সেগুলো হলো- স্টেমজ হেলথ কেয়ার (বিডি) লিমিটেড, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল, গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড ও ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক।

চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই সাত প্রতিষ্ঠানের নাম প্রস্তাব করেছে। আর এই সাত প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে জানানো হয়, সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্টেমজ হেলথ কেয়ার তিন দিনের মধ্যে বিমানবন্দরে ল্যাব স্থাপন করতে পারবে বলে মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে। বিমানবন্দরে বহির্গামী যাত্রীরা এখানে করোনার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবেন ২ হাজার টাকায়। সিএসবিএফ হেলথ সেন্টারের ল্যাব স্থাপনে সময় লাগবে পাঁচ দিন, প্রতিষ্ঠানটি নমুনা পরীক্ষার খরচ নেবে এক হাজার ৮৫০ টাকা। এএমজেড হাসপাতালের ল্যাব স্থাপনে সময় লাগবে পাঁচ দিন, নমুনা পরীক্ষায় খরচ নেবে এক হাজার ৮০০ টাকা। আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাব স্থাপনে সময় লাগবে চার দিন, নমুনা পরীক্ষার খরচ নেবে ২ হাজার টাকা। জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিকেল কলেজের ল্যাব স্থাপনে সময় লাগবে ছয় দিন, নমুনা পরীক্ষায় খরচ নেবে ১ হাজার ৭০০ টাকা। গুলশান ক্লিনিকের ল্যাব স্থাপনে সময় লাগবে পাঁচ দিন, নমুনা পরীক্ষার খরচ নেবে এক হাজার ৭৫০ টাকা। আর ডিএমএফআর ল্যাব স্থাপনে সময় লাগবে চার দিন, তারা নমুনা পরীক্ষার খরচ নেবে দুই হাজার ৩০০ টাকা।

এই সাত প্রতিষ্ঠানকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউরের (এসওপি) আলোকে ল্যাব স্থাপনের প্রয়োজনীয় স্থান বরাদ্দসহ আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা নিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।

পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি-বিধান মেনে উপযুক্ত পরীক্ষাগার শুরুর নির্দেশ জারি করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম