আমাদের প্রতিনিয়ত ফাইট করতে হবে এই নষ্ট সিস্টেমের সঙ্গে: সারজিস

আমাদের প্রতিনিয়ত ফাইট করতে হবে এই নষ্ট সিস্টেমের সঙ্গে: সারজিস

ডেস্ক রিপোর্ট:

আমাদের প্রতিনিয়ত ফাইট আমাদের প্রতিনিয়ত ফাইট করতে হবে এই নষ্ট সিস্টেম চিন্তা আর ব্যক্তিদের সঙ্গে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতা সারজিস আলম। ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন স্বৈরাচারী খুনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আপামর ছাত্র জনতার রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থান! লুকিয়ে দেশ ছেড়ে পালালো শেখ হাসিনা। বছরের পর বছর ধরে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নির্যাতিত হয়ে আসা মানুষগুলো স্বপ্ন দেখতে লাগলো কাঙ্খিত বাংলাদেশের। ১ বছর অতিক্রম শেষে আমরা এখনো আমাদের কাঙ্খিত বাংলাদেশ পাইনি। হয়তো ১বছরে পাওয়া সম্ভবও নয়। কিন্তু ১ বছরে যতটুকু পাওয়া সম্ভব ছিল ততটুকুও আমরা পাইনি।

এক্ষেত্রে কারো দায় হয়তো কম, কারো হয়তো বেশি। কিন্তু এককভাবে কাউকে দায়ী করার সুযোগ নেই। একটা কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রের জন্য রাষ্ট্রীয় বিদ্যমান গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোর একই সাথে এগিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কাঙ্খিত রাষ্ট্র বিনির্মাণে এই প্রত্যেকটি অংশ একে অপরের পরিপূরক। রাজনীতিবিদ, আমলাতন্ত্র, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সিভিল সোসাইটি, মিডিয়া, ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী মানুষ থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ বলতে আমরা যাদেরকে বুঝাই, তাদের প্রত্যেকের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে একটা অংশ সহযোগিতা না করলে অপর অংশগুলোর উপরে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। সফলতা সম্ভব হয় না। অনেকটা চক্রের মত। ব্যক্তি হাসিনা পালিয়েছে। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে যে অসুস্থ এবং অপকর্মের চর্চাগুলো ক্ষমতায় থেকে তিনি ও তার বন্দোবস্ত অধিকাংশ মানুষের মননে, মগজে, চিন্তায়, অস্থিমজ্জায়, ভাবনায়, আচরণে সন্নিবেশিত করেছেন সেগুলো চাইলেই একটা ব্যক্তির মতো পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

আমাদের প্রতিনিয়ত ফাইট করতে হবে এই নষ্ট সিস্টেম, চিন্তা আর ব্যক্তিদের সাথে। সুযোগ পেলে যে রিকশাচালক ভাড়া বাড়িয়ে দেয়, যে সবজি বিক্রেতা সবজির দাম বাড়িয়ে দেয়, যে ব্যবসায়ী অসৎ উদ্দেশ্যে পণ্য মজুদ করে রাখে, যে সাধারণ জনগণ ব্যক্তি স্বার্থে অর্থের বিনিময়ে হলেও সুপারিশ প্রত্যাশা করে, যে রাজনীতিবিদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে, যে আমলা ক্ষমতার দালালি করে, যে সিভিল সোসাইটি স্বার্থের কাছে অন্ধ হয়ে যায়, যে মিডিয়া ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য সার্ভ করে, যে রাজনৈতিক দল দেশের আগে দলের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয় তাদের কারো মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। যার যতটুকু সামর্থ্য সে ততটুকু ক্ষমতার অপব্যবহার করে। আমাদের লড়াইটা ইন্ডিভিজ্যুয়াল জায়গা থেকে। প্রত্যেককে প্রত্যেকের কাজটা করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি আমরা যদি আমাদের লড়াইটা চালিয়ে যেতে পারি, তাহলে কিছুটা বিলম্ব হলেও আমাদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ অর্জন সম্ভব। যে প্রজন্ম একটা অভ্যুত্থান করে শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্টের পতন ঘটাতে পারে সেই প্রজন্মের সামনে আগামীতে অন্য কেউ যেকোনো কিছু করে অন্তত পার পেয়ে যাবে না।

এই পথচলায় ষড়যন্ত্র হবে, ফাঁদ থাকবে, পিছুটান থাকবে, মিডিয়া প্রোপাগান্ডা করা হবে, মনোবল ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হবে কিন্তু দমে যাওয়ার সুযোগ নেই। করাপটেড সিস্টেমের ফলে সুবিধাভোগী যে অল্প কিছু কালো হাত আছে, তাদের কাছে রয়েছে অঢেল অবৈধ অর্থ। তারা সর্বোচ্চটা ব্যবহার করে আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করবে, বিশ্বাস ভাঙবে একজনকে আরেকজনের প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রতীয়মান করবে। আমাদেরকে এসব মোকাবেলা করেই দাঁতে দাঁত কামড়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

আমাদের যেই সহযোদ্ধারা নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন, যারা হাত পা চোখ হারিয়েছেন, শরীরে এখনো বুলেট নিয়ে ঘুরছেন, তাদেরকে সামনে রেখে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাদের এই ত্যাগ যেকোনো মূল্যে বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। ৫ ই আগস্ট আমাদের সবার কাছে সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে আমানত স্বরুপ। আমৃত্যু সেই পরম আমানতের খেয়ানত না করার প্রতিজ্ঞাই আমাদেরকে কাঙ্খিত বাংলাদেশ এনে দিতে পারে। ইনশাআল্লাহ আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সেটা করবো।

রিজার্ভ শূন্যের কোঠায়, দেউলিয়ার পথে দেশ: ফয়জুল করীম

রিজার্ভ শূন্যের‌ কোঠায়, দেশ দেউলিয়ার পথে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই।

তিনি বলেন, ‘দেশ দেউলিয়ার পথে। রিজার্ভ শূণ্যের কোঠায়। এরপরও বিদেশে পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে আনার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার।’

সোমবার (১৪ নভেম্বর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাদারীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় হোটেল মাতৃভুমি মিলনায়তনে ইউনিয়ন প্রতিনিধি সভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ইসলাম, দেশ ও মানবতার সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনে বড় দুটি দলকে প্রত্যাখান করে প্রকৃত দেশপ্রেমিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় দেশ ও জাতির দুঃখ-দুর্দশার অন্ত থাকবে না।’

ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, আদর্শ সমাজ ও জাতি গঠনে মাদরাসা শিক্ষার পাশাপাশি স্কুল-কলেজেও ধর্মীয় ও দীনিয়াত শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে।

মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিতরা ইসলামী তাহযীব-তমদ্দুন, কৃষ্টি-সভ্যতা, দ্বীন-ঈমান, ইজ্জত-আবরু ইত্যাদি সংরক্ষণে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে আসছেন। সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে ইসলামী শিক্ষার সম্বনয় না থাকায় মানুষ ক্রমেই বিপথগামী হচ্ছে।

মাদরাসা তথা ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত লোকদের অনৈতিক কাজে যেমন চুরি, ডাকাতি, হত্যা, ব্যভিচার, সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, মাদক ইত্যাদির সাথে সংশ্লিষ্টতা উল্লেখ করার মতো নজির তেমন পাওয়া যায় না। আজ যারা দেশের সম্পদ চুরি, দুর্নীতি ও বিদেশে পাচার করছে, তারা সকলেই সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত, যোগ করেন তিনি্

জেলা সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিষেশ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী। জেলার অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম